Park For Couple In Digha: একান্তে একটু সময় কাটাতে চান! দিঘায় এলে এই পার্কই হতে পারে আপনার জায়গা, কোথায় কীভাবে যাবেন

Last Updated:
Park For Couple In Digha: দিঘার জনসমাগম এড়িয়ে নিরিবিলি সময় কাটাতে চান! তাহলে এগরার এই পার্কটি আপনার জন্য শ্রেয় 
1/6
দিঘার কোলাহল, ঢেউ আর রোদেলা আকাশ উপভোগ করে ফেরার পথে অনেকেরই ইচ্ছে হয় কিছুটা শান্ত পরিবেশে সময় কাটানোর। সেই সুযোগ এনে দেয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম মহকুমা শহর এগরার রোড সেফটি পার্ক। দিঘা থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পার্ক যেন এক শান্ত, সুন্দর ও বিনোদনময় আশ্রয়স্থল। কলেজপড়ুয়া যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে পরিবার, শিশু বা বয়স্ক—সবাই এখানে এসে নিজের মতো করে আনন্দ খুঁজে পান। চারপাশে সাজান সবুজ ঘাস, ফুলের গাছ ও শিল্পসম্মত ভাস্কর্য যেন মুহূর্তেই মন ভাল করে দেয়। (ছবি ও তথ্য: মদন মাইতি)
দিঘার কোলাহল, ঢেউ আর রোদেলা আকাশ উপভোগ করে ফেরার পথে অনেকেরই ইচ্ছে হয় কিছুটা শান্ত পরিবেশে সময় কাটানোর। সেই সুযোগ এনে দেয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম মহকুমা শহর এগরার রোড সেফটি পার্ক। দিঘা থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পার্ক যেন এক শান্ত, সুন্দর ও বিনোদনময় আশ্রয়স্থল। কলেজপড়ুয়া যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে পরিবার, শিশু বা বয়স্ক—সবাই এখানে এসে নিজের মতো করে আনন্দ খুঁজে পান। চারপাশে সাজান সবুজ ঘাস, ফুলের গাছ ও শিল্পসম্মত ভাস্কর্য যেন মুহূর্তেই মন ভাল করে দেয়। (ছবি ও তথ্য: মদন মাইতি)
advertisement
2/6
এগরা রোড সেফটি পার্কে পৌঁছন যেমন সহজ, তেমনই সাশ্রয়ীও। দিঘা থেকে রামনগরে এসে যে কোনও বাসে সরাসরি এগরা পৌঁছে যাওয়া যায়। এগরা বাসস্ট্যান্ড থেকে পৌরসভা যাওয়ার পথে বামদিকে পড়ে এই পার্ক, যা হাঁটতে সময় লাগে মাত্র এক মিনিট। দিঘা থেকে এখানে আসতে খরচ হয় মাত্র ৫০ টাকা, ফলে বাজেটবান্ধব ভ্রমণকারীদের কাছেও এটি এক আকর্ষণীয় গন্তব্য। যাতায়াতের সুবিধার কারণে স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকেরাও নিয়মিত এখানে আসেন।
এগরা রোড সেফটি পার্কে পৌঁছন যেমন সহজ, তেমনই সাশ্রয়ীও। দিঘা থেকে রামনগরে এসে যে কোনও বাসে সরাসরি এগরা পৌঁছে যাওয়া যায়। এগরা বাসস্ট্যান্ড থেকে পৌরসভা যাওয়ার পথে বামদিকে পড়ে এই পার্ক, যা হাঁটতে সময় লাগে মাত্র এক মিনিট। দিঘা থেকে এখানে আসতে খরচ হয় মাত্র ৫০ টাকা, ফলে বাজেটবান্ধব ভ্রমণকারীদের কাছেও এটি এক আকর্ষণীয় গন্তব্য। যাতায়াতের সুবিধার কারণে স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকেরাও নিয়মিত এখানে আসেন।
advertisement
3/6
সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নির্মিত হলেও বর্তমানে এটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবেই বেশি জনপ্রিয়। পার্কে রয়েছে হাতে তৈরি কংক্রিটের নানান কারুকার্য, যা সৌন্দর্যে ভরিয়ে তুলেছে প্রতিটি কোণ। শিশুদের খেলার জন্য দোলনা, স্লাইড ও অন্যান্য সরঞ্জামও রয়েছে, ফলে পরিবারসহ ঘুরতে এলে সবারই কিছু না কিছু করার সুযোগ থাকে। বড়রা বেঞ্চে বসে আড্ডা দেন, ছোটরা খেলায় মেতে ওঠে—সব মিলিয়ে এক উষ্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নির্মিত হলেও বর্তমানে এটি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবেই বেশি জনপ্রিয়। পার্কে রয়েছে হাতে তৈরি কংক্রিটের নানান কারুকার্য, যা সৌন্দর্যে ভরিয়ে তুলেছে প্রতিটি কোণ। শিশুদের খেলার জন্য দোলনা, স্লাইড ও অন্যান্য সরঞ্জামও রয়েছে, ফলে পরিবারসহ ঘুরতে এলে সবারই কিছু না কিছু করার সুযোগ থাকে। বড়রা বেঞ্চে বসে আড্ডা দেন, ছোটরা খেলায় মেতে ওঠে—সব মিলিয়ে এক উষ্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
