Paddy Cultivation: ধানক্ষেতে ভয়ানক শোষক পোকার আক্রমণ, ছাইয়ের মতো ঝরে পড়ছে ফসল! সিউড়িতে ধান চাষে চরম ক্ষতি, সরকারি সাহায্যের আশায় চাষিরা

Last Updated:
Paddy Cultivation: চাষিদের দাবি, দুর্গাপুজোর পর থেকেই শোষক পোকার হানা শুরু হয়। তবে গত দশদিনে ভয়াবহতা বহুগুণ বেড়েছে। নিয়মিত কীটনাশক প্রয়োগ করেও ফল মেলেনি।
1/5
সিউড়ি-১ ব্লকের বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতে শোষক পোকার ভয়াবহ আক্রমণে বিপর্যস্ত চাষিরা। বিশেষ করে ভুরকূনা পঞ্চায়েতের পানুরিয়া, ভূরকূনা, কামারডাঙা, মেহেরপুর ও ইঁটেকোলা গ্রামগুলিতে চাষের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। ধানের শীষে লালচে দাগ, পরে পুড়ে যাওয়া ও ছাইয়ের মতো ঝরে পড়ছে ধান। চাষিদের মতে, এই ধান আর খাওয়ার উপযোগী নয়, খড় হিসেবেও নয়। (ছবি ও তথ্যঃ সুদীপ্ত গড়াই)
সিউড়ি-১ ব্লকের বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতে শোষক পোকার ভয়াবহ আক্রমণে বিপর্যস্ত চাষিরা। বিশেষ করে ভুরকূনা পঞ্চায়েতের পানুরিয়া, ভূরকূনা, কামারডাঙা, মেহেরপুর ও ইঁটেকোলা গ্রামগুলিতে চাষের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। ধানের শীষে লালচে দাগ, পরে পুড়ে যাওয়া ও ছাইয়ের মতো ঝরে পড়ছে ধান। চাষিদের মতে, এই ধান আর খাওয়ার উপযোগী নয়, খড় হিসেবেও নয়। (ছবি ও তথ্যঃ সুদীপ্ত গড়াই)
advertisement
2/5
চাষিদের দাবি, দুর্গাপুজোর পর থেকেই শোষক পোকার হানা শুরু হয়। তবে গত দশদিনে ভয়াবহতা বহুগুণ বেড়েছে। নিয়মিত কীটনাশক প্রয়োগ করেও ফল মেলেনি। অনেক জায়গায় প্রতি বিঘায় কয়েক হাজার টাকার ওষুধ ব্যবহার করা হলেও ধানের ক্ষতি ঠেকানো যায়নি।
চাষিদের দাবি, দুর্গাপুজোর পর থেকেই শোষক পোকার হানা শুরু হয়। তবে গত দশদিনে ভয়াবহতা বহুগুণ বেড়েছে। নিয়মিত কীটনাশক প্রয়োগ করেও ফল মেলেনি। অনেক জায়গায় প্রতি বিঘায় কয়েক হাজার টাকার ওষুধ ব্যবহার করা হলেও ধানের ক্ষতি ঠেকানো যায়নি।
advertisement
3/5
পানুরিয়ার চাষি আশিষ কুমার মণ্ডল জানান, ৫০ বিঘা জমির মধ্যে প্রায় ১০ বিঘার ধান একেবারেই শেষ। একই অবস্থা নিমাই মণ্ডল, সাবের আলি শাহ ও কাজল সেখদের ক্ষেতেও। কাজল সেখ বলেন,
পানুরিয়ার চাষি আশিষ কুমার মণ্ডল জানান, ৫০ বিঘা জমির মধ্যে প্রায় ১০ বিঘার ধান একেবারেই শেষ। একই অবস্থা নিমাই মণ্ডল, সাবের আলি শাহ ও কাজল সেখদের ক্ষেতেও। কাজল সেখ বলেন, "৪৫ বিঘা জমিতে ধান করেছি, অর্ধেকটাই নষ্ট। কীটনাশক দিয়েও কিছু হল না।" চাষিদের আক্ষেপ, কীভাবে পরিবারের ভরণপোষণ করবেন তা জানেন না।
advertisement
4/5
পরিস্থিতি জানার পর মহকুমা ও ব্লক কৃষি আধিকারিকেরা ওই এলাকায় পরিদর্শনে যান। কৃষি দফতরের উদ্যোগে একটি বিশেষ শিবিরও করা হয়, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা শস্যবিমার টাকা সঠিকভাবে পান। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
পরিস্থিতি জানার পর মহকুমা ও ব্লক কৃষি আধিকারিকেরা ওই এলাকায় পরিদর্শনে যান। কৃষি দফতরের উদ্যোগে একটি বিশেষ শিবিরও করা হয়, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা শস্যবিমার টাকা সঠিকভাবে পান। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
advertisement
5/5
ভুরকূনা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অশোক বাউরী জানান,
ভুরকূনা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অশোক বাউরী জানান, "প্রায় সব মৌজায় এই অবস্থা। কৃষি দফতরকে জানিয়েছি, আধিকারিকেরাও এসে দেখে গিয়েছেন। আমরা চাই চাষিরা যেন দ্রুত বিমার টাকা পান।" চাষিদের একটাই আশা, "ফসল গেল, কিন্তু অন্তত ক্ষতিপূরণের টাকাটা যেন সময়মতো পাই।" (ছবি ও তথ্য: সুদীপ্ত গড়াই)
advertisement
advertisement
advertisement