Sunday Holiday: ভারতে রবিবারই কেন ছুটি থাকে? অন্য দিন কেন নয়! এক নেতার লড়াইয়ের গল্প, শুনে শিউরে উঠবেন

Last Updated:
Sunday Holiday: সপ্তাহে তো আরও ৬টা দিন ছিল, সেগুলো কেন ছুটির দিন হিসেবে ঠিক করা হল না?
1/6
রবিবার মানেই ছুটি। রবিবার মানেই সারাদিন আনন্দ, ফুর্তি, হইহুল্লোড়। সারা সপ্তাহ ধরে আমরা এই দিনটার অপেক্ষাতেই থাকি। কিন্তু কখনও মাথায় এই চিন্তটা এসেছে যে কেন রবিবারই ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হলে?
রবিবার মানেই ছুটি। রবিবার মানেই সারাদিন আনন্দ, ফুর্তি, হইহুল্লোড়। সারা সপ্তাহ ধরে আমরা এই দিনটার অপেক্ষাতেই থাকি। কিন্তু কখনও মাথায় এই চিন্তটা এসেছে যে কেন রবিবারই ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হলে?
advertisement
2/6
সপ্তাহে তো আরও ৬টা দিন ছিল, সেগুলো কেন ছুটির দিন হিসেবে ঠিক করা হল না? আসলে ব্রিটিশ শাসনকাল থেকেই ভারতবর্ষে প্রতি রবিবার ছুটি চালু হয়। কিন্তু এই দিনটি এত সহজে পাওয়া যায়নি।
সপ্তাহে তো আরও ৬টা দিন ছিল, সেগুলো কেন ছুটির দিন হিসেবে ঠিক করা হল না? আসলে ব্রিটিশ শাসনকাল থেকেই ভারতবর্ষে প্রতি রবিবার ছুটি চালু হয়। কিন্তু এই দিনটি এত সহজে পাওয়া যায়নি।
advertisement
3/6
ভারতে যখন ব্রিটিশরা শাসন করতো তখন কারখানার শ্রমিকদের সপ্তাহের ৭ দিনই কাজ করতে হত। তাদের জন্য কোনও ছুটি বরাদ্দ ছিল না। কিন্তু উল্টো দিকে ব্রিটিশরা প্রতি রবিবার গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করতেন। এই প্রথাটি মেনে নিতে পারেননি সেই সময়কার শ্রমিক নেতা শ্রী নারায়ণ মেঘাজি লোখন্ডে।
ভারতে যখন ব্রিটিশরা শাসন করতো তখন কারখানার শ্রমিকদের সপ্তাহের ৭ দিনই কাজ করতে হত। তাদের জন্য কোনও ছুটি বরাদ্দ ছিল না। কিন্তু উল্টো দিকে ব্রিটিশরা প্রতি রবিবার গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করতেন। এই প্রথাটি মেনে নিতে পারেননি সেই সময়কার শ্রমিক নেতা শ্রী নারায়ণ মেঘাজি লোখন্ডে।
advertisement
4/6
তিনি ব্রিটিশ অফিসারদের বলেন, সপ্তাহে ৬ দিন কাজ করার পর প্রতিটি শ্রমিকদের একদিন ছুটি দেওয়া দরকার। তিনি ব্রিটিশদের জানান, হিন্দু দেবতা “খন্ডকার”-এর জন্মদিন রবিবার, তাই সপ্তাহের ওই দিনটিকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
তিনি ব্রিটিশ অফিসারদের বলেন, সপ্তাহে ৬ দিন কাজ করার পর প্রতিটি শ্রমিকদের একদিন ছুটি দেওয়া দরকার। তিনি ব্রিটিশদের জানান, হিন্দু দেবতা “খন্ডকার”-এর জন্মদিন রবিবার, তাই সপ্তাহের ওই দিনটিকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
advertisement
5/6
কিন্তু ব্রিটিশ ব্রিটিশরা এত সহজে লোখান্ডের প্রস্তাব মেনে নেননি। টানা ৭ বছরের লড়াইয়ের পর ব্রিটিশ সরকার লোখান্ডের এই অনুরোধ মানতে বাধ্য হয়। তাই কথা মতো ১৮৯০ সালের ১০ জুন শ্রমিকদের জন্য ছুটি ঘোষণা করে ব্রিটিশ সরকার। প্রতি মাসের ১৫ তারিখে বেতন এবং কাজের মাঝে আধঘন্টা খাওয়ার সময় এটা সম্ভব হয়েছিল লোখন্ডের জন্যই।
কিন্তু ব্রিটিশ ব্রিটিশরা এত সহজে লোখান্ডের প্রস্তাব মেনে নেননি। টানা ৭ বছরের লড়াইয়ের পর ব্রিটিশ সরকার লোখান্ডের এই অনুরোধ মানতে বাধ্য হয়। তাই কথা মতো ১৮৯০ সালের ১০ জুন শ্রমিকদের জন্য ছুটি ঘোষণা করে ব্রিটিশ সরকার। প্রতি মাসের ১৫ তারিখে বেতন এবং কাজের মাঝে আধঘন্টা খাওয়ার সময় এটা সম্ভব হয়েছিল লোখন্ডের জন্যই।
advertisement
6/6
ব্রিটিশরা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও ভারত সরকার এই নিয়ম আর বদলায়নি। ফলে ১৮৯০ সাল থেকেই রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে চলে আসছে।

ব্রিটিশরা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও ভারত সরকার এই নিয়ম আর বদলায়নি। ফলে ১৮৯০ সাল থেকেই রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে চলে আসছে।
advertisement
advertisement
advertisement