Alcohol: রেকর্ড মদ বিক্রি! কোন মদ বিক্রি হল সবচেয়ে বেশি জানেন, শুনলে কিন্তু চমকে উঠবেন সকলে

পুজোর মরশুমে দেদার মদ বিক্রি হয়েছে বাঁকুড়া জেলায়। তথ্য দিল জেলা আবগারি দফতর। মদ বিক্রির রেকর্ডটা প্রতিবছর ভেঙে যায়। উঠতি জনসংখ্যা, সঙ্গে উৎসব প্রেমীদের পুজোর মরশুমে ছুটি কাটানোর আবেগের কারণে জেলায় মদ বিক্রি পৌঁছেছে অন্য মাত্রায়।

পিছিয়ে নেই পাশের জেলা পুরুলিয়াও। পুজোর মরশুম বলতে, মহাষষ্ঠী থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত।

বাঁকুড়াতে পুজোর দিনগুলিতে মদের বিক্রির রেকর্ড গত বছরকে ছাপিয়েছে এক লাফে। বিদেশি মদের বিক্রি বেড়েছে, দেশি মদের চাহিদা তুঙ্গে। সূত্রের খবর অনুযায়ী এ বার জেলায় মদ বিক্রি হয়েছে ১০ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকার কাছাকাছি যা সামগ্রিক ভাবে ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি।

বাঁকুড়া জেলাতে দেশি মদের চাহিদা অব্যাহত। মদের চাহিদা পুজোর দিনগুলোতে অন্য মাত্রা পেয়েছে। সামগ্রিকভাবে বাঁকুড়া জেলায় দেশি মদের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি।

গ্রামে গঞ্জে এবং বাঁকুড়ার প্রান্তিক এলাকায় বেশি মদ বিক্রি হয়েছে প্রচুর। তবে পর্যটনকেন্দ্রগুলি এগিয়ে রয়েছে বিদেশি মদবিক্রির ক্ষেত্রে যেমন, মুকুটমণিপুর এবং বিষ্ণুপুরের মতো।

মুকুটমণিপুরের ব্যবসায়ীরা জানান, "যারা বাইরে থেকে ঘুরতে আসেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই জেলার বাইরে থেকে আসেন। কয়েক দিনের ছুটিতে একটু রিলাক্স করতে চান।তাদের মধ্যে চাহিদা থাকে, বিদেশি মদের। পুজোতে মুকুটমণিপুরে দুই দিন ভিড় হয়েছিল, এই দুই দিনে বিদেশি মদ বেশি বিক্রি হয়েছে।"

বাঁকুড়ার মতো প্রান্তিক জেলাতে, খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি। যাঁরা দিন আনে দিন খায়, দিনমজুরি করেন, তাঁরা পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনের রোজগার তুলে নেন।

রোজগারের খাতা থেকে কিছু পয়সা বাঁচিয়ে দেশিমদই একমাত্র অপশন হয়ে দাঁড়ায়। অপরদিকে, আবহাওয়ার কারণে বিয়ারের চাহিদা ওঠানামা করে। দুর্গা পুজো থেকে শীতের প্রভাব খুব একটা বেশি বোঝা যায়নি, সেই কারণেই হয়তো পুজোয় বিয়ারের চাহিদা কমেছে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে। (রিপোর্টার-- নীলাঞ্জন ব্যানার্জী)