ভারতের কোন 'গ্রামে' প্রথমে 'সূর্য' ওঠে বলুন তো...? চমকে দেবে 'সঠিক' নাম, শিওর!

Last Updated:
Trending GK: ভারত এক বৈচিত্রময় দেশ। ভারতীয়দের যেমন ভাষা, পরিধান থেকে খাদ্যাভ্যাসে আছে বৈচিত্র তেমনই ভৌগোলিক দিক থেকেও দেশের প্রকৃতিতে আছে অদ্ভুত তারতম্য।
1/14
সাধারণ জ্ঞান আমাদের এমন এমন তথ্যের সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দেয় যা আমাদের তাজ্জব করে দেয়। কয়েক মুহূর্তের জন্য আমরা হতবাক হয়ে যাই। সাধারণ জ্ঞানের নিয়মিত চর্চায় উঠে আসে নানা দেশ বিদেশের সমাজ, ইতিহাস ও ভূগোলের মতো বিষয়।
সাধারণ জ্ঞান আমাদের এমন এমন তথ্যের সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দেয় যা আমাদের তাজ্জব করে দেয়। কয়েক মুহূর্তের জন্য আমরা হতবাক হয়ে যাই। সাধারণ জ্ঞানের নিয়মিত চর্চায় উঠে আসে নানা দেশ বিদেশের সমাজ, ইতিহাস ও ভূগোলের মতো বিষয়।
advertisement
2/14
আমাদের দেশ ভারতবর্ষ সম্পর্কেও এমন অনেক অজানা তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ভাণ্ডারে লুকিয়ে থাকে যা আমাদের চমকে দেয়। ভারত এক বৈচিত্রময় দেশ। ভারতীয়দের যেমন ভাষা, পরিধান থেকে খাদ্যাভ্যাসে আছে বৈচিত্র তেমনই ভৌগোলিক দিক থেকেও দেশের প্রকৃতিতে আছে অদ্ভুত তারতম্য।
আমাদের দেশ ভারতবর্ষ সম্পর্কেও এমন অনেক অজানা তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ভাণ্ডারে লুকিয়ে থাকে যা আমাদের চমকে দেয়। ভারত এক বৈচিত্রময় দেশ। ভারতীয়দের যেমন ভাষা, পরিধান থেকে খাদ্যাভ্যাসে আছে বৈচিত্র তেমনই ভৌগোলিক দিক থেকেও দেশের প্রকৃতিতে আছে অদ্ভুত তারতম্য।
advertisement
3/14
নিজেদের দেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানলেও অনেক তথ্যই আজও অজানা আমাদের সকলের। যেমন আমরা সকলেই প্রায় জানি যে ভারতে প্রথম সূর্যোদয় ঘটে অরুণাচল প্রদেশে। তবে খুব কম লোকই এই সত্যটির সঙ্গে পরিচিত।
নিজেদের দেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানলেও অনেক তথ্যই আজও অজানা আমাদের সকলের। যেমন আমরা সকলেই প্রায় জানি যে ভারতে প্রথম সূর্যোদয় ঘটে অরুণাচল প্রদেশে। তবে খুব কম লোকই এই সত্যটির সঙ্গে পরিচিত।
advertisement
4/14
আচ্ছা বলুন তো দেখি অরুণাচল প্রদেশের সেই জায়গাটি কোনটি, যেখানে ভারতের প্রথম সূর্যোদয় হয়। আজ আমরা সেই জায়গার নাম জেনে নেব এই প্রতিবেদনে। সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষায় বা ক্যুইজে প্রায়ই উঠে আসে এই ধরণের প্রশ্ন।
আচ্ছা বলুন তো দেখি অরুণাচল প্রদেশের সেই জায়গাটি কোনটি, যেখানে ভারতের প্রথম সূর্যোদয় হয়। আজ আমরা সেই জায়গার নাম জেনে নেব এই প্রতিবেদনে। সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষায় বা ক্যুইজে প্রায়ই উঠে আসে এই ধরণের প্রশ্ন।
advertisement
5/14
চলুন, এই বেলা জেনে নিন সেই গ্রামটির নাম ও পরিচয় যেখানে প্রথম সূর্যের আলো পৌঁছয়। জেনে নেওয়া যাক সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময়ও। যা শুনলে আপনার চোখ ছানাবড়া হয়ে যেতে বাধ্য।
চলুন, এই বেলা জেনে নিন সেই গ্রামটির নাম ও পরিচয় যেখানে প্রথম সূর্যের আলো পৌঁছয়। জেনে নেওয়া যাক সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময়ও। যা শুনলে আপনার চোখ ছানাবড়া হয়ে যেতে বাধ্য।
advertisement
6/14
সূর্যের প্রথম রশ্মি পড়ে ডং গ্রামে:ভারতের যে জায়গাটিতে সূর্যের প্রথম রশ্মি পড়ে তার নাম ডং। এটি অরুণাচল প্রদেশের একটি ছোট গ্রাম যা ভারত, চিন এবং মায়ানমারের ত্রিসংযোগে অবস্থিত। আপনি এটিকে উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ভারতের প্রথম গ্রামও বলতে পারেন। ভারতে প্রথম সূর্যোদয় হয় ভারতের এই গ্রামেই।
