Purba Bardhaman News: আউশগ্রামে বিলুপ্ত প্রায় ধুসর নেকড়ে ধরা পড়ল ট্র্যাপ ক্যামেরায়, শুরু বৃহৎ সমীক্ষা!
- Published by:Debamoy Ghosh
- local18
- Reported by:Bonoarilal Chowdhury
Last Updated:
দিল্লিতে দেখা পাওয়ার পর এবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জুড়ে নেকড়ের স্থায়ী বাসস্থান তৈরি হচ্ছে বলে নিশ্চিত হয়েছে বনদফতর।
ভারতীয় ধূসর নেকড়ে বিলুপ্তির পথে এগোলেও গত কয়েক মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার দেখা মিলেছে। দিল্লিতে দেখা পাওয়ার পর এবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জুড়ে নেকড়ের স্থায়ী বাসস্থান তৈরি হচ্ছে বলে নিশ্চিত হয়েছে বন দফতর। দুর্গাপুরের পরে আউশগ্রাম জঙ্গলেও লাগানো হয়েছে ট্র্যাপ ক্যামেরা, যাতে নেকড়ের গতিবিধি, সংখ্যা ও আচরণ নিরীক্ষণ করা যায়।তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
পূর্ব বর্ধমানের ডিএফও সঞ্চিতা শর্মা জানান, একটি এনজিওর সঙ্গে যৌথভাবে নেকড়ে গণনার কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত আউশগ্রাম জঙ্গলে ১৫টি নেকড়ের ছবি ধরা পড়েছে, যদিও সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেই তাঁদের অনুমান। পশ্চিম বর্ধমানের তুলনায় পূর্ব বর্ধমানেই নেকড়ের উপস্থিতি বেশি। তাই জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হচ্ছে বন দফতর।তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
আউশগ্রামের প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জঙ্গলজুড়ে লাগানো হয়েছে ১৫টি ট্র্যাপ ক্যামেরা। পানাগড় রেঞ্জেই রয়েছে ৮টি ক্যামেরা। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি শুরু হওয়া এই সমীক্ষা চলছে আউশগ্রাম–১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় আদুরিয়া, খাণ্ডারি, যাদবগঞ্জ সহ একাধিক জঙ্গলে। এনজিও ‘উইংস’-এর সম্পাদক অর্কজ্যোতি মুখোপাধ্যায় জানান, পানাগড়, দুর্গাপুর ও গুসকরা এই তিন রেঞ্জে ক্যামেরা বসানো হয়েছে এবং সমীক্ষা শেষে বন দফতরের হাতে রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে।তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম বর্ধমানে তিনটি ‘প্যাক’ ( নেকড়ের দল ) এর দেখা মিলেছে, যেখানে মোট নেকড়ের সংখ্যা ২০-এর বেশি। প্রতিটি দলে সাধারণত ৮-১৫টি নেকড়ে থাকে। দুর্গাপুর, মলানদিঘি, কাঁকসা, লাউদোহা এলাকাগুলিতে গণনার সময় বহু ছবি ধরা পড়েছে। পানাগড়ের রেঞ্জার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, জঙ্গলে চোরাশিকার নেই এবং স্থানীয় মানুষ গভীরে প্রবেশ করেন না,তাই নেকড়ে-সহ অন্যান্য প্রাণীর সংখ্যাও বাড়ছে।তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, অবলুপ্তির পথে থাকা ভারতীয় ধূসর নেকড়ে রক্ষায় এই সমীক্ষা অত্যন্ত জরুরি। খাদ্যাভ্যাস ও আচরণ বোঝা গেলে জ্বালানি কুড়াতে যাওয়া মানুষকে সচেতন করা সহজ হবে। পাশাপাশি দেখা গেছে, আউশগ্রামে হায়নার সংখ্যা-ও বাড়ছে। বন দফতরের দাবি হায়না মূলত মৃত পশুর মাংস খায়, আর ধূসর নেকড়ে খরগোশ, ময়ূর ও আশপাশের বাড়ির ছাগল শিকার করে। এসব তথ্য ট্র্যাপ ক্যামেরায় স্পষ্ট ধরা পড়ছে, যা ভবিষ্যতের সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী









