তাঁতিরা বাজার থেকে কিনে আনেন সুতির সুতো। সেই সুতো দিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বানানো হয় এই সমস্ত সুতির গামছা। সুতো দিয়ে হাতে বোনা হয় বলে এই গামছা গুলি স্বাভাবিকভাবেই ওজনে হালকা হয়। এবং এতে জল মোছার ক্ষমতা বেশি হয় অন্যান্য মেশিনের বোনা গামছা তুলনায়। এর কারণ মেশিনের বোনা গামছায় মেশানো হয় পলেস্টার। সেই কারণে সেই সমস্ত গামছা ভারী হয়। সুতির গামছার মত মেশিনে বোনা গামছায় সুক্ষ সুক্ষ ছিদ্র না থাকায় এতে জল মোছার ক্ষমতাও কম হয়। এছাড়াও পলিয়েস্টারের গামছার থেকে সুতির গামছা মানুষের ত্বকের জন্য উপকারী বলে জানা যায়।
তবে সুতির গামছা মেশিনে বোনা গামছার তুলনায় দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হয় বর্তমানে তার চাহিদা কম। কিন্তু এখনও অনেক মানুষ আছেন যারা পয়সার কথা না ভেবে নিজের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই সুতির গামছা ব্যবহার করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। যে কারণে এখনো বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায় সেই সমস্ত হস্তচালিত তাঁতে বোনা সুতির গামছা। স্থানীয় এক দোকানদারের কথা অনুযায়ী হাতে বোনা সুতির একটি গামছার মূল্য বর্তমানে ১০০ থেকে ১২০ টাকা তার তুলনায় মেশিনে বোনা গামছা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সেই কারণে হাতে-বোনা গামছার থেকে মেশিনে বোনা গামছার বর্তমানে চাহিদা রয়েছে বেশি।
তবে হাতে বোনা গামছা মেশিনে বোনা গামছার তুলনায় মূল্য একটু বেশি হলেও মানুষের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। জানা যায় মেশিনে বোনা গামছায় অনেক সময় সম্পূর্ণ সুতির গামছা বোনা হয় না সেই কারণে সেই গামছা গুলির দাম কম হয়, তবে সেগুলি মানুষের চামড়ার জন্য খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয় বলে জানালেন স্থানীয় এক চিকিৎসক।