Oil Price Hike : সরষের তেলের দামে ঝাঁঝ! মহুয়া তেলই বিকল্প হয়ে উঠছে জঙ্গলমহলে...

Last Updated:
সরষের তেল (Mustard oil)বাজারে ১৯০ থেকে ২১০ টাকা প্রতি লিটার ও রাইসব্যান্ড অয়েল বা সয়াবিন তেল (Oil Price Hike) ১৭৫ থেকে ১৮৫ টাকা প্রতি লিটার। ফলে জঙ্গল থেকে কুড়িয়ে আনা মহুয়া বীজের (Mahua Oil) তেল কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের।
1/6
সর্ষের তেলের দামে আগুন। তাই মহুয়া তেলই ভরসা ওঁদের। মহুয়া বীজ থেকে তেল তৈরি করে তাতেই রান্না সারছেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের আদিবাসী রমনীরা। গায়ে মাখা থেকে ভাজাভুজি সবই চলছে ওই মহুয়া তেলে।
সর্ষের তেলের দামে আগুন। তাই মহুয়া তেলই ভরসা ওঁদের। মহুয়া বীজ থেকে তেল তৈরি করে তাতেই রান্না সারছেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের আদিবাসী রমনীরা। গায়ে মাখা থেকে ভাজাভুজি সবই চলছে ওই মহুয়া তেলে।
advertisement
2/6
বর্তমানে দিন দিন বেড়ে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। তার মধ্যে আকাশছোঁয়া দাম ভোজ্যতেলের। সরষের তেল বাজারে ১৯০ থেকে ২১০ টাকা প্রতি লিটার ও রাইসব্যান্ড অয়েল বা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮৫ টাকা প্রতি লিটার দরে। ফলে এইসময়ে জঙ্গল থেকে কুড়িয়ে আনা মহুয়া বীজের তেল কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের। তাঁরা মহুয়ার তেলেই মুখরোচক ভাজাভুজি খাবার থেকে শুরু করে অল্পস্বল্প রান্নাবান্নাও সেড়ে ফেলছেন। পাশাপাশি গায়ে মাখার জন্যও তারা এই তেল ব্যবহার করছেন।
বর্তমানে দিন দিন বেড়ে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। তার মধ্যে আকাশছোঁয়া দাম ভোজ্যতেলের। সরষের তেল বাজারে ১৯০ থেকে ২১০ টাকা প্রতি লিটার ও রাইসব্যান্ড অয়েল বা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮৫ টাকা প্রতি লিটার দরে। ফলে এইসময়ে জঙ্গল থেকে কুড়িয়ে আনা মহুয়া বীজের তেল কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের। তাঁরা মহুয়ার তেলেই মুখরোচক ভাজাভুজি খাবার থেকে শুরু করে অল্পস্বল্প রান্নাবান্নাও সেড়ে ফেলছেন। পাশাপাশি গায়ে মাখার জন্যও তারা এই তেল ব্যবহার করছেন।
advertisement
3/6
শাল পিয়াল মহুয়ার জঙ্গল ঘেরা আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা আউশগ্রাম। আর এই বিপুল সবুজ বনানীকে কেন্দ্র করেই রুজিরুটি নির্ভর করে এখানকার আদিবাসীদের। বন থেকে শাল পাতা, বেনা কাঠি, খেঁজুর পাতা সহ আরও নানান সামগ্রী তুলে এনে তাঁদের হাতের নিখুঁত কাজ দিয়ে শিল্পস্বত্তা ফুটিয়ে তোলেন ওঁরা। হাতেই তৈরি শাল পাতার থালা, বেনা ও খেঁজুর পাতার ঝাঁটা সহ ঘর সাজানোর রকমারি জিনিস বিক্রি করে টেনেটুনে সংসার ছলে এখানকার মানুষের।
শাল পিয়াল মহুয়ার জঙ্গল ঘেরা আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা আউশগ্রাম। আর এই বিপুল সবুজ বনানীকে কেন্দ্র করেই রুজিরুটি নির্ভর করে এখানকার আদিবাসীদের। বন থেকে শাল পাতা, বেনা কাঠি, খেঁজুর পাতা সহ আরও নানান সামগ্রী তুলে এনে তাঁদের হাতের নিখুঁত কাজ দিয়ে শিল্পস্বত্তা ফুটিয়ে তোলেন ওঁরা। হাতেই তৈরি শাল পাতার থালা, বেনা ও খেঁজুর পাতার ঝাঁটা সহ ঘর সাজানোর রকমারি জিনিস বিক্রি করে টেনেটুনে সংসার ছলে এখানকার মানুষের।
