Kali Puja Pandal Hopping: নৈহাটি-বারাসত নয়! কয়েকশো বছরের প্রাচীন একাধিক কালীপুজো দেখতে আসুন এই বিশেষ জায়গায়

Last Updated:
Kali Puja Pandal Hopping:সতীপীঠ জুড়ানপুর কালীবাড়ি: জুড়ানপুর কালীবাড়ি হলো পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কালীগঞ্জ ব্লকের একটি বিখ্যাত সতীপীঠ। 'মহাপীঠনিরূপণ তন্ত্র' অনুসারে, এটি ৫১টি সতীপীঠের মধ্যে একটি। এখানে দেবী জয়দুর্গা রূপে পুজিত হন। বহু দুর দুরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে সারা বছর ধরেই।
1/6
সামনেই কালীপুজো। দুর্গাপুজোর পরে অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব বাঙালির। নৈহাটি কিংবা বারাসাত নয়, নদিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গাতেও সাড়ম্বরে পালিত হয় কালীপুজো। দেখে নিন জেলার কোন কোন বিশেষ স্থানে বিশেষ পুজো ফুলো হয় কালীপুজোর দিনে।ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ
সামনেই কালীপুজো। দুর্গাপুজোর পরে অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব বাঙালির। নৈহাটি কিংবা বারাসাত নয়, নদিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গাতেও সাড়ম্বরে পালিত হয় কালীপুজো। দেখে নিন জেলার কোন কোন বিশেষ স্থানে বিশেষ পুজো ফুলো হয় কালীপুজোর দিনে।ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ
advertisement
2/6
নবদ্বীপের আগমেশ্বরী মাতা: আগমেশ্বরী মাতা হল পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপ ও শান্তিপুরে পুজিত কালী প্রতিমা। নবদ্বীপের সুপণ্ডিত তথা কালীসাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ এই পুজো শুরু করেন। নবদ্বীপের এই পুজো প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন। এছাড়া নদিয়ার শান্তিপুরে কৃষ্ণানন্দেরই বংশধর তাঁরই প্রপৌত্র সার্বভৌম আগমবাগীশ আনুমানিক ১৭০০ খ্রিষ্টাব্দে শান্তিপুরে এই পুজোর প্রচলন করেন। অর্থাৎ আজ থেকে ৩০০ বছর আগে শান্তিপুর আগমেশ্বরী মাতার পুজো প্রচলন।
নবদ্বীপের আগমেশ্বরী মাতা: আগমেশ্বরী মাতা হল পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপ ও শান্তিপুরে পুজিত কালী প্রতিমা। নবদ্বীপের সুপণ্ডিত তথা কালীসাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ এই পুজো শুরু করেন। নবদ্বীপের এই পুজো প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন। এছাড়া নদিয়ার শান্তিপুরে কৃষ্ণানন্দেরই বংশধর তাঁরই প্রপৌত্র সার্বভৌম আগমবাগীশ আনুমানিক ১৭০০ খ্রিষ্টাব্দে শান্তিপুরে এই পুজোর প্রচলন করেন। অর্থাৎ আজ থেকে ৩০০ বছর আগে শান্তিপুর আগমেশ্বরী মাতার পুজো প্রচলন।
advertisement
3/6
শান্তিপুরের চাঁদনী বাড়ির কালীপুজো: শান্তিপুরের চাঁদনী বাড়ির কালীপুজো হল ৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো একটি ঐতিহ্যবাহী পুজো, যা চৈতন্য মহাপ্রভুর গৃহশিক্ষক কাশীনাথ সার্বভৌম শুরু করেছিলেন। এটি একটি 'সাবেকিয়ানা' বা প্রাচীন রীতি মেনে করা হয় এবং এখানে 'ঘর চাঁদনী' ও 'বাহির চাঁদনী' নামে দুটি কালীর প্রতিমা পুজিত হয়।
শান্তিপুরের চাঁদনী বাড়ির কালীপুজো: শান্তিপুরের চাঁদনী বাড়ির কালীপুজো হল ৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো একটি ঐতিহ্যবাহী পুজো, যা চৈতন্য মহাপ্রভুর গৃহশিক্ষক কাশীনাথ সার্বভৌম শুরু করেছিলেন। এটি একটি 'সাবেকিয়ানা' বা প্রাচীন রীতি মেনে করা হয় এবং এখানে 'ঘর চাঁদনী' ও 'বাহির চাঁদনী' নামে দুটি কালীর প্রতিমা পুজিত হয়।
