সরকারি হাসপাতালের ভয়াবহ ছবি! নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না, চরম দুর্ভোগে রোগী পরিজনরা, অভিযোগের পাহাড়ে সমাধান অধরা

Last Updated:
Kanthi Sub-Divisional Hospital: কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের নিকাশি ব্যবস্থায় বেহাল দশা। পুরো হাসপাতাল চত্বর জুড়েই যেখানে-সেখানে বৃষ্টির জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। জমা জলের সঙ্গে মিশে রয়েছে নানা ধরনের ময়লা ও আবর্জনা, যা হাসপাতালের পরিবেশকে আরও অস্বাস্থ্যকর করে তুলেছে।
1/6
সরকারি হাসপাতালের ভয়াবহ ছবি। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির জেরে হাসপাতালের করিডোরে জমে গিয়েছে জল। শুধু হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ অংশেই নয়, পুরো হাসপাতাল চত্বর জুড়েই যেখানে-সেখানে বৃষ্টির জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এই জল দ্রুত নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সেটি এখন চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জমা জলের সঙ্গে মিশে রয়েছে নানা ধরনের ময়লা ও আবর্জনা, যা হাসপাতালের পরিবেশকে আরও অস্বাস্থ্যকর করে তুলেছে। এ ছবি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের। (ছবি ও তথ্য: মদন মাইতি)
সরকারি হাসপাতালের ভয়াবহ ছবি। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির জেরে হাসপাতালের করিডোরে জমে গিয়েছে জল। শুধু হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ অংশেই নয়, পুরো হাসপাতাল চত্বর জুড়েই যেখানে-সেখানে বৃষ্টির জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এই জল দ্রুত নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সেটি এখন চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জমা জলের সঙ্গে মিশে রয়েছে নানা ধরনের ময়লা ও আবর্জনা, যা হাসপাতালের পরিবেশকে আরও অস্বাস্থ্যকর করে তুলেছে। এ ছবি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের। (ছবি ও তথ্য: মদন মাইতি)
advertisement
2/6
দীর্ঘক্ষণ জল জমে থাকায় হাসপাতালের করিডরের মধ্যে থাকা রোগীর আত্মীয়রা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগের কাছে থাকা করিডরে জমে রয়েছে জল। তার উপর নোংরা আবর্জনা। এখানেই রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীর আত্মীয়েরা, যারা অসুস্থ প্রিয়জনের পাশে থাকার জন্য এসেছেন।
দীর্ঘক্ষণ জল জমে থাকায় হাসপাতালের করিডরের মধ্যে থাকা রোগীর আত্মীয়রা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগের কাছে থাকা করিডরে জমে রয়েছে জল। তার উপর নোংরা আবর্জনা। এখানেই রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীর আত্মীয়েরা, যারা অসুস্থ প্রিয়জনের পাশে থাকার জন্য এসেছেন।
advertisement
3/6
রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বারবার জানালেও এর কোন সুরাহা হয়নি। ময়লা-আবর্জনামিশ্রিত জমা জলের মধ্যেই তাদের দিন-রাত কাটাতে হচ্ছে। এমনিতেই অসুস্থ মানুষের সেবা করতে এসে তাদের মানসিক চাপ থাকে, তার উপরে এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।
রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বারবার জানালেও এর কোন সুরাহা হয়নি। ময়লা-আবর্জনামিশ্রিত জমা জলের মধ্যেই তাদের দিন-রাত কাটাতে হচ্ছে। এমনিতেই অসুস্থ মানুষের সেবা করতে এসে তাদের মানসিক চাপ থাকে, তার উপরে এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।
advertisement
4/6
এক রোগীর আত্মীয় শোভনলাল কর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'আমরা খুব সমস্যার মধ্যে পড়েছি। গুরুতর অসুস্থ রোগীকে নিয়ে এসেছি, অথচ তাদের পাশে থাকার জন্য আমাদের ঠাঁই হয়েছে এই জমা জলের মধ্যে। প্রতি রাতে এই আবর্জনা আর নোংরা জলের সঙ্গেই আমাদের রাত কাটাতে হচ্ছে, যা ভীষণ অস্বাস্থ্যকর'। তিনি আরও যোগ করেন, 'জলের মধ্যে স্রেফ নোংরা আবর্জনা ভেসে বেড়াচ্ছে। এই দুর্বিষহ অবস্থা সম্পর্কে আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছি, কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপই নেননি'।
এক রোগীর আত্মীয় শোভনলাল কর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'আমরা খুব সমস্যার মধ্যে পড়েছি। গুরুতর অসুস্থ রোগীকে নিয়ে এসেছি, অথচ তাদের পাশে থাকার জন্য আমাদের ঠাঁই হয়েছে এই জমা জলের মধ্যে। প্রতি রাতে এই আবর্জনা আর নোংরা জলের সঙ্গেই আমাদের রাত কাটাতে হচ্ছে, যা ভীষণ অস্বাস্থ্যকর'। তিনি আরও যোগ করেন, 'জলের মধ্যে স্রেফ নোংরা আবর্জনা ভেসে বেড়াচ্ছে। এই দুর্বিষহ অবস্থা সম্পর্কে আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছি, কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপই নেননি'।
advertisement
5/6
কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের এই করুণ চিত্র হাসপাতালের পরিষেবার দুর্বলতাকে স্পষ্ট করে তুলেছে। বৃষ্টির জল বের করার জন্য নিকাশি ব্যবস্থার ত্রুটিকেই মূলত এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছে রাজ্যের বিরোধী দল। জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী একটি হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগের সামনে এমন অচলাবস্থা কোনভাবেই কাম্য নয়। অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে পরিজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের এই করুণ চিত্র হাসপাতালের পরিষেবার দুর্বলতাকে স্পষ্ট করে তুলেছে। বৃষ্টির জল বের করার জন্য নিকাশি ব্যবস্থার ত্রুটিকেই মূলত এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছে রাজ্যের বিরোধী দল। জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী একটি হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগের সামনে এমন অচলাবস্থা কোনভাবেই কাম্য নয়। অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে পরিজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
advertisement
6/6
এই বিষয়ে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার অরূপ রতন করনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। সুপার বলেন, 'বিষয়টি দেখছি, জল বের করার চেষ্টা করছি'। কর্তৃপক্ষের এই আশ্বাস আদৌ কত দ্রুত কাজে পরিণত হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। (ছবি ও তথ্য: মদন মাইতি)
এই বিষয়ে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার অরূপ রতন করনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। সুপার বলেন, 'বিষয়টি দেখছি, জল বের করার চেষ্টা করছি'। কর্তৃপক্ষের এই আশ্বাস আদৌ কত দ্রুত কাজে পরিণত হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। (ছবি ও তথ্য: মদন মাইতি)
advertisement
advertisement
advertisement