Chaat Puja : নারকেলের দাম শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন, কুলো যেন মহার্ঘ্য! ছট পুজোর আগে বাজারে আগুন

ছট পুজোর বাজার আগুন। পুজো সামগ্রী থেকে কুলো, নারকেল দাম বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণে। শনিবার থেকে সূচনা হয়েছে ছট পুজোর। কিন্তু রীতিমত গত কয়েকবছরের ছট পুজোর বাজারের রেকর্ড ভেঙে দিতে চলেছে এবছরের ছট পুজো। জিনিসপত্রের দাম শুনলে রীতিমতো ভিমড়ি খাওয়ার জোগাড়। <strong>(ছবি ও তথ্য: সায়নী সরকার)</strong>

কালী পুজো পেরিয়ে শুরু হয়েছে ছট পুজো। বর্ধমান শহরে সেজে উঠছে ঘাটগুলি, চারিদিকে পুজোর আমেজ। কিন্তু পুজোর আমেজ এর মাঝেই চিন্তার ভাঁজ সাধারণ মানুষের কপালে। পুজোর সমস্ত জিনিসপত্রেরই দাম বাড়ছে হু হু করে। আর তাতেই রীতিমত কালঘাম ছুটছে পুজোব্রতীদের।

নারকেল আর কুলো যেন বিক্রি হচ্ছে 'সোনার দর'-এ। নারকেলের দাম অন্যান্য সময় যেখানে থাকে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে, সেই নারকেলের দামে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। আবার কোন কোন জায়গায় তার থেকেও বেশি। আর ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকার কুলো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে।

বর্ধমানের ঘোড়দৌড়চটি এলাকার বাসিন্দা ইলাবতী চৌধুরী বলেন, বর্ধমানের রাণীগঞ্জ বাজার থেকে ছট পুজোর সামগ্রী কিনতে এসেছিলাম। জিনিসপত্রের দাম শুনে রীতিমত দাঁড়িয়ে ভাবতে হচ্ছে কি কিনব। সব জিনিসপত্রের দাম অত্যাধিক হারে বেড়েছে এবার। ছটপুজোর অন্যতম অঙ্গ কুলোর দাম যা গতবার ছিল ৬০-৮০ টাকা, এবার তা এখনও পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছেন ১২০-১৩০ টাকা। সবথেকে দাম বেড়েছে নারকেলের। দাম বাড়ায় পুজো বন্ধ হবে না ঠিকই, কিন্তু আয়োজনে টান দিতে হচ্ছে। দাম বাড়ায় আয়োজন কম করে করতে বাধ্য হচ্ছি।

রাণীগঞ্জ বাজারের প্রায় ৪০ বছরের ব্যবসায়ী অমিয় কুমার দে জানান, সাধারণত ছট পুজোর জন্য বিশেষ ধরণের এই কুলো বর্ধমান বাজারে আসে দুমকা এবং ২৪ পরগণা থেকে। কিন্তু এবারে বৃষ্টিজনিত কারণে আমদানি কম হওয়ার কারণে শুরু থেকেই কুলোর দাম চড়া। তাঁরা তাঁদের চাহিদামত এবারে সরবরাহ পাননি। ফলে দাম চড়েছে। চাহিদা বাড়লে আগামী ২দিনে এই দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্ধমানের রাণীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী রঞ্জিত গোস্বামী জানিয়েছেন, গতবারের তুলনায় এবছর ছটের বাজারে সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। গতবার যা ছিল ৩০০ টাকা কেজি, এবারে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০০ টাকা। সেইরকম পুজোর বিভিন্ন উপচারের দামও বেড়েছে। <strong>(ছবি ও তথ্য: সায়নী সরকার)</strong>