East Bardhaman News: ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার নেশাই কঠিন পদক্ষেপ, বদলে দিল গ্রামের যুবকের ভাগ্য! এখন রাজত্ব ডলফিন জগতে
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Bonoarilal Chowdhury
Last Updated:
East Bardhaman News: গণেশ চৌধুরীর পরিচিতি কেবল ফটোগ্রাফার হিসেবে নয়, তিনি রাজ্যের ‘ডলফিন ম্যান’ নামেও বিখ্যাত।
নদিয়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম নয়াচরের বাসিন্দা গণেশ চৌধুরীর জীবনের গল্প যেন সিনেমার মতো। অভাবের সংসারে বড় হওয়া গণেশ ছোট থেকেই ছবি তোলার নেশায় মগ্ন। সেই নেশার টানেই একদিন মায়ের সোনার কানের দুল চুরি করে কিনে ফেলেছিলেন জীবনের প্রথম ক্যামেরা। ঠিক সেই ক্যামেরায় তোলা একটি ছবিই তাঁর ভাগ্য পরিবর্তন করে দেয়, পেয়ে যান জাতীয় পুরস্কার। আর এই পুরস্কারের টাকায় মাকে নতুন জোড়া কানের দুল কিনে দেন তিনি। (তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
গ্রামের অধিকাংশ মানুষ যেখানে চাষবাসেই ব্যস্ত থাকেন, সেখানে গণেশের পথ চলা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। কষ্টের মধ্যেই বেড়ে ওঠা এই যুবকের সৃজনশীলতা ও অধ্যবসায় তাঁকে নিয়ে গেছে দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও। থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ-সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আজ তাঁর ডাক আসে ছবি তোলার জন্য। তাঁর ক্যামেরায় বন্দি মুহূর্তগুলো পেয়েছে একাধিক সম্মান ও পুরস্কার।
advertisement
গণেশ চৌধুরীর পরিচিতি কেবল ফটোগ্রাফার হিসেবে নয়, তিনি রাজ্যের ‘ডলফিন ম্যান’ নামেও বিখ্যাত। বহু বছর ধরে গাঙ্গেয় শুশুক বা ডলফিন নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। এদের আচরণ, জীবনযাত্রা, স্বভাব সবকিছু সম্পর্কে রয়েছে গভীর জ্ঞান। গবেষণা বা শুটিং ডলফিন নিয়ে কাজ করতে হলে দেশ–বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা প্রথমেই মনে করেন তাঁকেই।
advertisement
ডলফিন নিয়ে কাজ করতে করতে মানুষ তাঁকে ‘ডলফিন ম্যান’ নামেই ডাকতে শুরু করেছে। মজার ছলে গণেশ নিজেও বলেন, “যেমন বনে থাকা মানুষকে সবাই বনমানুষ বলে, তেমনই আমি ডলফিন নিয়ে সারাদিন কাজ করি বলে অনেকে আমাকে ডলফিন ম্যান বলে ডাকেন। এটা আমার খুবই ভাল লাগে।” তিনি ভবিষ্যতেও ডলফিন সংরক্ষণ ও গবেষণা নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে চান।
advertisement
যে ছেলে একসময় মায়ের গয়না চুরি করে ক্যামেরা কিনেছিল, আজ তার আর ক্যামেরা কেনা নিয়ে ভাবতে হয় না। বড় বড় কোম্পানিগুলি নিজেরাই তাকে দামি ক্যামেরা উপহার দেয়। বিদেশি চ্যানেলের শুটিংয়ের কাজও এখন নিয়মিত করেন গণেশ। গ্রামের এই ছেলে আজ প্রতিষ্ঠিত ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার, গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে এগিয়ে চলেছেন নিজের স্বপ্নের পথে। (তথ্য ও ছবি: বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
