পৃথিবীকে রক্ষাই লক্ষ্য! কাঁথির 'এই' শিক্ষক যা করছেন, জানলে স্যালুট করবেন
- Published by:Sneha Paul
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
Tree Plantation: লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশে সময় পেলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন শ্যামল জানা। সঙ্গে থাকে তাঁর নিজস্ব তৈরি করা ট্রলি
<strong>পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতিঃ</strong> 'থাকব না কো বদ্ধ ঘরে, বৃক্ষ রোপণ বিশ্বজুড়ে'- এই স্লোগানকে সামনে রেখে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির শিক্ষক শ্যামল জানা এক অনন্য যাত্রায় চলেছেন। লক্ষ্য, বিশ্বজুড়ে পাঁচ হাজার বটবৃক্ষ রোপণ। ইতিমধ্যেই তিনি ভারতের বিভিন্ন রাজ্য সহ সীমান্ত ছাড়িয়ে প্রতিবেশী দেশগুলিতে বটগাছ রোপণ করে ফেলেছেন। শিক্ষক দিবসকে সামনে রেখে তাঁর এই মহৎ কর্মসূচিকে কুর্নিশ জানিয়েছে বহু মানুষ। শুধু শিক্ষক নন, তিনি আজ পরিবেশপ্রেমী হিসেবেও পরিচিত। সবুজের বার্তা ছড়িয়ে দিতে প্রতিনিয়ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
advertisement
'একটি গাছ একটি প্রাণ'- এই স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন শ্যামল জানা। বাংলার ২৩টি জেলায় বটবৃক্ষ রোপণের পাশাপাশি তিনি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও গাছ লাগিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সীমান্ত পেরিয়ে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশেও তাঁর হাতে রোপিত হয়েছে শতাধিক বটগাছের চারা। তাঁর এই প্রচেষ্টা বিশ্ব পরিবেশ আন্দোলনে এক নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। (ছবি ও তথ্যঃ মদন মাইতি)
advertisement
আজ পৃথিবী সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে বাড়ছে তাপমাত্রা, কোথাও কোথাও তা ৫০ ডিগ্রিও ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পৃথিবীকে রক্ষা করতে গাছ লাগানো প্রয়োজন। শ্যামল জানা মনে করেন, প্রকৃতি রক্ষায় আজ থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়া জরুরি। না হলে অদূর ভবিষ্যতে প্রাণের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে। তাই জাতির কল্যাণে ছুটির দিনগুলি তিনি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির জন্য উৎসর্গ করেছেন। (ছবি ও তথ্যঃ মদন মাইতি)
advertisement
লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশে সময় পেলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন শ্যামল জানা। সঙ্গে থাকে তাঁর নিজস্ব তৈরি করা ট্রলি, যাতে বটচারা আর মাটি খোঁড়ার গাঁইতি রাখা থাকে। বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান সহ প্রতিবেশী দেশগুলিতেও তিনি বটচারা রোপণ করেছেন। শ্যামল জানার এই অক্লান্ত পরিশ্রম শুধুমাত্র একটি স্বপ্নের দিকে এগিয়ে চলা নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলার সংকল্প। (ছবি ও তথ্যঃ মদন মাইতি)
advertisement
কাঁথির কুলাই পদিমা নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল জানা পরিবেশপ্রেমের জন্যও সমাদৃত। গাছ লাগানো এবং সেগুলির যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি তিনি সমাজকে প্লাস্টিকমুক্ত করার চেষ্টাও করছেন। শুধু তাই নয়, পশুপাখিদের জন্য তৈরি করেছেন 'বাপের হোটেল' নামক খাবারের জায়গা। সেখানে পাখিদের জন্য দানাশস্য ও পশুদের জন্য নানান খাদ্য রাখা হয়। শিক্ষক হলেও তাঁর নেশা পরিবেশ রক্ষা। স্বপ্ন বটবৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে পৃথিবীকে সবুজে ভরিয়ে দেওয়া। (ছবি ও তথ্যঃ মদন মাইতি)
advertisement
শ্যামল জানা বিশ্বাস করেন, শুধু নির্দিষ্ট দিনে অরণ্য দিবস পালন করলেই চলবে না, প্রতিদিনই অরণ্য দিবস হিসেবে পালন করতে হবে। তিনি বলেন, 'আমি এসি কেনার বিরোধী নই। তবে যারা বাড়িতে এসি লাগাচ্ছেন, তাঁরা অন্তত একটি গাছ লাগান। তাতেই পৃথিবী সুস্থ থাকবে। পৃথিবী আসলে আমাদের নিজেদের বাগান'। পরিবেশের প্রতি এমন অনুরাগী মানুষের প্রচেষ্টা সমাজকে সবুজ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখায়। তাঁর এই উদ্যোগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও দিশা দেখাচ্ছে। (ছবি ও তথ্যঃ মদন মাইতি)