সূর্যের প্রথম রশ্মি পড়ে ডং গ্রামে:ভারতের যে জায়গাটিতে সূর্যের প্রথম রশ্মি পড়ে তার নাম ডং। এটি অরুণাচল প্রদেশের একটি ছোট গ্রাম যা ভারত, চিন এবং মায়ানমারের ত্রিসংযোগে অবস্থিত। আপনি এটিকে উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ভারতের প্রথম গ্রামও বলতে পারেন। ভারতে প্রথম সূর্যোদয় হয় ভারতের এই গ্রামেই।
advertisement
7/14
ভোর চারটে আলো আসে:জানলে অবাক হবেন যে এই গ্রামে সূর্যের আলো পৌঁছয় ভোর তিনটে নাগাদ। অর্থাৎ যখন দিল্লি, মুম্বাই-সহ দেশের বেশিরভাগ এলাকার মানুষ গভীর ঘুমে তখন সূর্যের প্রথম রশ্মি পড়ে ডং উপত্যকায়। ভোর ৪টার মধ্যে এটি সম্পূর্ণ আলোকিত হয়ে যায়। আর সেই সময় থেকেই এখানকার মানুষ তাঁদের রুটিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
ভোর চারটে আলো আসে:জানলে অবাক হবেন যে এই গ্রামে সূর্যের আলো পৌঁছয় ভোর তিনটে নাগাদ। অর্থাৎ যখন দিল্লি, মুম্বাই-সহ দেশের বেশিরভাগ এলাকার মানুষ গভীর ঘুমে তখন সূর্যের প্রথম রশ্মি পড়ে ডং উপত্যকায়। ভোর ৪টার মধ্যে এটি সম্পূর্ণ আলোকিত হয়ে যায়। আর সেই সময় থেকেই এখানকার মানুষ তাঁদের রুটিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
advertisement
8/14
বিকেল চারটেতে অন্ধকার হয়ে যায়:শুধু তাই নয়, ডং গ্রামে প্রায় ১২ ঘণ্টাই মাত্র দিনের আলো থাকে। বিকেল চারটে নাগাদ দেশের অন্যান্য এলাকার মানুষ যখন চা খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন এই গ্রামে রাত হয়ে যায়। মানুষ রাতের খাবার এবং ঘুমের প্রস্তুতিও শুরু করে দেয় ওই সময়।
বিকেল চারটেতে অন্ধকার হয়ে যায়:শুধু তাই নয়, ডং গ্রামে প্রায় ১২ ঘণ্টাই মাত্র দিনের আলো থাকে। বিকেল চারটে নাগাদ দেশের অন্যান্য এলাকার মানুষ যখন চা খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন এই গ্রামে রাত হয়ে যায়। মানুষ রাতের খাবার এবং ঘুমের প্রস্তুতিও শুরু করে দেয় ওই সময়।
advertisement
9/14
গ্রামটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর:প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ডং গ্রাম। এটি প্রায় ১২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই গ্রামটি লোহিত নদী ও সতী নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত। এই গ্রাম ভারতের সীমান্ত চিন ও মায়ানমারের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এই গ্রামের জনসংখ্যা মাত্র ৩৫ জন। এরা সবাই কুঁড়েঘরে বসবাসকারী মাত্র ৩-৪টি পরিবারের সদস্য।
গ্রামটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর:প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ডং গ্রাম। এটি প্রায় ১২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই গ্রামটি লোহিত নদী ও সতী নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত। এই গ্রাম ভারতের সীমান্ত চিন ও মায়ানমারের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এই গ্রামের জনসংখ্যা মাত্র ৩৫ জন। এরা সবাই কুঁড়েঘরে বসবাসকারী মাত্র ৩-৪টি পরিবারের সদস্য।
advertisement
10/14
পর্যটন আকর্ষণ কেন্দ্র:কাছাকাছি ওয়ালং গ্রামে পর্যটকদের থাকার জন্য গেস্ট হাট এবং অন্যান্য সুবিধা স্থাপন করেছে অরুণাচল প্রদেশের PWD বিভাগ। এরপর এটি এখন দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সূর্যের প্রথম রশ্মি দেখতে এই গ্রামে প্রচুর পর্যটক আসেন। তাঁরা গ্রামের একটি চূড়ায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় উপভোগ করে।
