Sahara-Subrata Roy: এক সময় প্রথম সারির প্রভাবশালী ভারতীয়দের তালিকায় ছিল নাম, কীভাবে সব শেষ হল ‘সাহারাশ্রী’ সুব্রত রায়ের

Last Updated:
Tale Of Subrata Roy, 'Mr. Sahara': ২৪,০০০ কোটি টাকার সাহারা ফান্ডের অব্যবস্থাপনার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর সমস্ত খ্যাতি ধুলোয় মিশে যায়।
1/5
একটা সময় ছিল, যখন একদল ক্রিকেট তারকা এবং বলি-তারকাদের নিয়ে একটা জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন সুব্রত রায়। এই কর্পোরেট টাইকুনকে হামেশাই বিদেশি নেতা, ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গেও দেখা গিয়েছে। যদিও তিহার জেলেই অনেকটা সময় কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি।
একটা সময় ছিল, যখন একদল ক্রিকেট তারকা এবং বলি-তারকাদের নিয়ে একটা জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন সুব্রত রায়। এই কর্পোরেট টাইকুনকে হামেশাই বিদেশি নেতা, ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গেও দেখা গিয়েছে। যদিও তিহার জেলেই অনেকটা সময় কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি।
advertisement
2/5
আর এখান থেকেই শুরু হয়েছিল সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যানের পতন। সাহারা ছিল এমন একটা সংস্থা, যেখানে ছিল মিডিয়া থেকে রিয়েল এস্টেট সমস্ত রকম ইন্ডাস্ট্রি। এই সংস্থার সদর দফতর ছিল লখনউ। এমনকী, লন্ডন গ্রসভেনর হাউজ হোটেলের পাশাপাশি নিউ ইয়র্ক প্লাজা হোটেলের মালিকানাও ছিল।
আর এখান থেকেই শুরু হয়েছিল সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যানের পতন। সাহারা ছিল এমন একটা সংস্থা, যেখানে ছিল মিডিয়া থেকে রিয়েল এস্টেট সমস্ত রকম ইন্ডাস্ট্রি। এই সংস্থার সদর দফতর ছিল লখনউ। এমনকী, লন্ডন গ্রসভেনর হাউজ হোটেলের পাশাপাশি নিউ ইয়র্ক প্লাজা হোটেলের মালিকানাও ছিল।
advertisement
3/5
প্রায় দশ বছর মতো ভারতীয় ক্রিকেট দলকে স্পনসর করার পরে ফর্মুলা ওয়ান রেসিং টিমের উপরেও আগ্রহ ছিল ওই সংস্থার। ১৯৭৮ সালে হাতে মাত্র ২০০০ টাকা নিয়ে ব্যবসা করতে নেমেছিলেন সুব্রত রায়। নিমেষের মধ্যেই এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। সাহারার ইনচার্জ হয়ে ওঠেন। দেশের অন্যতম শক্তিশালী আর্থিক সাম্রাজ্য তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন সুব্রত রায়। তবে ২৪০০০ কোটি টাকার সাহারা ফান্ডের অব্যবস্থাপনার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর সমস্ত খ্যাতি ধুলোয় মিশে যায়।
প্রায় দশ বছর মতো ভারতীয় ক্রিকেট দলকে স্পনসর করার পরে ফর্মুলা ওয়ান রেসিং টিমের উপরেও আগ্রহ ছিল ওই সংস্থার। ১৯৭৮ সালে হাতে মাত্র ২০০০ টাকা নিয়ে ব্যবসা করতে নেমেছিলেন সুব্রত রায়। নিমেষের মধ্যেই এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। সাহারার ইনচার্জ হয়ে ওঠেন। দেশের অন্যতম শক্তিশালী আর্থিক সাম্রাজ্য তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন সুব্রত রায়। তবে ২৪০০০ কোটি টাকার সাহারা ফান্ডের অব্যবস্থাপনার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর সমস্ত খ্যাতি ধুলোয় মিশে যায়।
advertisement
4/5
তিহার জেলের জ্যুডিশিয়াল কাস্টডিতে পাঠানো হয় তাঁকে। তবে ২০১৭ সালে প্যারোলে মুক্তি পান সুব্রত রায়। ২০০৮ সালে প্রথম বারের জন্য একটি নিয়ন্ত্রক বাধার সম্মুখীন হয়েছিল সাহারা গ্রুপ। ওই একই বছরে সাহারা ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনকে একটি নির্দেশিকা পাঠায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। তাতে বলা হয় যে, নতুন করে ডিপোজিট নেওয়া যাবে না।
তিহার জেলের জ্যুডিশিয়াল কাস্টডিতে পাঠানো হয় তাঁকে। তবে ২০১৭ সালে প্যারোলে মুক্তি পান সুব্রত রায়। ২০০৮ সালে প্রথম বারের জন্য একটি নিয়ন্ত্রক বাধার সম্মুখীন হয়েছিল সাহারা গ্রুপ। ওই একই বছরে সাহারা ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনকে একটি নির্দেশিকা পাঠায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। তাতে বলা হয় যে, নতুন করে ডিপোজিট নেওয়া যাবে না।
advertisement
5/5
এতে সংস্থার হাতে নগদের পরিমাণ কমে। আর মুনাফাও লাভ করা সম্ভব হয়নি। একাধিক সংস্থা চালনার জন্য ওই ফার্মের অর্থের প্রয়োজন ছিল। এরই মধ্যে আর একটা ধাক্কা আসে সেবি-র তরফ থেকে। তারা জানায় যে, রিয়েল এস্টেট সংক্রান্ত দুটি ব্যবসার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের বন্ড অফার করা চলবে না। আর সুব্রত রায়ের গ্রেফতারির পরে তো এই সংস্থার ভাবমূর্তিও পড়ে যায়!
এতে সংস্থার হাতে নগদের পরিমাণ কমে। আর মুনাফাও লাভ করা সম্ভব হয়নি। একাধিক সংস্থা চালনার জন্য ওই ফার্মের অর্থের প্রয়োজন ছিল। এরই মধ্যে আর একটা ধাক্কা আসে সেবি-র তরফ থেকে। তারা জানায় যে, রিয়েল এস্টেট সংক্রান্ত দুটি ব্যবসার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের বন্ড অফার করা চলবে না। আর সুব্রত রায়ের গ্রেফতারির পরে তো এই সংস্থার ভাবমূর্তিও পড়ে যায়!
advertisement
advertisement
advertisement