Digha: দিঘায় আসাই কাল হল...! ২৬ বছরেই মর্মান্তিক মৃত্যু হুগলির যুবকের, জগন্নাথ মন্দিরের ঘাটে ভেসে উঠল নিথর দেহ, শোক-হাহাকার পরিবারে

Last Updated:
Digha: এক ঢেউয়ে সব শেষ! দীঘায় তলিয়ে গেল হুগলির যুবক। সোমবার দুপুরে স্নান করতে গিয়ে গভীর সমুদ্রের স্রোতে তলিয়ে যান তিনি। নিখোঁজ ছিলেন সারা রাত। মঙ্গলবার সকালে তাঁর দেহ ভেসে ওঠে নিউ দিঘার জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন ঘাটে।
1/9
দিঘার সৈকতে বেড়াতে এসে প্রাণ হারাতে হল হুগলির এক যুবককে। সামান্য অবকাশ যাপনের উদ্দেশে সমুদ্রের ধারে ছুটি কাটাতে এসে প্রাণটাই দিয়ে ফেললেন ২৬ বছরের স্বপন মালিক।
দিঘার সৈকতে বেড়াতে এসে প্রাণ হারাতে হল হুগলির এক যুবককে। সামান্য অবকাশ যাপনের উদ্দেশে সমুদ্রের ধারে ছুটি কাটাতে এসে প্রাণটাই দিয়ে ফেললেন ২৬ বছরের স্বপন মালিক।
advertisement
2/9
সোমবার দুপুরে স্নান করতে গিয়ে গভীর সমুদ্রের স্রোতে তলিয়ে যান তিনি। নিখোঁজ ছিলেন সারা রাত। মঙ্গলবার সকালে তাঁর দেহ ভেসে ওঠে নিউ দিঘার জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন ঘাটে। এই ঘটনার পর দিঘার সমুদ্রসৈকতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে।
সোমবার দুপুরে স্নান করতে গিয়ে গভীর সমুদ্রের স্রোতে তলিয়ে যান তিনি। নিখোঁজ ছিলেন সারা রাত। মঙ্গলবার সকালে তাঁর দেহ ভেসে ওঠে নিউ দিঘার জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন ঘাটে। এই ঘটনার পর দিঘার সমুদ্রসৈকতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে।
advertisement
3/9
হুগলির ধনেখালির বাসিন্দা স্বপন মালিক। পেশায় ছিলেন একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’দিন আগে ছুটি কাটাতে দিঘায় আসেন স্বপন। উঠেছিলেন তাঁর মামা তপন সানার বাড়িতে। তপনবাবু কর্মসূত্রে দিঘার উত্তর খাদালগোবরা এলাকায় থাকেন।
হুগলির ধনেখালির বাসিন্দা স্বপন মালিক। পেশায় ছিলেন একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’দিন আগে ছুটি কাটাতে দিঘায় আসেন স্বপন। উঠেছিলেন তাঁর মামা তপন সানার বাড়িতে। তপনবাবু কর্মসূত্রে দিঘার উত্তর খাদালগোবরা এলাকায় থাকেন।
advertisement
4/9
সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ ওল্ড দিঘার সি-হক সংলগ্ন ঘাটে মামা-ভাগ্নে একসঙ্গে স্নান করতে নামেন। সমুদ্র ছিল ভয়ঙ্কর উত্তাল। নুলিয়ারা তাদের সাবধান করলেও, সেই সতর্কতা মানেননি তাঁরা। বরং এগিয়ে যান আরও গভীর জলের দিকে।
সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ ওল্ড দিঘার সি-হক সংলগ্ন ঘাটে মামা-ভাগ্নে একসঙ্গে স্নান করতে নামেন। সমুদ্র ছিল ভয়ঙ্কর উত্তাল। নুলিয়ারা তাদের সাবধান করলেও, সেই সতর্কতা মানেননি তাঁরা। বরং এগিয়ে যান আরও গভীর জলের দিকে।
advertisement
5/9
আচমকাই বিশাল এক ঢেউয়ের ধাক্কায় দু’জনেই তলিয়ে যেতে থাকেন। তপনবাবুকে কোনওরকমে টেনে তুলতে সক্ষম হন ডিউটিতে থাকা নুলিয়া ও স্থানীয় পর্যটকরা। কিন্তু স্বপনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আচমকাই বিশাল এক ঢেউয়ের ধাক্কায় দু’জনেই তলিয়ে যেতে থাকেন। তপনবাবুকে কোনওরকমে টেনে তুলতে সক্ষম হন ডিউটিতে থাকা নুলিয়া ও স্থানীয় পর্যটকরা। কিন্তু স্বপনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
advertisement
6/9
রাতভর ধরে চলে খোঁজাখুঁজি। দীঘা মোহনা কোস্টাল থানার পুলিশ অক্লান্ত চেষ্টায় খোঁজাখুঁজির। অবশেষে মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৪৫ নাগাদ নিউ দিঘার জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন ঘাটে ভেসে ওঠে এক যুবকের দেহ।
রাতভর ধরে চলে খোঁজাখুঁজি। দীঘা মোহনা কোস্টাল থানার পুলিশ অক্লান্ত চেষ্টায় খোঁজাখুঁজির। অবশেষে মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৪৫ নাগাদ নিউ দিঘার জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন ঘাটে ভেসে ওঠে এক যুবকের দেহ।
advertisement
7/9
পরে জানা যায়, সেটিই স্বপন মালিকের নিথর শরীর। তাঁকে দ্রুত দিঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সদস্যরা তাঁর দেহ শনাক্ত করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে।
পরে জানা যায়, সেটিই স্বপন মালিকের নিথর শরীর। তাঁকে দ্রুত দিঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সদস্যরা তাঁর দেহ শনাক্ত করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে।
advertisement
8/9
স্বপনের অকালমৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। বেড়াতে এসে এমন মর্মান্তিক পরিণতি যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তার আত্মীয় স্বজনরা।
স্বপনের অকালমৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। বেড়াতে এসে এমন মর্মান্তিক পরিণতি যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তার আত্মীয় স্বজনরা।
advertisement
9/9
এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল দিঘা-সহ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। সমুদ্রসৈকতে প্রচুর ভিড় থাকলেও পর্যাপ্ত নজরদারির যথাযথ প্রচার কি হচ্ছে? নাকি বারবার একই ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে প্রাণের বিনিময়ে।
এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল দিঘা-সহ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। সমুদ্রসৈকতে প্রচুর ভিড় থাকলেও পর্যাপ্ত নজরদারির যথাযথ প্রচার কি হচ্ছে? নাকি বারবার একই ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে প্রাণের বিনিময়ে।
advertisement
advertisement
advertisement