Fast Food: ফাস্টফুডে বাড়ছে অবহেলা, স্বাস্থ্যবিধি শেখাতে প্রশিক্ষণ শিবির কাটোয়া পুরসভার
- Published by:Salmali Das
- hyperlocal
- Reported by:Bonoarilal Chowdhury
Last Updated:
Fast Food: শহরের বিভিন্ন মোড়ে বিরিয়ানি, মোমো, এগরোল থেকে শুরু করে চাউমিন সবই তৈরি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে। নোংরা তেলে ভাজা হচ্ছে চপ ও কাটলেট। এই পরিস্থিতি নিয়ে বারবার সরব হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।
কাটোয়া শহরের রাস্তায় দিন দিন বেড়েই চলেছে ফাস্টফুডের দোকান। বেশিরভাগ দোকানই ঠেলাগাড়িতে করে রাস্তার ধারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ব্যবসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। শহরের বিভিন্ন মোড়ে বিরিয়ানি, মোমো, এগরোল থেকে শুরু করে চাউমিন সবই তৈরি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে। নোংরা তেলে ভাজা হচ্ছে চপ ও কাটলেট। এই পরিস্থিতি নিয়ে বারবার সরব হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শহরের ফুড ভেণ্ডারদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল কাটোয়া পুরসভা। ফুড সেফটি বিভাগের সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণে রাস্তার ধারে বসে নানা ধরনের মুখরোচক খাবার বিক্রেতাদের শেখানো হয় কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার তৈরি ও বিক্রি করতে হয়। কোন খাবার বিক্রি করা যাবে না, কীভাবে বিশুদ্ধ জলে রান্না করতে হবে, কতটা পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি এসব বিষয় বিস্তারিতভাবে বোঝানো হয়।তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
শুধু রাস্তার হকারই নন, বাড়িতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা যাঁরা বড়ি, চানাচুর, আচার ইত্যাদি তৈরি করেন, তাঁদেরও এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়। কীভাবে নিরাপদ উপায়ে খাবার প্রস্তুত করতে হবে এবং বাজারজাত করার আগে কোন কোন বিষয় নজরে রাখতে হবে, সেই নির্দেশনাও দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ দেন ফুড সেফটি দপ্তরের অভিজিৎ শর্মা। উপস্থিত ছিলেন কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমলাকান্ত চক্রবর্তী।তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, কাটোয়া শহরে মোট প্রায় ৪ হাজার ২০০ জন হকার রয়েছেন, যাঁরা রাস্তার ধারে বসে ব্যবসা করেন। তাঁদের মধ্যে ৩ হাজার ৫০০ জনকে পুরসভা ব্যবসার জন্য ঋণ দিয়ে সাহায্য করেছে। এই বিশাল হকার গোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় ১ হাজারজন ফুড হকার, যাঁরা তেলেভাজা থেকে শুরু করে ফাস্টফুড বিক্রি করেন শহরের বিভিন্ন এলাকায়।তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
এইসব ফুড হকারদেরই ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিরাপদ খাবার প্রস্তুতির গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেছে পুরসভা। পুরসভার সিটি মিশন ম্যানেজার সৌম্য কোলে জানান, প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিটি অংশগ্রহণকারীকে ফুড সেফটির সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। এতে যেমন খাবারের মানোন্নয়ন হবে, তেমনি শহরের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতেও বড় ভূমিকা নেবে বলে আশা পুরসভার।তথ্য ও ছবি : বনোয়ারীলাল চৌধুরী