পর্যটন আকর্ষণ কেন্দ্র:কাছাকাছি ওয়ালং গ্রামে পর্যটকদের থাকার জন্য গেস্ট হাট এবং অন্যান্য সুবিধা স্থাপন করেছে অরুণাচল প্রদেশের PWD বিভাগ। এরপর এটি এখন দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সূর্যের প্রথম রশ্মি দেখতে এই গ্রামে প্রচুর পর্যটক আসেন। তাঁরা গ্রামের একটি চূড়ায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় উপভোগ করে।
advertisement
11/14
১৯৯৯ সালের পর গ্রামটি আলোচনায় আসে:এই গ্রামটি ১৯৯৯ সালে আলোকিত হয়েছিল। তখন পর্যন্ত বিশ্বাস করা হত যে ভারতে সূর্যের প্রথম রশ্মি আন্দামানের কাঁচল দ্বীপে পড়ে। পরে জানা যায় সূর্যোদয় প্রথমে হয় অরুণাচল প্রদেশের ডং উপত্যকায়, আন্দামানে নয়। এরপর পর্যটক, প্রকৃতিপ্রেমী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা এখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন।
১৯৯৯ সালের পর গ্রামটি আলোচনায় আসে:এই গ্রামটি ১৯৯৯ সালে আলোকিত হয়েছিল। তখন পর্যন্ত বিশ্বাস করা হত যে ভারতে সূর্যের প্রথম রশ্মি আন্দামানের কাঁচল দ্বীপে পড়ে। পরে জানা যায় সূর্যোদয় প্রথমে হয় অরুণাচল প্রদেশের ডং উপত্যকায়, আন্দামানে নয়। এরপর পর্যটক, প্রকৃতিপ্রেমী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা এখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন।
advertisement
12/14
গ্রামের মানুষ মূলত কৃষিকাজ করেন:এ গ্রামের সব মানুষই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। তাঁরা গ্রামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে খাবার, জলখাবার এবং ফল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। ডং উপত্যকায় বর্তমানে সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে। যার কারণে পর্যটকরা সকালের প্রথম রশ্মি দেখে এবং গ্রামে কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে ওয়ালং গ্রামে ফিরে আসে। অরুণাচল প্রদেশ সরকার এখন ওই এলাকাকে উন্নত করতে ব্যস্ত।
গ্রামের মানুষ মূলত কৃষিকাজ করেন:এ গ্রামের সব মানুষই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। তাঁরা গ্রামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে খাবার, জলখাবার এবং ফল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। ডং উপত্যকায় বর্তমানে সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে। যার কারণে পর্যটকরা সকালের প্রথম রশ্মি দেখে এবং গ্রামে কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে ওয়ালং গ্রামে ফিরে আসে। অরুণাচল প্রদেশ সরকার এখন ওই এলাকাকে উন্নত করতে ব্যস্ত।
advertisement
13/14
কিবিথুতে ভারতীয় সামরিক ক্যান্টনমেন্ট:ওয়ালং সেই গ্রাম যেখানে ভারত ও চিনের মধ্যে ১৯৬২ সালের ভয়াবহ যুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধের পর এই এলাকায় ভারতের শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। ওয়ালং-এ পর্যটকদের জন্য আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
কিবিথুতে ভারতীয় সামরিক ক্যান্টনমেন্ট:ওয়ালং সেই গ্রাম যেখানে ভারত ও চিনের মধ্যে ১৯৬২ সালের ভয়াবহ যুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধের পর এই এলাকায় ভারতের শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। ওয়ালং-এ পর্যটকদের জন্য আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
advertisement
14/14
ওয়ালং থেকে ৮ কিলোমিটার ট্রেক করে ডং গ্রামে পৌঁছানো যায়। ডং উপত্যকার কাছে কিবিথু গ্রামেই ভারতের পূর্বাঞ্চলের সর্বশেষ সামরিক সেনানিবাস রয়েছে। এরপর শুরু হয় চিনের এলাকা।
ওয়ালং থেকে ৮ কিলোমিটার ট্রেক করে ডং গ্রামে পৌঁছানো যায়। ডং উপত্যকার কাছে কিবিথু গ্রামেই ভারতের পূর্বাঞ্চলের সর্বশেষ সামরিক সেনানিবাস রয়েছে। এরপর শুরু হয় চিনের এলাকা।
advertisement
advertisement
advertisement