প্রকৃতির সবুজ পরিবেশে শান্ত হবে আপনার মন! কোথায় দেখুন 

বার্নপুর টাউন পুজো সমিতি ১৯৪৫ সালে এই পুজো সমিতি স্থাপিত হয়েছিল যার বর্তমান বয়স প্রায় ৮০ বছর। বার্নপুর শহরকে ইস্পাত নগরী বলা হয়। কারণ এই বার্নপুর শহর ইস্পাত শিল্পের জন্য বিখ্যাত। এই বানপুর শহরেই রয়েছে টাউন পুজো সমিতি। এখানে আসলে আপনার মন ভাল হয়ে যাবে। চারিদিকে সবুজ গাছে ঘেরা ও মন্দিরের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে আপনাকে একটি বার হলেও আসতে হবে এই মন্দিরে। (ছবি ও তথ্য রিন্টু পাঁজা)

এখানে একযোগে দেখতে পাবেন প্রায় দশ রকমের মন্দির। কালী, শিব, শনি মহারাজ, দুর্গা মন্দির, রাধা গোবিন্দ, বিষ্ণু দেবী বজরংবলী, গণেশ লক্ষ্মী সরস্বতী, মনসা মন্দির ও মা শীতলা মন্দির রয়েছে। এখানে প্রত্যেকদিন দুপুর বারটা নাগাদ মন্দিরে ভোগ নিবেদন করা হয়। বিশেষ করে শনিবার এবং মঙ্গলবার এই মন্দিরে ভক্তদের সমাগম বেশি হয়। (ছবি ও তথ্য রিন্টু পাঁজা)

মন্দিরের মধ্যেই রয়েছে একটি দোকান যে দোকানে পাবেন মিহিদানা লাড্ডু, বেসনের লাড্ডু এবং চাছির তৈরি প্যাড়া সহ আরও অনেক কিছু। এগুলি দিয়ে আপনি মন্দিরে ভোগ নিবেদন করতে পারবেন। (ছবি ও তথ্য রিন্টু পাঁজা)

মন্দিরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পুজোর সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকে এই দোকানগুলি। দোকানগুলিতে পেয়ে যাবেন ধূপবাতি থেকে শুরু করে মোমবাতি, ফুলের বিভিন্ন মালা, মধু, ঘি থেকে শুরু করে বাহারি পুজোর সামগ্রী পেয়ে যাবেন এখানে। পুজোর সামগ্রী বিক্রেতা উজ্জ্বল সিনহা বলেন " এখানে সকালে পুজো হয় এবং সন্ধ্যায় আরতি হয়। দোকানে পুজোর বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায়। ভালই বেচাকেনা হয়"। (ছবি ও তথ্য রিন্টু পাঁজা)

মন্দির থেকে বাইরে বেরিয়ে খেতে পারেন স্পেশাল চা। যেখানে পাবেন বাহারি রকমের স্পেশাল চা এবং কেউ যদি চান মনকে একটু ঠান্ডা করে নিতে তাহলে পেয়ে যাবেন কুলফি ও বিভিন্ন রকমের আইসক্রিমের সম্ভার।(ছবি ও তথ্য রিন্টু পাঁজা)

বাইরে থেকে কেউ আসতে চাইলে তাহলে কীভাবে আসবেন এই বার্নপুর টাউন পুজো সমিতিতে। প্রথমে আপনাকে আসতে হবে ট্রেনে বা বাসে করে আসানসোল। এরপর আসানসোল বাসস্ট্যান্ড থেকে বার্নপুর রুটের বাস ধরে আসতে হবে বার্নপুর বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে টোটো করে আসতে হবে আপনাকে বাড়ি ময়দান। এই বাড়ি ময়দানের এখানেই রয়েছে বার্নপুর টাউন পুজো সমিতি (ছবি ও তথ্য রিন্টু পাঁজা)