Bharat Gaurav Ratna Shri Sammaan: তিনবার কোভিড পজিটিভ, তবু থামেননি! ‘ভারত গৌরব রত্ন শ্রী সম্মান’ পেলেন বাঁকুড়ার ভূমিপুত্র

Last Updated:
Bharat Gaurav Ratna Shri Sammaan: তিনবার কোভিড পজিটিভ হয়েও অটুট সেবা, বাঁকুড়ার ব্যবসায়ী পেলেন জাতীয় ‘ভারত গৌরব রত্নশ্রী সম্মান’।
1/6
কোভিড অতিমারির বিভীষিকাময় সময়ে যখন ভয়, অনিশ্চয়তা আর অসহায়তা গ্রাস করেছিল সমাজকে, তখন নিঃশব্দে মানবসেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত গড়ে তুলেছিলেন বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সংকটের সেই কঠিন দিনে টানা ৩৫ দিন ধরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৭৫ থেকে ১০০ জন রোগী এবং তাঁদের পরিবারকে প্রতিদিন দুই বেলা খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি।(ছবি ও তথ্য - নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)
কোভিড অতিমারির বিভীষিকাময় সময়ে যখন ভয়, অনিশ্চয়তা আর অসহায়তা গ্রাস করেছিল সমাজকে, তখন নিঃশব্দে মানবসেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত গড়ে তুলেছিলেন বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সংকটের সেই কঠিন দিনে টানা ৩৫ দিন ধরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৭৫ থেকে ১০০ জন রোগী এবং তাঁদের পরিবারকে প্রতিদিন দুই বেলা খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি।(ছবি ও তথ্য - নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)
advertisement
2/6
এই মানবিক উদ্যোগ কোনও একদিনের নয়, ছিল ধারাবাহিক ও সুসংগঠিত প্রয়াস। হাসপাতালের চত্বর, রোগীর আত্মীয়দের অপেক্ষার জায়গা, সবখানেই পৌঁছে যেত গরম খাবার। লকডাউন, যানবাহনের অভাব, আতঙ্ক- কোনও কিছুই তাঁকে থামাতে পারেনি। আশ্চর্যের বিষয়, এই সেবাকাজ করতে গিয়েই তিনি তিন তিনবার কোভিড পজিটিভ হন। তবুও সুস্থ হয়েই ফের ফিরে আসেন সেবার ময়দানে।
এই মানবিক উদ্যোগ কোনও একদিনের নয়, ছিল ধারাবাহিক ও সুসংগঠিত প্রয়াস। হাসপাতালের চত্বর, রোগীর আত্মীয়দের অপেক্ষার জায়গা, সবখানেই পৌঁছে যেত গরম খাবার। লকডাউন, যানবাহনের অভাব, আতঙ্ক- কোনও কিছুই তাঁকে থামাতে পারেনি। আশ্চর্যের বিষয়, এই সেবাকাজ করতে গিয়েই তিনি তিন তিনবার কোভিড পজিটিভ হন। তবুও সুস্থ হয়েই ফের ফিরে আসেন সেবার ময়দানে।
advertisement
3/6
এই নিঃস্বার্থ সমাজসেবার স্বীকৃতি হিসেবেই সম্প্রতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় পেলেন ‘ভারত গৌরব রত্নশ্রী সম্মান’। যা একটি উল্লেখযোগ্য জাতীয় সম্মান। বাঁকুড়ার মাটিতে জন্ম নেওয়া এক ব্যবসায়ীর হাতে এমন মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার উঠে আসায় গর্বিত গোটা জেলা। সমাজসেবার মানচিত্রে আরও একবার উজ্জ্বল হল বাঁকুড়ার নাম।
