Bride-Groom Viral News: ফুলশয্যার আগের রাতেই...! বীভৎস ঘামতে শুরু করল বর, বাবার কাছে ছুটে গিয়ে বলল, 'আমার স্ত্রী...', তারপরই যা ঘটল

মধ্যপ্রদেশের রাজগড়ে এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যা সকলের ঘাম ঝরিয়ে দিয়েছে। একজন সাধারণ মানুষের বিয়ে খুব ধুমধামের সঙ্গেই পালিত হয়েছিল।

কিন্তু ফুলশয্যার আগে কনে বরকে এমন এক চমক দিল যে বর হতবাক হয়ে গেল। হতবাক হয়ে বর তার বাবার কাছে দৌড়ে গেল এবং বলল যে বাবা, আমার সব ছিনতাই হয়ে গেছে। কনে বরকে কী ধরণের চমক দিয়েছিল, জানলে আঁতকে উঠবেন আপনিও।

বাঁকপুরা গ্রামের রামগোপাল নামে এক যুবক বহু বছর ধরে বিয়ে করতে পারছিল না। পরিবার এই নিয়ে খুবই বিরক্ত ছিল। ঠিক তখনই গোকুল ভার্মা নামে এক ব্যক্তি গ্রামে আসে। গোকুল রামগোপালের বাবাকে একটি মেয়ের ছবি দেখায়, ছবিটি দেখার পর পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে পছন্দ করে।

কনের বাবা বিয়ের জন্য দুই লক্ষ টাকা দাবি করেন। রাম গোপালের বাবা কোনওভাবে তার গয়না বিক্রি করে দুই লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করেন। এরপর গোকুল এবং জামনালাল বিয়ের তারিখ ঠিক করেন। বেওয়ারের অঞ্জনি লাল মন্দিরে বিয়ের অনুষ্ঠান ঠিক করা হয়।

২৩শে এপ্রিল, কনে দিব্যা ভাগনানী এবং রাম গোপাল হরিশকে নিয়ে মন্দিরে পৌঁছান। আদালতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর, মন্দিরে নিয়ম মেনে মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয়।

মালাবদল, সাত পাকে ঘোরার পর সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেই তাদের বিয়ে হয়। এই সময় রাম গোপালের বাবা গোকুল এবং জামনালালকে দুই লক্ষ টাকা হস্তান্তর করেন।

বিদায়ের সময় আসার সঙ্গে সঙ্গেই গোকুল এবং জামনালাল বললেন যে কনেকে বাথরুমে নিয়ে যেতে হবে। বরের পরিবার বিদায়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিল, কিন্তু কনে, গোকুল এবং জামনালাল সেখান থেকে পালিয়ে গেল। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরও যখন কনে ফিরে আসেনি, তখন পরিবার বুঝতে পারে যে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তার পরে জানা গেল যে কনেটি আসলে ছিনতাইবাজ।

রাম গোপাল তার পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে বেওয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ছিনতাইবাজ কনে, গোকুল ভার্মা এবং জামনালাল ভার্মার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করে। পুলিশ জানিয়েছে যে তিনজনের খোঁজে অভিযান চালানো হচ্ছে, তবে এখনও পর্যন্ত কোনও খবর পাওয়া যায়নি।