India Bangladesh relations: বিরাট ধাক্কা বাংলাদেশের! উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে আসছে না বিশেষ ট্রেন, ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি
- Published by:Ratnadeep Ray
- hyperlocal
- Reported by:Ranjan Chanda
Last Updated:
India Bangladesh relations: ছোট-বড় সব মিলিয়ে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০-৬০ লক্ষ টাকা বা আরও বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। শহরের মিঞাবাজার, নিমতলাচক, নান্নুরচক, স্কুলবাজার এলাকার ভূষিমাল ও অ্যালুমিনিয়াম দোকান দিতেন ব্যবসায়ীরা।
পশ্চিম মেদিনীপুর: শুধু একটি মেলা নয়, দুই দেশের যেন মিলন কেন্দ্র হয়ে ওঠে মেদিনীপুর। প্রতিবছর শীত পার হতেই মেদিনীপুরে আসে বাংলাদেশের বিশেষ ট্রেন। প্রতিবছর উরস উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশের রাজবাড়িথেকে পুন্যার্থীদের নিয়ে বিশেষ মৈত্রী ট্রেন আসে মেদিনীপুরে। তবে এবারে ছন্দপতন, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এবার বাংলাদেশ থেকে মেদিনীপুরে আসবেনা এই বিশেষ ট্রেন।
advertisement
স্বাভাবিকভাবে একদিকে ব্যবসায়িক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন মেদিনীপুরের ব্যবসায়ীরা, অন্যদিকে আবার দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসনিক এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা। এই মেলায় একদিকে যেমন বিক্রি হয় ক্ষীরের গজা, তেমনই বাংলাদেশের পুণ্যার্থীরা মেদিনীপুর শহর থেকে নিয়ে যান অ্যালুমিনিয়ামের নানা জিনিস। স্বাভাবিকভাবে এই মেলা কে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক কোটি টাকার বিক্রি হয় মেদিনীপুর শহরে। যদিও এবারে সেই অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
advertisement
advertisement
ট্রেনে আসেন বাংলাদেশের প্রায় ২ হাজার পুণ্যার্থী। পূর্ণার্থীদের বিশেষ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বেছে নেয় বাংলাদেশের আঞ্জুমন-ই-কাদরী কমিটি। ফলে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে মেদিনীপুর শহরের এই জোড়া মসজিদ প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে দুই বাংলার মিলনস্থল। ১২৪তম বার্ষিক উরস উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশের রাজবাড়ি থেকে পুণ্যার্থীদের নিয়ে বিশেষ ‘মৈত্রী ট্রেন’ এ বার আর আসছে না মেদিনীপুর শহরে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে এ বার ছন্দপতন।
advertisement
advertisement
শহরের মিঞাবাজার, নিমতলাচক, নান্নুরচক, স্কুলবাজার এলাকার ভূষিমাল ও অ্যালুমিনিয়াম দোকান দেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ থেকে আশা পূর্ণ্যার্থীরা কেনেন। এছাড়াও উরস মেলায় নানা ধরনের কেনাকাটা-সহ প্রায় ২০-২৫ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে মেলা শুরু হয়েছে। চলবে ১৮ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার পর্যন্ত। একইভাবে একই আঙ্গিকে এই উৎসব শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। তবে দেশের স্বার্থে এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছেন মেদিনীপুরের ব্যবসায়ীরা।