মৃত্যুতে জন্ম নতুন জীবনের! হারানো পরিজনের নামে ফলক বসানোর বদলে দুর্গাপুরের মানুষ যা করছেন...
- Reported by:Dipika Sarkar
- hyperlocal
- Published by:Nayan Ghosh
Last Updated:
২০১৭ সালে নিজেদের টাকা ব্যায় করে গাছ কিনে বৃক্ষরোপণ শুরু করেন। বর্তমানে প্রায় এক হাজার গাছ পরিচর্চা করে বড় করে তুলেছেন তাঁরা।
দূষণ রোধ করে সুস্থ পরিবেশ গড়ার লক্ষে একদল সচেতন মানুষ সারাবছর কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। তাঁদের কর্মকাণ্ড জানলে অবাক হবেন। দুর্গাপুর গোপালমাঠের প্রায় ২০ জন বাসিন্দা সারাবছর বন মহোৎসব পালন করেন। নিজেদের গ্যাঁটের টাকা খরচ করে বনাঞ্চল সৃষ্টি করছেন তাঁরা ওই এলাকাজুড়ে। <strong>(ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার)</strong>
advertisement
তবে সুস্থ সমাজ গড়তে শুধু নিজেরা সচেতন হলেই চলবে না। তাই তাঁরা এলাকাবাসীকে বৃক্ষরোপণে উৎসাহী করতে স্বর্গীয়দের স্মৃতিচারণায় বৃক্ষরোপণ করাতে শুরু করেন মৃতের পরিবার পরিজনদের দিয়ে। তাদের এই পন্থা ব্যাপকভাবে কার্যকরী হতে শুরু করেছে বেশ কয়েক বছরে। পাশাপাশি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে পশুপাখিদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ফলের বাগান। <strong>(ছবি ও তথ্য: দীপিকা সরকার)</strong>
advertisement
দুর্গাপুর পুরসভা এলাকা গোপালমাঠ। ওই এলাকার পাশে রয়েছে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট ও অদূরে রয়েছে ডিভিসি'র তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কারখানার ধোঁয়া ও ছাইয়ের দূষণে জেরবার এলাকাবাসী। এলাকার একটি বিস্তীর্ণ অংশে গাছগাছালির সংখ্যা কমে আসে এক সময়। তাই ফাঁকা এলাকা বনাঞ্চল গড়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। <strong>(ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার)</strong>
advertisement
এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষক কাজি নাজিমুদ্দিন সহ এলাকার বেশ কিছু বিশিষ্টজনেরা দূষণ রুখতে এলাকায় বৃক্ষরোপণের উদ্দ্যোগ নেন বহু বছর আগে। ২০১৭ সালে নিজেদের টাকা ব্যায় করে গাছ কিনে বৃক্ষরোপণ শুরু করেন। ইতিমধ্যেই শতাধিক গাছ বড় হয়ে বনাঞ্চল গড়ে উঠেছে এলাকায়। <strong>(ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার)</strong>
advertisement
প্রকৃতিপ্রেমী প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও মানস রায় বলেন,ওই রাস্তার আশপাশের জমির পলাশ ও খেজুরের গাছ কিছু অসচেতন মানুষ ওই সমস্ত গাছ কেটে জ্বালানির কাজে ব্যবহার করে নেন। একসময় ওই এলাকা প্রায় গাছ শূন্য হয়ে যায়। সেখানে দু'টি খেলার মাঠ আছে। গাছ না থাকায় খেলাধুলাতেও সমস্যা হত।বর্তমানে প্রায় এক হাজার গাছ পরিচর্চা করে বড় করে তুলেছেন তাঁরা। এছাড়াও প্রায় এক বিঘা জমিতে ফলের বাগান করেছেন পশুপাখিদের জন্য। <strong>(ছবি ও তথ্য: দীপিকা সরকার)</strong>
advertisement
তাদের পাশাপাশি বর্তমানে এলাকাবাসী ও সারা বছর বৃক্ষরোপণ করছেন এলাকায়। কেউ মারা গেলে তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি করে গাছ লাগান হয়।এবং সারা বছর জল দিয়ে পরিচর্যা করে তারা বড় করে তুলতে থাকেন গাছগুলিকে । ওই গাছের মধ্যেই বেঁচে থাকেন হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জন। <strong>(ছবি ও তথ্য : দীপিকা সরকার)</strong>








