Viral Moving Stones: পাথরের প্রাণ রয়েছে! ছবিতে দেখুন কীভাবে হেঁটে চলে বেড়ায় এই অদ্ভুত জ্যান্ত পাথর!

Last Updated:
Living Stones of Romania: কয়েক মিলিমিটার থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত বড়ো হতে পারে এই ধরনের পাথরের আয়তন।
1/7
পাথর স্থবির, পাথর অবিচল, কেবল ক্ষয় রয়েছে তার, ধীরে ধীরে ক্ষয়িষ্ণু হয় পাথর। পাথর জড়, পাথরের গমন নেই। এসবই ছোটোবেলায় বইতে পড়া। তবে যদি শোনেন পাথরেরও প্রাণ আছে? এতকালের পড়া বিজ্ঞান কি তবে ভুল ছিল! যেমন তেমন দেশি পাথর নয়। রোমানিয়ায় প্রত্যন্ত গ্রাম কোসটেসতিতে এমনই বিস্ময়কর এক পাথর রয়েছে যার আয়তন যেকোনও জীবের মতোই বৃদ্ধি পাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।
পাথর স্থবির, পাথর অবিচল, কেবল ক্ষয় রয়েছে তার, ধীরে ধীরে ক্ষয়িষ্ণু হয় পাথর। পাথর জড়, পাথরের গমন নেই। এসবই ছোটোবেলায় বইতে পড়া। তবে যদি শোনেন পাথরেরও প্রাণ আছে? এতকালের পড়া বিজ্ঞান কি তবে ভুল ছিল! যেমন তেমন দেশি পাথর নয়। রোমানিয়ায় প্রত্যন্ত গ্রাম কোসটেসতিতে এমনই বিস্ময়কর এক পাথর রয়েছে যার আয়তন যেকোনও জীবের মতোই বৃদ্ধি পাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।
advertisement
2/7
অদ্ভুত এই বৈশিষ্ট্যের জন্য রোমানিয়ার এই বিশেষ পাথর পরিচিত জীবন্ত পাথর নামে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এটির নাম ‘ট্রোভান্ট’। ১৯৯০ সালের জিওলজিস্ট জি এম মার্গোকি প্রথম এই পাথরটির কথা বর্ণনা করেন তাঁর ‘দ্য টার্সিয়ারি ইন ওল্টেনিয়া’ বইয়ে। ট্রোভান্ট নামটি তাঁরই দেওয়া।
অদ্ভুত এই বৈশিষ্ট্যের জন্য রোমানিয়ার এই বিশেষ পাথর পরিচিত জীবন্ত পাথর নামে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এটির নাম ‘ট্রোভান্ট’। ১৯৯০ সালের জিওলজিস্ট জি এম মার্গোকি প্রথম এই পাথরটির কথা বর্ণনা করেন তাঁর ‘দ্য টার্সিয়ারি ইন ওল্টেনিয়া’ বইয়ে। ট্রোভান্ট নামটি তাঁরই দেওয়া।
advertisement
3/7
তবে তিনিই যে এই পাথরের আবিষ্কর্তা, এমনটা নয়। বহুযুগ আগে থেকেই রোমানিয়ার এই প্রত্যন্ত গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা এই পাথর সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে ওয়াকিবহাল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাথরের আয়তন বাড়ার এই বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়ে তাঁরা এই পাথর দিয়েই তৈরি করেন বিভিন্ন প্রাণীর মূর্তি।
তবে তিনিই যে এই পাথরের আবিষ্কর্তা, এমনটা নয়। বহুযুগ আগে থেকেই রোমানিয়ার এই প্রত্যন্ত গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা এই পাথর সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে ওয়াকিবহাল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাথরের আয়তন বাড়ার এই বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়ে তাঁরা এই পাথর দিয়েই তৈরি করেন বিভিন্ন প্রাণীর মূর্তি।
advertisement
4/7
