সমস্ত রকম দ্বিধা কাটিয়ে মৌসম ভবন ঘোষণা করে দিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকা আসছেই। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের কোথায় ল্যান্ডফল হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু নিশ্চিত করেনি আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গে ভারী বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে তার আগে চলতি সপ্তাহেও দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গে চলবে বৃষ্টিপাত চলবে ঝড়ো হাওয়া। (তথ্য--নয়ন ঘোষ)
যদিও দুদিন আগে আবহাওয়া দফতর দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছিল। সেই পূর্বাভাস মিলিয়ে গত বুধবার দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এদিন বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে মেঘলা আকাশ লক্ষ্য করা গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। দুপুরের পর থেকে রয়েছে বৃষ্টি নামার আশঙ্কা।
অন্যদিকে মৌসম ভবন সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে একটি গভীর নিম্নচাপ। আগামী শনিবার ৬ মে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে। যা রবিবার ৭ তারিখে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ৮ তারিখে সেই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপ তৈরি হবে। এরপর গভীর নিম্নচাপ ৯ তারিখে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকার দিকে কড়া নজর রেখেছে আবহাওয়া দফতর। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী চলছে বিশেষ নজরদারি। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আগেভাগে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য সতর্ক হয়ে থাকতে চাইছে রাজ্য সরকার। দেখা গিয়েছে, বিগত চার বছরে মে মাসে চারটি গভীর ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। যদি মোকা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে তা আমফানের মতই বিধ্বংসী হতে পারে। সেজন্য সতর্ক থাকতে চাইছে রাজ্য।
তাছাড়া আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী শনিবার থেকেই আবার আংশিক মেঘলা আকাশ দেখা যাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে সব জায়গায়। ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হলে, বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়বে। তবে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি বা উত্তরবঙ্গ নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাবে না। নিম্নচাপ নিজের যত শক্তি বাড়াবে, তত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। (তথ্য--নয়ন ঘোষ)