সমানে জলের শব্দ...! এতক্ষণ 'স্নানঘরে' কী করে বৌমা? উঁকি দিতেই যা দেখা গেল...শাশুড়ি জ্ঞান হারালেন!

এত ক্ষণ ধরে স্নানঘরে কী করে বৌমা? ভেবেই পান না শাশুড়ি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে স্নান করে চলেছেন সদ্য বিবাহিত সেই তরুণী। যদিও বিয়ের আগেই জানানো হয়েছিল পাত্রীর এই অভ্যাসের কথা। আপত্তি তোলেনি পাত্রপক্ষ। বিয়েও হয়ে যায়। কিন্তু তার পর যা হল...অকল্পনীয়!

মাত্র সাত মাস আগেই বিয়ে হয় দম্পতির। বিয়ের পর সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। হঠাৎ একদিন কাজের জন্য একসঙ্গে বাড়ির বাইরে বের হন যুবক, তাঁর বাবা, মা। তখন বাড়িতে একা ছিলেন তাঁর স্ত্রী। সে সময় স্নান করতে ঢুকেছিলেন। বাড়ি ফিরে শাশুড়ি দেখেন, তখনও স্নানঘরে জল পড়ার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।

প্রথমে মনে করেছিলেন, হয়তো বধূ এখনও স্নান করছেন। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ পরেও পরিস্থিতির বদল না হওয়ায় সন্দেহ হয় তাঁর। স্নানঘরের দরজা ঠেলে উঁকি দেন শাশুড়ি। আর তখনই চোখ ছানাবড়া!

এরপর বাড়ির আশপাশে খোঁজ করেও বধূকে কোথাও পাওয়া যায়নি। এরপর তাঁর নজরে পড়ে আলমারির লকার খোলা। সেখান থেকে সোনার গয়না ও নগদ টাকা সবই উধাও!

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলার হায়াতনগর এলাকায়। যুবকের মা অভিযোগ করেছেন, নববধূ প্রায় তিন লক্ষ টাকা নগদ এবং কয়েক লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত নববধূর খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নববধূর এই অভিনব প্রতারণা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

অভ্যাসের ছদ্মবেশে এমন চক্রান্তে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারাও। পুলিশের অনুমান, আগেভাগেই পরিকল্পনা করেই পরিবারের বিশ্বাস অর্জন করেছিল ওই মহিলা। আপাতত, তাকে খুঁজে বের করাই পুলিশের মূল লক্ষ্য।