Father and Son Bonding: পরিবারের মাথায় হাত! বাঁচাতেই হবে ছেলেকে, ৭০ পেরোনো রাজমিস্ত্রী বাবা নিয়ে নিলেন চরম সিদ্ধান্ত
- Published by:Debalina Datta
- hyperlocal
- Reported by:Rudra Narayan Roy
Last Updated:
Father and Son Bonding: ছেলের দুটি কিডনি বিকল, গোটা পরিবারকে বাঁচাতে বাবা-ই নিলেন চরম সিদ্ধান্ত
advertisement
নানা জায়গায় চিকিৎসা করালেও, অবশেষে কয়েক সপ্তাহ আগে কলকাতার চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন তার দুটি কিডনিই বিকল। ফলে কিডনি বদল ছাড়া আর কোন উপায় নেই। এরপরই, চিকিৎসার জন্য পাড়া-প্রতিবেশীর সাহায্যে বেঙ্গালুরুে পৌঁছন সমীর। বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায়, খরচের বিষয়টি নিয়েও গোটা পরিবার চিন্তিত হয়ে পড়ে। পাশে দাঁড়ান প্রতিবেশী থেকে বন্ধু-বান্ধবরা। ভিন রাজ্যের চিকিৎসকরা বলেন সপ্তাহে তিনটি করে ডায়ালিসিস চলবে তার। শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে পরবর্তীতে আরও বাড়ানো হতে পারে তা। Photo- Representative (AI)
advertisement
স্বামী, শশুর, শাশুড়ি ও ছোট পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে সংসার বউমা নবনীতা ভৌমিকের। ব্যাগ তৈরি কারখানা রয়েছে বাড়িতে, ছেলেই একমাত্র সংসারে রোজগেরে বর্তমানে। তাই ছেলের কিছু হয়ে গেলে ভেসে যাবে গোটা পরিবার। সেই জায়গা থেকেই বাবা (শ্বশুর)ই ছেলেকে কিডনি দান করার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো পরীক্ষার নিরীক্ষা করে বছর সত্তরের অসীম ভৌমিকের একটি কিডনি ছেলেকে দানের প্রস্তুতি চলছে ভিন রাজ্যের হাসপাতালে।
advertisement
অসীম বাবু জানান, একটাই সন্তান তাই পরিবারকে বাঁচাতে সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ চাইছেন তাঁর কিডনিতেই বাঁচুক ছেলে, যাতে সংসার ভেসে না যায়। এদিন টালির চালের কোন রকমে মাথা গোজার ঠাঁইটুকুর সামনে দাঁড়িয়েই বউমা নবনীতা জানালেন, শ্বশুর রাজমিস্ত্রির কাজ করলেও বয়সের কারণে এখন আর কোনওভাবেই কাজ করতে পারেন না তিনি। চার বছর আগে স্ট্রোক হওয়ার কারণে প্যারালাইসিস হয়ে যায় শরীরের একাংশ। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে স্বামীও এখন কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে কাজ করতে অপারক। Photo- Representative (AI)
advertisement
গত কয়েক বছর ধরেই কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে তার। নানাভাবে চিকিৎসা করালেও অবশেষে কয়েক সপ্তাহ আগে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, তার দুটি কিডনি বিকল থাকায় বিকল্প কিডনি বসানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তার জন্য খরচ প্রায় নয় লক্ষ টাকা। আর্থিকভাবে সামর্থ্য না থাকায় এই ভৌমিক পরিবারকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পাড়া-প্রতিবেশী থেকে বন্ধু-বান্ধবরাও। বৌমা নবনীতা ভৌমিক এখন চাইছেন, স্বামীর পাশাপাশি সুস্থভাবেই ফিরুন শ্বশুরও। Input- Rudra Narayan Roy