advertisement
4/6
করোনা পরিস্থিতির জন্য এই সব দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলিকে সংসার চালাতে এখন রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই বর্ষাকালে বন থেকে পাওয়া মহুয়ার বীজ এখন তাদের সংসারে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে। একটা একটা করে কুড়িয়ে আনা মহুয়ার বীজকে একত্রিত করে প্রথমে জলে ভিজিয়ে রাখা হয়। তারপর তার খোসা ছাড়ানো হয়। এরপর সেগুলিকে রোদে মেলে ভালো করে শুকানো হয়।
করোনা পরিস্থিতির জন্য এই সব দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলিকে সংসার চালাতে এখন রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই বর্ষাকালে বন থেকে পাওয়া মহুয়ার বীজ এখন তাদের সংসারে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে। একটা একটা করে কুড়িয়ে আনা মহুয়ার বীজকে একত্রিত করে প্রথমে জলে ভিজিয়ে রাখা হয়। তারপর তার খোসা ছাড়ানো হয়। এরপর সেগুলিকে রোদে মেলে ভালো করে শুকানো হয়।
advertisement
5/6
স্থানীয়রা জানান, কাছাকাছি মিল না থাকায় বীরভূমের ইলামবাজার গিয়ে শুকানো বীজ পিষিয়ে তাঁদের তেল বের করে আনতে হয়। তবে এই তেল সরষের তেলের মতো দেখতে হলেও শীতকালে জমে সাদা হয়ে যায়। তেলের যথেষ্ট উগ্র গন্ধও রয়েছে। মহুয়া তেলই এখন ভরসা হয়ে উঠেছে জঙ্গলমহলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের।
স্থানীয়রা জানান, কাছাকাছি মিল না থাকায় বীরভূমের ইলামবাজার গিয়ে শুকানো বীজ পিষিয়ে তাঁদের তেল বের করে আনতে হয়। তবে এই তেল সরষের তেলের মতো দেখতে হলেও শীতকালে জমে সাদা হয়ে যায়। তেলের যথেষ্ট উগ্র গন্ধও রয়েছে। মহুয়া তেলই এখন ভরসা হয়ে উঠেছে জঙ্গলমহলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের।
advertisement
6/6
জঙ্গল মহলের এই তেলের কথা অজানা নয় পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের।পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু জানিয়েছেন, বর্তমান দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সময়ে এই তেল বিকল্প হতে পারে। এর বানিজ্যিক ব্যবহার আদিবাসী সম্প্রদায়ের আয়ের পথ হতে পারে। তাই এই মহুয়া তেলকে বানিজ্যিকভাবে ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে জেলা পরিষদের তরফে।
জঙ্গল মহলের এই তেলের কথা অজানা নয় পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের।পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু জানিয়েছেন, বর্তমান দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সময়ে এই তেল বিকল্প হতে পারে। এর বানিজ্যিক ব্যবহার আদিবাসী সম্প্রদায়ের আয়ের পথ হতে পারে। তাই এই মহুয়া তেলকে বানিজ্যিকভাবে ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে জেলা পরিষদের তরফে।
advertisement
advertisement
advertisement