পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ গড়তে সর্বস্ব ব্যয়! শেষ বয়সে কুঁড়ে ঘরে ঠাঁই, সময়ের স্রোতে অনেকেই ভুলতে বসেছেন ‘মাস্টারমশাই’কে
- Published by:Aishwarya Purkait
- hyperlocal
- Reported by:JULFIKAR MOLLA
Last Updated:
Teachers Day 2025: অসংখ্য শিক্ষার্থী তাঁর হাত ধরে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কেউ শিক্ষক, কেউ সেনাবাহিনীতে কর্মরত, কেউবা বড় পদে আসীন। অথচ সময়ের স্রোতে আজ অনেকেই ভুলে গিয়েছেন তাঁদের ‘মাস্টারমশাই’-কে।
সন্দেশখালি, উত্তর ২৪ পরগনা, জুলফিকার মোল্যা: শিক্ষক দিবসের দিন গোটা দেশ যখন গুরুজনদের সম্মান জানাচ্ছে, তখন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালি দুই নম্বর ব্লকের বউ ঠাকুরিনি ঘোলা পাড়ায় নিঃশব্দে বসবাস করছেন প্রবীণ শিক্ষক রাধাপদ ঘোষ। সারা জীবন ছাত্র-ছাত্রীদের মানুষ করার ব্রত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আজ নিজের শেষ বয়সে ভগ্নপ্রায় কুঁড়েঘরে, অভাব-অশান্তির মধ্যেই কাটছে দিন।
advertisement
সরকারি বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন রাধাপদ বাবু। শেষ কর্মস্থল ছিল বউ ঠাকুরানী উত্তমচন্দ্র বিদ্যাপীঠ, যেখানে তিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলেছিলেন। মাসিক উপার্জন যতটুকু হত, তার প্রায় পুরোটাই ব্যয় করেছেন দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গড়তে। নিজের জীবন-সংসারের কথা না ভেবে ছাত্রদের জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন প্রতিটি পয়সা। সংসার পাতেননি, বিয়ে করেননি। কারণ তাঁর একমাত্র সংসার ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়েই। (ছবি ও তথ্য: জুলফিকার মোল্যা)
advertisement
একসময় স্বাধীনতা সংগ্রামী লীলা রায়ের সান্নিধ্যে আসেন রাধাপদ বাবু। সেই বউ ঠাকুরানীর মাটির বাড়িতেই এখনও থাকেন তিনি। কিন্তু সেই ঘরের চাল আর দেয়াল ভেঙে পড়ার মতো অবস্থায়। শৌচাগার বা পরিষ্কার জলের ব্যবস্থাও নেই। যে সামান্য পেনশন পান, তার বড় অংশ খরচ করেন এক প্রাক্তন ছাত্রীর সংসারের জন্য, যাকে তিনি নিজের দায়িত্বে বিয়ে দিয়েছিলেন। নিজের জন্য বাকি থাকে খুবই সামান্য। (ছবি ও তথ্য: জুলফিকার মোল্যা)
advertisement
advertisement
advertisement