Bangla News: আতঙ্কের আরেক নাম বর্ধমান স্টেশন! কেন একই সিঁড়িতে বারবার দুর্ঘটনা, কী পর্যবেক্ষণ রেলের? উঠছে প্রশ্ন
- Published by:Salmali Das
- hyperlocal
- Reported by:Sayani Sarkar
Last Updated:
Bangla News: আতঙ্কে আরেক নাম বর্ধমান স্টেশন ? একের পর এক ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা। একাধিক রেলের গাফিলতি নিয়োগ প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা কিন্তু তাতেও কি তৎপর হয়েছে রেল ? ঘটেই চলেছে একের পর এক দুর্ঘটনা।
আতঙ্কের আরেক নাম বর্ধমান স্টেশন ? একের পর এক ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা। একাধিক রেলের গাফিলতি নিয়োগ প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা কিন্তু তাতেও কি তৎপর হয়েছে রেল ? ঘটেই চলেছে একের পর এক দুর্ঘটনা। পদপৃষ্টের ঘটনাও এই প্রথম নয় এর আগেও একইভাবে হুড়োহুড়িতে আহত হয়েছিলেন একাধিক যাত্রী। পদপৃষ্টের ঘটনা ছাড়াও স্টেশনের সামনের একাংশ ভেঙে পড়া, জল ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার মতো একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে এই বর্ধমান স্টেশনেই। এরপরও কি হুঁশ ফিরেছে রেলের ? আর কত দুর্ঘটনা ঘাটলে হুশ ফিরবে রেলের প্রশ্ন তুলছেন নিত্যযাত্রীরা। (ছবি ও তথ্য: সায়নী সরকার)
advertisement
২০১৯ সালের ৮ই নভেম্বর বর্ধমান স্টেশনে একইভাবে ঘটে পদপৃষ্টের ঘটনা। আহত হয়েছিলেন প্রায় ১০।দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল সেই ৪ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সিঁড়িতেই।৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়ছিল পুরুলিয়া লোকাল। একইসময়ে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকে পূর্বা এক্সপ্রেস। ট্রেন ধরার জন্য যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি,পদপিষ্ট হয় প্রায় ১০ জন।
advertisement
৪ ঠা জানুয়ারি ২০২০ সালে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বর্ধমান স্টেশনের প্রবেশ পথের সামনে ভবনের একাংশ।আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েক জন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে ভর্তি করা হয়েছিল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।স্টেশন জুড়ে চলছিল সৌন্দর্যায়নের কাজ। তার মধ্যেই ভেঙে পড়েছিল বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার মুখের একটি ঝুল-বারান্দা। পরে মৃত্যু হয় একজনের।
advertisement
২০২৩ সালের ১৩ ই ডিসেম্বর বর্ধমান স্টেশনের ২ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ১৩৩ বছরের পুরনো ট্যাঙ্কটির দু'দিকের লোহার চাদর ভেঙে পড়ে। জলের তোড় ও লোহার চাদরের ধাক্কায় প্ল্যাটফর্মের যাত্রী ছাউনি ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪ জনের।আহত হন ৩০ জনেরও বেশি যাত্রী।
advertisement
রবিবার সন্ধ্যায় অর্থাৎ ১২ ই অক্টোবর ২০২৫ আবারও ঘটে পদপৃষ্টের ঘটনা। আর ঘটনাস্থল সেই ৪-৫ নম্বর প্লাটফর্মে নামার সিঁড়ি। আহত হন প্রায় ৭ জন যাত্রী। ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে দুজনের আঘাত গুরুতর।স্টেশনের ৪ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামা-ওঠার সিঁড়িতে হুড়োহুড়ির জেরেই দুর্ঘটনা ঘটে। ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসে হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস। কর্ড লাইনে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসে হাওড়া-বর্ধমান যাওয়ার ট্রেন। আচমকা হাওড়া-বর্ধমান যাওয়ার ট্রেনটিকে মেন লাইনে করে দেওয়ায় ঘটে বিপত্তি।
advertisement
ঘটনার পর থেকেই রেলের পরিকাঠামো এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন যাত্রীরা।অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে ওই একই সিঁড়িতে দুর্ঘটনা ঘটলেও রেল প্রশাসন কার্যত উদাসীন। প্রতিবার ঘটনার পর কয়েকদিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া হয়, তারপর আবার আগের মতো হয়ে যায় সব কিছু।দুর্ঘটনা ঘটলেই বাড়ে রেলের তৎপরতা,তারপরই ফের একই ব্যাপার অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের।
advertisement
যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।রবিবার সন্ধ্যার ভয়াবহ পদপৃষ্টের ঘটনার পর সোমবার সকাল থেকেই বর্ধমান স্টেশনে দেখা গেল কিছুটা আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিআরপি ও আরপিএফ কর্মীরা টহল দিচ্ছেন নিয়মিত। তবে রেলের দীর্ঘদিনের গাফিলতি নিয়েই এখন প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ যাত্রীরা।
advertisement
অন্যদিকে দুর্ঘটনার পর রেল প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব যে প্রকট তা সামনে এসেছে। কারণ শনিবার রাত ১১ টার সময় যেমন বর্ধমান স্টেশনে হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম বিশাল কাপুর জানান বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ জন জখম যাত্রী ভর্তি আছেন। সেখনে ওই একই সময়ে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত প্রেস রিলিজে জানান ৩ জন যাত্রী ভর্তি আছেন হাসপাতালে।এখানে তাহলে প্রশ্ন উঠছে রেল প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় নিয়ে। যদিও ডিআরএম বিশাল কাপুর বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি জানান, ৮ জন যাত্রী ভর্তি আছেন। তার মধ্যে ৫ জন মহিলা। এর মধ্যে ৩ জনের আঘাত গুরুতর। (ছবি ও তথ্য: সায়নী সরকার)