Yaas Effect in West Bengal: দিঘায় নামল সেনা, মন্দারমণি থেকে কপিল মুনি- ভেসে গেল বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকা!

Last Updated:
Cyclone Yaas update: দিঘা, মন্দারমণি থেকে সাগরের কপিল মুনি আশ্রম বাদ রইল না কিছুই। একের পর এক এলাকা প্লাবিত হল প্রবল বৃষ্টি আর জলোচ্ছ্বাসে।
1/6
#দিঘা: নির্ধারিত সময়ের আগেই ওড়িশার ধামরা ও বালেশ্বরের মাঝে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas)। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ শুরু হয় ল্যান্ডফল। এখনও সেখানে তাণ্ডব চালাচ্ছে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু বাংলায় ইয়াস প্রবল তাণ্ডব না চালালেও সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস ও ভরা কোটালের কারণে বানভাসী হল বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকা। দিঘা, মন্দারমণি থেকে সাগরের কপিল মুনি আশ্রম বাদ রইল না কিছুই। একের পর এক এলাকা প্লাবিত হল প্রবল বৃষ্টি আর জলোচ্ছ্বাসে।
#দিঘা: নির্ধারিত সময়ের আগেই ওড়িশার ধামরা ও বালেশ্বরের মাঝে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas)। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ শুরু হয় ল্যান্ডফল। এখনও সেখানে তাণ্ডব চালাচ্ছে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু বাংলায় ইয়াস প্রবল তাণ্ডব না চালালেও সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস ও ভরা কোটালের কারণে বানভাসী হল বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকা। দিঘা, মন্দারমণি থেকে সাগরের কপিল মুনি আশ্রম বাদ রইল না কিছুই। একের পর এক এলাকা প্লাবিত হল প্রবল বৃষ্টি আর জলোচ্ছ্বাসে।
advertisement
2/6
ইয়াস আছড়ে পড়ার আগেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় দিঘা। উত্তাল ঢেউ এসে সমুদ্রের গার্ডরেল ভেঙে ‌ফেলে। গোটা দিঘা শহর জলমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কখনও সখনও নারকেল গাছের মাথা ছুঁয়ে ফেলছে সমুদ্রের ঢেউ। দিঘার বাসিন্দারা বলছেন, স্মরণকালে এই দৃশ্য আর দেখেননি তাঁরা। দিঘায় হাওয়ার গতি অন্তত ৮৮ কিলোমিটার/ ঘণ্টা।
ইয়াস আছড়ে পড়ার আগেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় দিঘা। উত্তাল ঢেউ এসে সমুদ্রের গার্ডরেল ভেঙে ‌ফেলে। গোটা দিঘা শহর জলমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কখনও সখনও নারকেল গাছের মাথা ছুঁয়ে ফেলছে সমুদ্রের ঢেউ। দিঘার বাসিন্দারা বলছেন, স্মরণকালে এই দৃশ্য আর দেখেননি তাঁরা। দিঘায় হাওয়ার গতি অন্তত ৮৮ কিলোমিটার/ ঘণ্টা।
advertisement
3/6
দিঘা, শঙ্করপুর, নামখানা, সুন্দরবন-সহ উপকূলের বেশ কিছু এলাকা ভেসে গিয়েছে। আর বুধবার সকালে যেন চেনা দায় দিঘা শহরকে। জলের তলায় চলে গিয়েছে বহু গাড়ি, বড় রাস্তায় কোমর সমান জল। পারে এসে আছড়ে পড়ছে দানবীয় এক-একটা ঢেউ। মন্দারমণিতেও একই রকম ভয়ঙ্কর চিত্র। জলে ভেসে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
দিঘা, শঙ্করপুর, নামখানা, সুন্দরবন-সহ উপকূলের বেশ কিছু এলাকা ভেসে গিয়েছে। আর বুধবার সকালে যেন চেনা দায় দিঘা শহরকে। জলের তলায় চলে গিয়েছে বহু গাড়ি, বড় রাস্তায় কোমর সমান জল। পারে এসে আছড়ে পড়ছে দানবীয় এক-একটা ঢেউ। মন্দারমণিতেও একই রকম ভয়ঙ্কর চিত্র। জলে ভেসে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
advertisement
4/6
বুধবার সকালে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, 'উপকূলবর্তী গ্রামগুলিতে জল ঢুকে গেছে। শুধু পূর্ব মেদিনীপুরেই ৫১টি নদীবাঁধ ভেঙে গেছে। সুন্দরবনের গোসাবার গ্রামগুলি প্লাবিত হয়ে গেছে। এখনই ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে। নন্দীগ্রাম থেকে ফোন পেয়েছি। গ্রামের পর গ্রাম ডুবে গিয়েছে ওখানে।'
বুধবার সকালে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, 'উপকূলবর্তী গ্রামগুলিতে জল ঢুকে গেছে। শুধু পূর্ব মেদিনীপুরেই ৫১টি নদীবাঁধ ভেঙে গেছে। সুন্দরবনের গোসাবার গ্রামগুলি প্লাবিত হয়ে গেছে। এখনই ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে। নন্দীগ্রাম থেকে ফোন পেয়েছি। গ্রামের পর গ্রাম ডুবে গিয়েছে ওখানে।'
advertisement
5/6
মুখ্যমন্ত্রী সকলের উদ্দেশে আবেদন করে বলেন, 'গোটা বাংলা এখন দুর্যোগ কবলিত। ভরা কোটালের জন্য বাংলায় বেশি সমস্যা হচ্ছে। আমি সবাইকে বলব, যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, ততক্ষণ কেউ প্লাবিত গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরবেন না। প্রশাসন অনুমতি দিলে তবেই বাইরে বার হবেন।' তাঁর কথায়, 'ঘূর্ণিঝড় ইয়াস তো এসেছেই। তার উপর বুধবার ভরা কোটালও চলছে সমুদ্রে। সে জন্যই প্লাবন বেশি হচ্ছে।'
মুখ্যমন্ত্রী সকলের উদ্দেশে আবেদন করে বলেন, 'গোটা বাংলা এখন দুর্যোগ কবলিত। ভরা কোটালের জন্য বাংলায় বেশি সমস্যা হচ্ছে। আমি সবাইকে বলব, যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, ততক্ষণ কেউ প্লাবিত গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরবেন না। প্রশাসন অনুমতি দিলে তবেই বাইরে বার হবেন।' তাঁর কথায়, 'ঘূর্ণিঝড় ইয়াস তো এসেছেই। তার উপর বুধবার ভরা কোটালও চলছে সমুদ্রে। সে জন্যই প্লাবন বেশি হচ্ছে।'
advertisement
6/6
প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের সতর্ক করা হয়েছে নবান্ন থেকে। বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে। আগে থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল, ইয়াসের প্রভাবে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। বাস্তবে হলও তাই।
প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের সতর্ক করা হয়েছে নবান্ন থেকে। বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে। আগে থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল, ইয়াসের প্রভাবে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। বাস্তবে হলও তাই।
advertisement
advertisement
advertisement