Solar Eclipse 2027: শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণ সুর্যগ্রহণ আসছে! এই ১০টি দেশে দিনের বেলাতেও নামবে রাতের মতো অন্ধকার...ভারতের কী হবে? জানুন...

চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে সূর্যের আলো সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেয়, তখনই পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়। এটি কেবলমাত্র অমাবস্যার দিনেই সম্ভব এবং তখনও, শুধুমাত্র তখনই, যখন চাঁদের কক্ষপথ ও পৃথিবীর অবস্থান একদম সোজা লাইনে থাকে। সূর্যগ্রহণও তিন প্রকারের হয়।

প্রকৃতির জগৎ সবসময়ই মানুষের বোধগম্যের বাইরে থেকেছে। আবারও প্রকৃতি মানুষকে একটি বিরল চমক দেখাতে চলেছে। বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, ২ আগস্ট ২০২৭ সালে এমন এক সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে, যাতে অন্তত ১০টি দেশে দিনের বেলায় রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসবে।

রিপোর্ট অনুযায়ী ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে এই বিরল পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। বিজ্ঞানীরা একে এক অসাধারণ ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিশেষত্ব হল—এটির সময়কালও অনেক বেশি হবে। অনুমান করা হচ্ছে, এটি প্রায় ৬ মিনিট ২৩ সেকেন্ড স্থায়ী হবে।

ব্রিটিশ পত্রিকা মেট্রোর রিপোর্টে বলা হয়েছে, এটি ১৯৯১ থেকে ২১১৪ সালের মধ্যে পৃথিবী থেকে দেখা সবচেয়ে দীর্ঘ পূর্ণ সূর্যগ্রহণগুলির একটি হবে। বিজ্ঞানীরা একে এই শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা বলেছেন।

২০২৭ সালের পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় এমন এক মুহূর্ত আসবে, যখন সূর্য একেবারেই দেখা যাবে না এবং পৃথিবীতে একেবারে রাতের মতো দৃশ্য তৈরি হবে। তখন চাঁদ সূর্যের রশ্মিকে পুরোপুরি আটকাবে এবং যেসব দেশে সূর্যগ্রহণ দৃশ্যমান হবে, সেখানে একের পর এক রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসবে।

এই গ্রহণের প্রভাব মরক্কো, আলজেরিয়া, টিউনিসিয়া, লিবিয়া, মিশর, সুদান, সৌদি আরব, ইয়েমেন ও সোমালিয়াসহ একাধিক দেশে দেখা যাবে। তবে ভারতে এটি দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

রয়্যাল মিউজিয়াম গ্রিনউইচের সিনিয়র জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্রেগ ব্রাউন জানিয়েছেন, এই গ্রহণ ছয় মিনিটেরও বেশি স্থায়ী হবে, যা এমন এক মহাজাগতিক ঘটনার জন্য অস্বাভাবিকভাবে দীর্ঘ সময়। তার মতে, এটি ১৯৯১ থেকে ২১১৪ সালের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ পূর্ণ সূর্যগ্রহণ। সাধারণত পূর্ণ সূর্যগ্রহণ কয়েক সেকেন্ড থেকে ৪–৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়, কিন্তু ২০২৭ সালের গ্রহণ ৬ মিনিটেরও বেশি হবে।

তিনি আরও বলেছেন, সূর্য ও চাঁদের দূরত্বে ক্রমাগত হালকা পরিবর্তন হওয়ায় গ্রহণের সময়কাল কম-বেশি হতে পারে। পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দেয়, আংশিক সূর্যগ্রহণে সূর্যের কিছু অংশ ঢাকা থাকে এবং বলয়াকার সূর্যগ্রহণে চাঁদ ছোট দেখা যায়, ফলে সূর্যের চারপাশে আগুনের বলয়ের মতো দৃশ্য দেখা দেয়।