এই নিঃস্বার্থ সমাজসেবার স্বীকৃতি হিসেবেই সম্প্রতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় পেলেন ‘ভারত গৌরব রত্ন শ্রী সম্মান’। যা একটি উল্লেখযোগ্য জাতীয় সম্মান। বাঁকুড়ার মাটিতে জন্ম নেওয়া এক ব্যবসায়ীর হাতে এমন মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার উঠে আসায় গর্বিত গোটা জেলা। সমাজসেবার মানচিত্রে আরও একবার উজ্জ্বল হল বাঁকুড়ার নাম।
advertisement
4/6
আসলে প্রসেনজিতের সমাজসেবার ইতিহাস শুধুই কোভিড সময়ে সীমাবদ্ধ নয়। ছোটবেলা থেকেই পশুপ্রেমী এই মানুষটি বরাবরই আড়ালেই কাজ করতে স্বচ্ছন্দ। প্রতিবছর নিজ উদ্যোগে পাঁচ থেকে ছয়টি রক্তদান শিবির চক্ষু শিবির, চিকিৎসা শিবির আয়োজন ও পরিচালনা করে আসছেন তিনি। কোনও প্রচার নয়, মানুষের পাশে থাকা, এটাই তাঁর মূল দর্শন।
আসলে প্রসেনজিতের সমাজসেবার ইতিহাস শুধুই কোভিড সময়ে সীমাবদ্ধ নয়। ছোটবেলা থেকেই পশুপ্রেমী এই মানুষটি বরাবরই আড়ালেই কাজ করতে স্বচ্ছন্দ। প্রতিবছর নিজ উদ্যোগে পাঁচ থেকে ছয়টি রক্তদান শিবির, চক্ষু শিবির, চিকিৎসা শিবির আয়োজন ও পরিচালনা করে আসছেন তিনি। কোনও প্রচার নয়, মানুষের পাশে থাকা, এটাই তাঁর মূল দর্শন।
advertisement
5/6
এছাড়াও প্রতিবছর দুর্গাপুজোর সময় আঁচুড়ি কুষ্ঠ চিকিৎসালয় এবং বাবা মা হারা শিশুদের বস্ত্র প্রদান তাঁর নিয়মিত মানবিক কর্মসূচির অংশ। সমাজের প্রান্তিক মানুষদের মুখে হাসি ফোটানোই তাঁর কাছে আসল উৎসব। বছরের পর বছর ধরে এই ধারাবাহিক সেবাকাজই আজ তাঁকে এনে দিয়েছে জাতীয় স্বীকৃতি।
এছাড়াও প্রতিবছর দুর্গাপুজোর সময় আঁচুড়ি কুষ্ঠ চিকিৎসালয় এবং বাবা মা হারা শিশুদের বস্ত্র প্রদান তাঁর নিয়মিত মানবিক কর্মসূচির অংশ। সমাজের প্রান্তিক মানুষদের মুখে হাসি ফোটানোই তাঁর কাছে আসল উৎসব। বছরের পর বছর ধরে এই ধারাবাহিক সেবাকাজই আজ তাঁকে এনে দিয়েছে জাতীয় স্বীকৃতি।
advertisement
6/6
সম্মান গ্রহণের পর আবেগঘন কণ্ঠে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই সম্মান একার নয়। এটা বাঁকুড়ার মানুষের জন্য, বাঁকুড়ার মাটির জন্য। আমি ধন্য এবং আরও বেশি করে অনুপ্রাণিত।” সমাজসেবায় এই নতুন পালক নিঃসন্দেহে বাঁকুড়ার মুকুটকে আরও উজ্জ্বল করল। (ছবি ও তথ্য - নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)
সম্মান গ্রহণের পর আবেগঘন কণ্ঠে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই সম্মান একার নয়। এটা বাঁকুড়ার মানুষের জন্য, বাঁকুড়ার মাটির জন্য। আমি ধন্য এবং আরও বেশি করে অনুপ্রাণিত।” সমাজসেবায় এই নতুন পালক নিঃসন্দেহে বাঁকুড়ার মুকুটকে আরও উজ্জ্বল করল। (ছবি ও তথ্য - নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)
advertisement
advertisement
advertisement