Flght Crash: ৫৮৩ জনের মৃত্যু! এমন ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা আর হয়নি! পাইলটের 'শেষ কথা' কাঁদিয়ে দেবে...

Last Updated:
World's deadliest flight crash- ১৯৭৭ সালের ২৭শে মার্চ। ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন বিকেলে রানওয়েতে দুটি বোয়িং ৭৪৭ বিমানের মধ্যে সংঘর্ষে ৫৮৩ জন যাত্রী নিহত হন। বেঁচে যান ৬১ জন।
1/6
১৯৭৭ সালের ২৭শে মার্চ। ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন বিকেলে রানওয়েতে দুটি বোয়িং ৭৪৭ বিমানের মধ্যে সংঘর্ষে ৫৮৩ জন যাত্রী নিহত হন। বেঁচে যান ৬১ জন। দুর্ঘটনাটি ‘তেনেরিফে বিপর্যয়’ নামে পরিচিত।
১৯৭৭ সালের ২৭শে মার্চ। ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন বিকেলে রানওয়েতে দুটি বোয়িং ৭৪৭ বিমানের মধ্যে সংঘর্ষে ৫৮৩ জন যাত্রী নিহত হন। বেঁচে যান ৬১ জন। দুর্ঘটনাটি ‘তেনেরিফে বিপর্যয়’ নামে পরিচিত।
advertisement
2/6
আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল সংলগ্ন কানারি দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় দ্বীপ তেনেরিফে। দ্বীপপুঞ্জটি স্পেনের অধীন হলেও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। এই দ্বীপপুঞ্জের আরেক দ্বীপ গ্রান কানারিয়ার লাস পালামাস থেকে বিমান দুটি ওড়ার কথা ছিল। তবে সেখানে সন্ত্রাসী হামলার জেরে সব বিমান ঘুরিয়ে লস রোদেওস বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। লস রোদেওস তুলনামূলক ছোট বিমানবন্দর। সেখান থেকে স্থানীয় ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। তা ছাড়া রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় বিমানের চলাচলও কম ছিল। কনট্রোল টাওয়ারের দায়িত্বে ছিলেন মাত্র দুজন।
আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল সংলগ্ন কানারি দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় দ্বীপ তেনেরিফে। দ্বীপপুঞ্জটি স্পেনের অধীন হলেও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। এই দ্বীপপুঞ্জের আরেক দ্বীপ গ্রান কানারিয়ার লাস পালামাস থেকে বিমান দুটি ওড়ার কথা ছিল। তবে সেখানে সন্ত্রাসী হামলার জেরে সব বিমান ঘুরিয়ে লস রোদেওস বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। লস রোদেওস তুলনামূলক ছোট বিমানবন্দর। সেখান থেকে স্থানীয় ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। তা ছাড়া রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় বিমানের চলাচলও কম ছিল। কনট্রোল টাওয়ারের দায়িত্বে ছিলেন মাত্র দুজন।
advertisement
3/6
কেএলএম রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ৪৮০৫ এবং প্যান অ্যামেরিকান ওয়ার্ল্ড এয়ারওয়েজের (প্যান অ্যাম) ফ্লাইট ১৭৩৬ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল সেদিন। কেএলএম বিমান ওড়ার জন্য এগিয়ে যেতে শুরু করলে রানওয়েতে থাকা প্যান অ্যাম বিমানে সরাসরি গিয়ে ধাক্কা মারে। কেএলএম বিমানের ২৩৪ জন যাত্রীর মধ্যে ৫৩টি শিশু ছিল। আর প্যান এম বিমানে ৩৮০ যাত্রী ও ১১ ক্রু ছিলেন। সংঘর্ষে কেএলএমের সব যাত্রী ও ক্রু মারা যান। আর প্যান অ্যাম বিমানের সামনের দিকে বসা ৬১ আরোহী বেঁচে ছিলেন।
কেএলএম রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ৪৮০৫ এবং প্যান অ্যামেরিকান ওয়ার্ল্ড এয়ারওয়েজের (প্যান অ্যাম) ফ্লাইট ১৭৩৬ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল সেদিন। কেএলএম বিমান ওড়ার জন্য এগিয়ে যেতে শুরু করলে রানওয়েতে থাকা প্যান অ্যাম বিমানে সরাসরি গিয়ে ধাক্কা মারে। কেএলএম বিমানের ২৩৪ জন যাত্রীর মধ্যে ৫৩টি শিশু ছিল। আর প্যান এম বিমানে ৩৮০ যাত্রী ও ১১ ক্রু ছিলেন। সংঘর্ষে কেএলএমের সব যাত্রী ও ক্রু মারা যান। আর প্যান অ্যাম বিমানের সামনের দিকে বসা ৬১ আরোহী বেঁচে ছিলেন।
advertisement
4/6
বিমানবন্দরের চারপাশে সেদিন আবহাওয়া ছিল খুবই খারাপ। আকাশে মেঘ জমছিল এবং কুয়াশা ক্রমে ঘন হয়ে আসছিল। লাস পালমাস বিমানবন্দর যখন আবার চালু হলো, কন্ট্রোলাররা একটি করে উড়োজাহাজকে দিক নির্দেশ করতে শুরু করেন। আর আবহাওয়াই এই দুর্ঘটনার সব থেকে বড় কারণ বলে মনে করা হয়েছিল।
বিমানবন্দরের চারপাশে সেদিন আবহাওয়া ছিল খুবই খারাপ। আকাশে মেঘ জমছিল এবং কুয়াশা ক্রমে ঘন হয়ে আসছিল। লাস পালমাস বিমানবন্দর যখন আবার চালু হলো, কন্ট্রোলাররা একটি করে উড়োজাহাজকে দিক নির্দেশ করতে শুরু করেন। আর আবহাওয়াই এই দুর্ঘটনার সব থেকে বড় কারণ বলে মনে করা হয়েছিল।
advertisement
5/6
স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষের অনুসন্ধানে পরে জানা যায়, কনট্রোল টাওয়ারের নির্দেশ ঠিকভাবে বুঝতে পারেননি কেএলএমের পাইলট। ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর এটিসি-তে বেশ কিছু যোগাযোগ প্রযুক্তির পরিবর্তন করা হয়েছিল।
স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষের অনুসন্ধানে পরে জানা যায়, কনট্রোল টাওয়ারের নির্দেশ ঠিকভাবে বুঝতে পারেননি কেএলএমের পাইলট। ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর এটিসি-তে বেশ কিছু যোগাযোগ প্রযুক্তির পরিবর্তন করা হয়েছিল।
advertisement
6/6
কেএলএম ক্যাপ্টেন যখন প্যান অ্যাম উড়োজাহাজটিকে দেখতে পান, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। ককপিটের ভয়েস রেকর্ডারে প্যান অ্যাম পাইলট ভিক্টর গ্রাবসের শেষ কথা স্পষ্ট শোনা যায়, ‘ওই যে সে, আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে।’ তার পরই সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
কেএলএম ক্যাপ্টেন যখন প্যান অ্যাম উড়োজাহাজটিকে দেখতে পান, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। ককপিটের ভয়েস রেকর্ডারে প্যান অ্যাম পাইলট ভিক্টর গ্রাবসের শেষ কথা স্পষ্ট শোনা যায়, ‘ওই যে সে, আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে।’ তার পরই সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
advertisement
advertisement
advertisement