Human Interest Story: ‘আমার মৃত্যুর পর কেউ খাওয়াবে কিনা কে জানে’, পাঁচ-দশ হাজার নয়, তিন লক্ষ টাকা খরচ করে গোটা গ্রামকে ভোজ প্রাক্তন সেনাকর্মীর
- Reported by:Bonoarilal Chowdhury
- hyperlocal
- Published by:Debalina Datta
Last Updated:
Human Interest Story: মৃত্যুর পর খাওয়াবে কে! ৭৮ বছরের প্রাক্তনসেনা গ্রামবাসীদের মহাভোজে খরচ করলেন লক্ষাধিক টাকা!
মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা গ্রামবাসীদের ভোজ খাওয়াবেন কিনা সেই নিশ্চয়তা নেই! এ কারণে জীবিত থাকতেই নিজেই উদ্যোগ নিলেন তিনি। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার কোমরপুর গ্রামের বাসিন্দা ৭৮ বছরের শান্তিকুমার দাস দু’দিন ধরে গ্রামবাসীদের জন্য আয়োজন করলেন মহাভোজের। তাঁর কথায়, “এটি জীবন মহোৎসব অন্নদান। বৃন্দাবনের গুরুকুলে শিখেছি মানুষকে অন্নসেবা করালে পুন্য অর্জন হয়।”তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
কোমরপুরের দাসপাড়ার বাসিন্দা শান্তিকুমার দাস পেশায় ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ান। ১৯৭১ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯৮৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন। দুই ছেলের বাবা শান্তিকুমারবাবু স্ত্রী লক্ষ্মীদেবীর মৃত্যুর পর থেকেই নিজেকে আলাদা করে রেখেছেন। তিনি আলাদা থাকলেও এই বয়সেও যথেষ্ট শক্তিশালী,নিজেই রান্না করেন, নিয়ম করে তীর্থক্ষেত্রে যান। তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
স্ত্রী মারা যাওয়ার পর পাঁচ বছর ধরে তিনি একাই সংসার করছেন। দুই ছেলে একই বাড়িতে থাকলেও আলাদা আলাদা পরিবার গড়ে তুলেছেন।শান্তিকুমারবাবুকে বিভিন্ন বাড়ির প্রতিটি অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করা হয় এবং তিনিও সবার বাড়িতে খেতে যান। তাই নিজের জীবনে পাওয়া মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই তিনি বিশেষ উদ্যোগ নেন।তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুদিন ধরে চলা এই অনুষ্ঠানে ছিল রীতিমতো প্যান্ডেল করে ভোজের আয়োজন। প্রথম দিন মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, বেগুনি, পোস্ত, নবরত্ন, মাছ, চাটনি ও মিষ্টি। আর দ্বিতীয় দিনে গ্রামবাসীদের খাওয়ানো হয় খাসির মাংস-ভাত। সঙ্গে ছিল ডাল, তরকারি, মিষ্টি, পাপড় ও দই। দুদিনে প্রায় ১১০০ গ্রামবাসী ভোজে অংশ নেন। তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
এই দুই দিনের মহাভোজের জন্য সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান শান্তিকুমার দাস। কেন এই উদ্যোগ? উত্তরে তিনি বলেন, “গ্রামের প্রত্যেক বাড়ির অনুষ্ঠানে আমার নিমন্ত্রণ থাকে। আমি সবার বাড়িতে খেতে যাই। কিন্তু আমার মৃত্যুর পর বাড়ির লোকজন গ্রামবাসীদের খাওয়াবে কিনা জানা নেই। তাই জীবিত থাকতেই এই জীবন মহোৎসব অন্নদানের আয়োজন করেছি।”তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী









