Snake: দুই মাথা, মারাত্মক বিষ...? জিভের ছোঁয়া লাগলেও ভয়ঙ্কর! লক্ষ লক্ষ টাকা দাম 'এই' সাপের, জানুন বিস্তারিত

*ভারতে সাপের কামড়ে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। দুই ধরনের সাপ হয়, বিষাক্ত এবং নির্বিষ সাপ। বলা হয় যে মানুষের মধ্যে পর্যাপ্ত সচেতনতার অভাবের কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। অনেকেই যেমন রেড আর্থ স্নেক, সাপের একটি বিশেষ প্রজাতি সম্পর্কে জানেন না এবং সেই সাপ দেখে ভয়ে কাঁপতে শুরু করেন, তবে মাদুরাইয়ের স্নেক ক্যাচার স্নেক সাকা রেড আর্থ স্নেক সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন।

*এই সাপটি যখন ছোট থাকে, তখন এর পুরো শরীর লাল থাকে, কিন্তু এখানে-সেখানে কালো ডোরা থাকে। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ডোরা অদৃশ্য হয়ে যায় এবং এটি সম্পূর্ণ ফ্যাকাশে লাল রঙের হয়ে যায়।

*এই সাপটিকে অত্যন্ত বিষাক্ত সাপ বলা হয়। অনেক দিন ধরেই বলা হয়ে আসছে যে, এই সাপ যদি কামড়ায়, অথবা তার জিহ্বাও যদি শরীর স্পর্শ করে, তাহলে এটি শরীরে চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকেও অবশ করে দিতে পারে। কিন্তু তা সত্য নয়। রেড আর্থ স্নেকের বিষ থাকে না। এটি কামড়াতেও যায় না কাউকে। বরং, এই সাপকে কৃষকের বন্ধু বলা হয়। অন্যান্য সাপের মতো রেড আর্থ স্নেকও কৃষিক্ষেত্রে পাওয়া ইঁদুর এবং ব্যাঙ খায়। এই ভাবে এই সাপ ইঁদুর খেয়ে কৃষকদের উপকার করে।

*এই সাপটিকে দুই মাথাওয়ালা সাপ বলা হয় কারণ এর দুটি মাথা আছে বলে জানা যায়। বলা হয় যে এই সাপের একটি মাথা সামনের দিকে অগ্রসর হয় এবং পরবর্তী ছয় মাস পর পিছনের মাথাটি পিছনের দিকে সরে যায়। কিন্তু এই সব সত্য নয়। এই সাপের একটি মাত্র মাথা আছে।

*যদিও লেজের অংশটি মাথার মতো দেখতে, কিন্তু এর দুটি মাথা নেই। লেজের অংশটি শুধু দেখতে মাথার মতো, তার বেশি কিছু নয়। এই সাপটিকে কেঁচোর সঙ্গে সম্পর্কিত বলা হয়, অর্থাৎ কৃমি ধরনের। কিন্তু তাও সত্য নয়, এটি সাপের প্রজাতিরই অন্তর্গত। তবে ছোট থাকাকালীন এটা দেখতে কিছুটা কৃমির মতো হলেও বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর চেহারা সম্পূর্ণ সাপের মতোই হয়ে যায়।

*এই সাপগুলি মাটির ভেতরে গর্তে পাওয়া যায়। বিশ্বাস করা হয় যে এই সাপ অনেক উপকারে আসে, অনেক জায়গায় তা তন্ত্রসাধনা এবং ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, সে কারণেই দাম কোটি টাকায় পৌঁছে যায়।

*কিন্তু এই সব সত্য নয়। এই রেড আর্থ স্নেক কেবল কৃষকের বন্ধু, অন্য কাজে তা আসে না। বিশেষ করে এই সাপ রাতে বাড়িতে বেশি আসে। রাতে তারা মানুষের বাড়িতে পালন করা মুরগি খেতে আসে। যেহেতু এই সাপের বিষ নেই, তাই কারও ভয় পাওয়ার দরকার নেই।