বৃষ্টি থামার নাম নেই, ২০১৭ সাল ফিরবে না তো? আশঙ্কায় ঘাটাল

Last Updated:
আশঙ্কার কথা হল আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা আছে। আর তা সত্যি হলে ঘাটালে বন্যার আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠবে। শিলাবতী ও ঝুমি নদীর জলস্তর যদি আরও বাড়ে তবে একাধিক গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়তে পারে। ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যার স্মৃতি উঁকি মারছে স্থানীয়দের মনে
1/6
নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে ফের বিপর্যয়ের ভ্রুকুটি ঘাটাল মহকুমা জুড়ে। সকাল থেকে রাত অবধি আকাশে কালো মেঘ, মাঝে মাঝে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বর্ষণ। কার্যত দুর্ভোগ নেমে এসেছে সাধারণ মানুষের জীবনে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এমন বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটে হাঁটাচলা করাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ঘরের ভেতরেও জল ঢোকার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কোথাও কোথাও।[ছবি ও তথ্য: মিজানুর রহমান]
advertisement
2/6
অবিরাম বৃষ্টির জেরে শিলাবতী ও ঝুমি নদীর জলস্তর ক্রমেই বাড়ছে। শুধু নদী নয়, কেঠিয়া ও পলাশপাই খালের জলও দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। নদীর জল বেড়ে উঠলে তার প্রভাব সরাসরি পড়ে আশপাশের গ্রামাঞ্চলে। ইতিমধ্যেই নদীর ধারের বেশ কিছু নিচু এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। এতে আতঙ্ক আরও বেড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।[ছবি ও তথ্য: মিজানুর রহমান]
advertisement
3/6
ঘাটালের বিভিন্ন এলাকায় জলমগ্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মাঠঘাট ভেসে যাচ্ছে, রাস্তায় হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে। ফলে নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে পড়ুয়া সকলেই যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রবল সমস্যায় পড়ছেন। স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাটবাজারে যাতায়াত কার্যত ব্যাহত হচ্ছে। কৃষকদের আশঙ্কা, ফসলের জমি জলে ডুবে যাওয়ায় বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।[ছবি ও তথ্য: মিজানুর রহমান]
advertisement
4/6
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। নদী ও খালের জলস্তরের উপর লাগাতার নজরদারি চালানো হচ্ছে। কোথাও বাঁধ ভেঙে গেলে বা জল ঢুকে পড়লে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। পাশাপাশি ত্রাণশিবির খোলার বিষয়েও আলোচনা চলছে। তবে প্রশাসনের এই উদ্যোগেও স্বস্তি পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। কারণ এরপরেও বৃষ্টি হয়ে চললে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা।[ছবি ও তথ্য: মিজানুর রহমান]
advertisement
5/6
আশঙ্কার কথা হল আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা আছে। আর তা সত্যি হলে ঘাটালে বন্যার আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠবে। শিলাবতী ও ঝুমি নদীর জলস্তর যদি আরও বাড়ে তবে একাধিক গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়তে পারে। ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যার স্মৃতি উঁকি মারছে স্থানীয়দের মনে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ আশঙ্কাজনক।[ছবি ও তথ্য: মিজানুর রহমান]
advertisement
6/6
এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে ঘাটালবাসীর। সকলেই বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় আছেন। নদীর ধার ঘেঁষে থাকা গ্রামগুলিতে রাত জেগে কাটাচ্ছে অনেক পরিবার, যে কোনও মুহূর্তে জল ঢুকে পড়তে পারে বাড়িঘরে। আতঙ্কে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছে পরিবারগুলি।[ছবি ও তথ্য: মিজানুর রহমান]
advertisement
advertisement
advertisement