advertisement
4/6
সতীপীঠ জুড়ানপুর কালীবাড়ি: জুড়ানপুর কালীবাড়ি হলো পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কালীগঞ্জ ব্লকের একটি বিখ্যাত সতীপীঠ। 'মহাপীঠনিরূপণ তন্ত্র' অনুসারে, এটি ৫১টি সতীপীঠের মধ্যে একটি। এখানে দেবী জয়দুর্গা রূপে পুজিত হন। বহু দুর দুরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে সারা বছর ধরেই।
সতীপীঠ জুড়ানপুর কালীবাড়ি: জুড়ানপুর কালীবাড়ি হলো পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কালীগঞ্জ ব্লকের একটি বিখ্যাত সতীপীঠ। 'মহাপীঠনিরূপণ তন্ত্র' অনুসারে, এটি ৫১টি সতীপীঠের মধ্যে একটি। এখানে দেবী জয়দুর্গা রূপে পুজিত হন। বহু দুর দুরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে সারা বছর ধরেই।
advertisement
5/6
ধুবুলিয়ার বেলপুকুর গ্রামের কালীপুজো: ধুবুলিয়ার বেলপুকুর গ্রামে কালীপুজো অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী এবং প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এই পুজো করা হয়। কথিত আছে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপিতামহ রুদ্রের সময়ে ঢাকা বিক্রমপুর থেকে আসা তন্ত্রসাধক রামচন্দ্র ভট্টাচার্য এই পুজোর প্রচলন করেন। বর্তমানে গ্রামজুড়ে প্রায় দু'শোর বেশি কালীপুজো হয়, যার মধ্যে বেশিরভাগই দক্ষিণাকালী রূপে পুজিত হন। এছাড়াও, এখানে বারোয়ারি এবং ক্লাবের পুজোও হয়ে থাকে।
ধুবুলিয়ার বেলপুকুর গ্রামের কালীপুজো: ধুবুলিয়ার বেলপুকুর গ্রামে কালীপুজো অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী এবং প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এই পুজো করা হয়। কথিত আছে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপিতামহ রুদ্রের সময়ে ঢাকা বিক্রমপুর থেকে আসা তন্ত্রসাধক রামচন্দ্র ভট্টাচার্য এই পুজোর প্রচলন করেন। বর্তমানে গ্রামজুড়ে প্রায় দু'শোর বেশি কালীপুজো হয়, যার মধ্যে বেশিরভাগই দক্ষিণাকালী রূপে পুজিত হন। এছাড়াও, এখানে বারোয়ারি এবং ক্লাবের পুজোও হয়ে থাকে।
advertisement
6/6
নদিয়ার আড়ংঘাটার কালীপুজো: নদিয়ার আড়ংঘাটার কালীপুজো একটি বিখ্যাত উৎসব, যা মূলত একই মাঠে থাকা কয়েকটি ক্লাবের পুজোর জন্য পরিচিত। এই উৎসবের বিশেষত্ব হল বড় থিম-পান্ডেল, আধুনিক প্রতিমা এবং আলোকসজ্জা, যা দর্শকদের আকর্ষণ করে। প্রতি বছর কার্তিক মাসে, বিশেষ করে দীপাবলির রাতে এটি পালিত হয়। ইয়ং স্টার ক্লাবের মতো ক্লাবগুলো প্রতি বছর বিভিন্ন থিম ও আকর্ষণীয় প্রতিমা নিয়ে আসে, যা এই পুজোকে আরও জনপ্রিয় করে তোলে।  
নদিয়ার আড়ংঘাটার কালীপুজো: নদিয়ার আড়ংঘাটার কালীপুজো একটি বিখ্যাত উৎসব, যা মূলত একই মাঠে থাকা কয়েকটি ক্লাবের পুজোর জন্য পরিচিত। এই উৎসবের বিশেষত্ব হল বড় থিম-পান্ডেল, আধুনিক প্রতিমা এবং আলোকসজ্জা, যা দর্শকদের আকর্ষণ করে। প্রতি বছর কার্তিক মাসে, বিশেষ করে দীপাবলির রাতে এটি পালিত হয়। ইয়ং স্টার ক্লাবের মতো ক্লাবগুলো প্রতি বছর বিভিন্ন থিম ও আকর্ষণীয় প্রতিমা নিয়ে আসে, যা এই পুজোকে আরও জনপ্রিয় করে তোলে।
advertisement
advertisement
advertisement