কিন্তু এমন অদ্ভুতুড়ে ঘটনার কারণ কী? রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ট্রোভান্টের আণবিক গঠনে। মূলত, এই পাথরগুলির একটি শক্ত কোর বা অন্তঃস্থল থাকে। তার বাইরে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট-সমৃদ্ধ বেলেপাথরের মোটা আস্তরণ থাকে। বৃষ্টির জলের সংস্পর্শে এলেই যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সিমেন্টের মতো শক্ত হয়ে যায়।
কিন্তু এমন অদ্ভুতুড়ে ঘটনার কারণ কী? রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ট্রোভান্টের আণবিক গঠনে। মূলত, এই পাথরগুলির একটি শক্ত কোর বা অন্তঃস্থল থাকে। তার বাইরে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট-সমৃদ্ধ বেলেপাথরের মোটা আস্তরণ থাকে। বৃষ্টির জলের সংস্পর্শে এলেই যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সিমেন্টের মতো শক্ত হয়ে যায়।
advertisement
5/7
বৃদ্ধি পায় আয়তনও। কয়েক মিলিমিটার থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত বড়ো হতে পারে এই ধরনের পাথরের আয়তন। আয়তনে ছোটো পাথরও ১০০০ বছরে বৃদ্ধি পেতে পারে ৪-৫ সেন্টিমিটার।
বৃদ্ধি পায় আয়তনও। কয়েক মিলিমিটার থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত বড়ো হতে পারে এই ধরনের পাথরের আয়তন। আয়তনে ছোটো পাথরও ১০০০ বছরে বৃদ্ধি পেতে পারে ৪-৫ সেন্টিমিটার।
advertisement
6/7
তবে শুধু আয়তন বৃদ্ধিই নয়, একা একা হাঁটাচলাও করতে পারে ট্রোভান্ট। জলের সংস্পর্শে এলে পুরো পাথরের বৃদ্ধি হয় না। বরং, তার বিভিন্ন খাঁজ থেকে জন্ম নেয় বাড়তি অংশ। দেখলে মনে হবে ঠিক যেন ডাল পালা মেলে ধরছে কোনও বৃক্ষ। এই ধরনের ‘অঙ্গ’বৃদ্ধির জন্যই স্থান পরিবর্তন করে ট্রোভান্ট।
তবে শুধু আয়তন বৃদ্ধিই নয়, একা একা হাঁটাচলাও করতে পারে ট্রোভান্ট। জলের সংস্পর্শে এলে পুরো পাথরের বৃদ্ধি হয় না। বরং, তার বিভিন্ন খাঁজ থেকে জন্ম নেয় বাড়তি অংশ। দেখলে মনে হবে ঠিক যেন ডাল পালা মেলে ধরছে কোনও বৃক্ষ। এই ধরনের ‘অঙ্গ’বৃদ্ধির জন্যই স্থান পরিবর্তন করে ট্রোভান্ট।
advertisement
7/7
গবেষকরা এই বিশেষ অঙ্গগুলি কেটে পরীক্ষা করতে গিয়েও অবাক হয়েছেন। তার ভেতরে রয়েছে বেশ কিছু চক্রাকার দাগ। ঠিক যেরকম দেখতে পাওয়া যায় গাছের গুঁড়ি কাটলে। ভূতাত্ত্বিকদের অনুমান, ট্রোভান্টের জন্ম হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ বছর আগে। আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের ফলে বিশেষ ধরনের লাভা থেকে তৈরি হয়েছিল সেগুলি। তারপর ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে পাথর।
গবেষকরা এই বিশেষ অঙ্গগুলি কেটে পরীক্ষা করতে গিয়েও অবাক হয়েছেন। তার ভেতরে রয়েছে বেশ কিছু চক্রাকার দাগ। ঠিক যেরকম দেখতে পাওয়া যায় গাছের গুঁড়ি কাটলে। ভূতাত্ত্বিকদের অনুমান, ট্রোভান্টের জন্ম হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ বছর আগে। আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের ফলে বিশেষ ধরনের লাভা থেকে তৈরি হয়েছিল সেগুলি। তারপর ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে পাথর।
advertisement
advertisement
advertisement