advertisement
4/6
পার্কের অন্যতম বড় আকর্ষণ এর ফুলের বাগান। গন্ধরাজ, গোলাপ, গাঁদা সহ নানা রঙের ফুলে সাজান এই বাগান মনকে করে তোলে আরও প্রফুল্ল। আর সন্ধ্যা নামতেই জ্বলে ওঠে লাল আলোয় আলোকিত ফোয়ারা—যার জলকণায় প্রতিফলিত আলো চোখে এক অপার্থিব দৃশ্যের জন্ম দেয়। ফোয়ারার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার লোভ সামলান কঠিন, আর শিশুদের তো যেন এখানে সময় কাটিয়েই শেষ হয় না।
পার্কের অন্যতম বড় আকর্ষণ এর ফুলের বাগান। গন্ধরাজ, গোলাপ, গাঁদা সহ নানা রঙের ফুলে সাজান এই বাগান মনকে করে তোলে আরও প্রফুল্ল। আর সন্ধ্যা নামতেই জ্বলে ওঠে লাল আলোয় আলোকিত ফোয়ারা—যার জলকণায় প্রতিফলিত আলো চোখে এক অপার্থিব দৃশ্যের জন্ম দেয়। ফোয়ারার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার লোভ সামলান কঠিন, আর শিশুদের তো যেন এখানে সময় কাটিয়েই শেষ হয় না।
advertisement
5/6
পার্কের চারপাশে রয়েছে খাবারের দোকান, যেখানে পাওয়া যায় তেলে ভাজা বাদাম, চপ, পকোড়া থেকে শুরু করে ঠাণ্ডা পানীয় পর্যন্ত নানা মুখরোচক খাবার। যারা একটু জমিয়ে খেতে চান, তাদের জন্য কাছাকাছি রয়েছে একাধিক রেস্টুরেন্ট, যেখানে দুপুর বা রাতের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি যদি সময় কাটাতে কাটাতে রাত হয়ে যায়, তাহলে এগরাতে থাকার জন্য ৭০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে ভাল মানের হোটেল ও লজও পাওয়া যায়। অনেক হোটেলেই খাবারের সুবিধা থাকে, আবার চাইলে বাইরের রেস্টুরেন্ট থেকেও খাওয়া যেতে পারে।
পার্কের চারপাশে রয়েছে খাবারের দোকান, যেখানে পাওয়া যায় তেলে ভাজা বাদাম, চপ, পকোড়া থেকে শুরু করে ঠাণ্ডা পানীয় পর্যন্ত নানা মুখরোচক খাবার। যারা একটু জমিয়ে খেতে চান, তাদের জন্য কাছাকাছি রয়েছে একাধিক রেস্টুরেন্ট, যেখানে দুপুর বা রাতের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি যদি সময় কাটাতে কাটাতে রাত হয়ে যায়, তাহলে এগরাতে থাকার জন্য ৭০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে ভাল মানের হোটেল ও লজও পাওয়া যায়। অনেক হোটেলেই খাবারের সুবিধা থাকে, আবার চাইলে বাইরের রেস্টুরেন্ট থেকেও খাওয়া যেতে পারে।
advertisement
6/6
এই পার্কে ঘুরে এসে স্থানীয় পর্যটক পিকু জানা বলেন, “আমি বহুবার দিঘা ঘুরতে গিয়েছি, কিন্তু ফেরার পথে এই পার্কে ঢোকার অভিজ্ঞতা একেবারেই আলাদা। এখানে ঢুকলেই মনে হয় যেন শহরের কোলাহল থেকে দূরে কোনও শান্ত জগতে এসে পড়েছি। ফুলের বাগান, ফোয়ারার দৃশ্য আর চারপাশের সাজান পরিবেশ মনকে অসাধারণ শান্তি দেয়। যাতায়াতের সুবিধা আর সাশ্রয়ী খরচের কারণে আমি সবাইকে একবার এখানে আসার পরামর্শ দেব।”
এই পার্কে ঘুরে এসে স্থানীয় পর্যটক পিকু জানা বলেন, “আমি বহুবার দিঘা ঘুরতে গিয়েছি, কিন্তু ফেরার পথে এই পার্কে ঢোকার অভিজ্ঞতা একেবারেই আলাদা। এখানে ঢুকলেই মনে হয় যেন শহরের কোলাহল থেকে দূরে কোনও শান্ত জগতে এসে পড়েছি। ফুলের বাগান, ফোয়ারার দৃশ্য আর চারপাশের সাজান পরিবেশ মনকে অসাধারণ শান্তি দেয়। যাতায়াতের সুবিধা আর সাশ্রয়ী খরচের কারণে আমি সবাইকে একবার এখানে আসার পরামর্শ দেব।”
advertisement
advertisement
advertisement