Bunkers near Border: সন্দেহ ছিল, জেসিবি মাটি খুঁড়তেই আওয়াজ হল ঠকাং, তারপর একে একে খোঁজ মিলল, ভর্তি নিষিদ্ধ জিনিসে

: শনিবার সকালে আবারও তল্লাশি করে নতুন করে আরেকটি বাঙ্কার উদ্ধার করে বিএসএফ। এই নিয়ে মোট আমবাগান ও চাষের জমির একই এলাকা থেকে চারটি বাঙ্কার উদ্ধার করে বিএসএফ। এই বাঙ্কারগুলিতে থরে থরে বস্তা বস্তা ভরে সাজানো ছিল ফেনসিডিল। বাঙ্কারের উচ্চতা প্রায় ১০ থেকে ১২ ফুট, দৈর্ঘ্য ১৫ ফুট এবং প্রস্থ ১২ ফুট যা একেকটি বড় বড় কন্টেইনারের সমান। এই কাজ একদিনে করা সম্ভব নয় অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে ওই আম বাগানে ছিল এই লোহার বাঙ্কার।

বিএসএফ কর্মীরা নিষিদ্ধ ওষুধ ফেনসিডিল কাশির সিরাপের ৬২,২০০ বোতলের একটি বিশাল চালান আটক করেছে, যার মূল্য প্রায় ১.৪ কোটি টাকা। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ৩২ তম ব্যাটালিয়ন দ্বারা পরিচালিত এই অভিযানটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনের পর মাঝদিয়া শহরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে হয়েছিল।

তাহলে এখানেই উঠছে প্রশ্ন প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কিভাবেই তৈরি হল এই বাঙ্কার, যা একার দ্বারা তৈরি করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক বাঙ্কার তৈরি হয়েছে এবং একাধিক শ্রমিক বা মিস্ত্রি দিয়ে। সেই বাঙ্কার গুলি একে একে উদ্ধার করছে বা মাটির নিচে থেকে উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে বিএসএফ।

বাঙ্কার উদ্ধারের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে জেসিবি। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে। অন্যদিকে এত বাঙ্কার উদ্ধার হওয়ায় আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা।

প্রসঙ্গত শুক্রবার দিন ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে বাগানের ভিতর মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় তিনটি বাঙ্কার। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়ায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে তিনটি বাঙ্কার। স্বভাবতই পরপর দুদিন মোট চারটি বাঙ্কার উদ্ধার হওয়াতে ২৬ জানুয়ারির আগে বিএসএফের বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই বাঙ্কার উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় সাময়িক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। Input- Mainak Debnath