Maneater Snakes: দানবের মতন চেহারা, বিশাল হাঁ-মুখে মানুষও এদের খাদ্য তালিকায়! জানেন মানুষখেকো সাপেদের?

Last Updated:
পৃথিবীতে মোট পাঁচ ধরনের পাইথন বা অজগরের খোঁজ পাওয়া যায় যারা হরিণ,ছাগল, শুয়োর, কুমির, বাছুর ছাড়া কখনও কখনও মানুষও শিকার করে বা করার ক্ষমতা রাখে। এদের মধ্যে কারা রয়েছে মানুষখেকো সাপের তালিকায়?
1/12
 পৃথিবীতে মোট পাঁচ ধরনের পাইথন বা অজগরের খোঁজ পাওয়া যায় যারা হরিণ,ছাগল, শুয়োর, কুমির, বাছুর ছাড়া কখনও কখনও মানুষও শিকার করে বা করার ক্ষমতা রাখে। এদের মধ্যে কারা রয়েছে মানুষখেকো সাপের তালিকায়?
পৃথিবীতে মোট পাঁচ ধরনের পাইথন বা অজগরের খোঁজ পাওয়া যায় যারা হরিণ,ছাগল, শুয়োর, কুমির, বাছুর ছাড়া কখনও কখনও মানুষও শিকার করে বা করার ক্ষমতা রাখে। এদের মধ্যে কারা রয়েছে মানুষখেকো সাপের তালিকায়?
advertisement
2/12
 দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাসিন্দা এই সাপটিকে সাধারণত বৃষ্টিঅরণ্য, বনভূমি ও তৃণভূমিতে এবং প্রায়শই জলের উৎসের কাছাকাছি দেখা যায়। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, বোর্নিয়ো, ভিয়েতনাম এবং মালয়েশিয়ার কিছু অংশে দেখা মেলে এদের।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাসিন্দা এই সাপটিকে সাধারণত বৃষ্টিঅরণ্য, বনভূমি ও তৃণভূমিতে এবং প্রায়শই জলের উৎসের কাছাকাছি দেখা যায়। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, বোর্নিয়ো, ভিয়েতনাম এবং মালয়েশিয়ার কিছু অংশে দেখা মেলে এদের।
advertisement
3/12
 এই সরীসৃপের সবথেকে কুখ্যাত ঘটনা সামনে আসে ২০২৪ সালের জুন মাসে। ইন্দোনেশিয়ায় এক জন মহিলাকে ১৬ ফুট লম্বা একটি এই প্রজাতির অজগরের পেটে পাওয়া গিয়েছিল। মহিলা নিখোঁজ হওয়ার পর সেখানে একটি অজগরকে পেট ফোলা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় মানুষ। সন্দেহ হওয়ায় সাপটি কেটে ফেলার পর মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
এই সরীসৃপের সবথেকে কুখ্যাত ঘটনা সামনে আসে ২০২৪ সালের জুন মাসে। ইন্দোনেশিয়ায় এক জন মহিলাকে ১৬ ফুট লম্বা একটি এই প্রজাতির অজগরের পেটে পাওয়া গিয়েছিল। মহিলা নিখোঁজ হওয়ার পর সেখানে একটি অজগরকে পেট ফোলা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় মানুষ। সন্দেহ হওয়ায় সাপটি কেটে ফেলার পর মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
advertisement
4/12
 এই সরীসৃপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য নমনীয় চোয়াল এবং পেট ও অন্ত্র প্রসারিত করার ক্ষমতা। অজগরের এই প্রজাতিকে বড় প্রাণী, এমনকি মানুষকে গিলে ফেলতেও সাহায্য করে। এই মাংসাশী প্রজাতিটি সাধারণত ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি খায়। তাদের এমন শিকারের প্রতি প্রবল আগ্রহ রয়েছে যা তারা পুরো গিলে ফেলতে পারে। তাই তারা সাধারণত বড় প্রাণী এড়িয়ে চলে। এরা ডিম এবং মৃতদেহও খায়।
এই সরীসৃপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য নমনীয় চোয়াল এবং পেট ও অন্ত্র প্রসারিত করার ক্ষমতা। অজগরের এই প্রজাতিকে বড় প্রাণী, এমনকি মানুষকে গিলে ফেলতেও সাহায্য করে। এই মাংসাশী প্রজাতিটি সাধারণত ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি খায়। তাদের এমন শিকারের প্রতি প্রবল আগ্রহ রয়েছে যা তারা পুরো গিলে ফেলতে পারে। তাই তারা সাধারণত বড় প্রাণী এড়িয়ে চলে। এরা ডিম এবং মৃতদেহও খায়।
advertisement
5/12
 মানুষখেকো আরও একটি সরীসৃপ হল আফ্রিকান রক পাইথন। বিশ্বের বৃহত্তম সাপের প্রজাতিগুলির মধ্যে একটি। তবে তারা রেটিকুলেটেড পাইথনের মতো লম্বা নয়। এই সাপগুলি আফ্রিকার বেশির ভাগ অংশ জুড়ে বাস করে এবং তাদের বাসস্থানের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন উপ-প্রজাতিতে বিভক্ত। মধ্য আফ্রিকার রক পাইথন হল বৃহত্তম উপ-প্রজাতি।
মানুষখেকো আরও একটি সরীসৃপ হল আফ্রিকান রক পাইথন। বিশ্বের বৃহত্তম সাপের প্রজাতিগুলির মধ্যে একটি। তবে তারা রেটিকুলেটেড পাইথনের মতো লম্বা নয়। এই সাপগুলি আফ্রিকার বেশির ভাগ অংশ জুড়ে বাস করে এবং তাদের বাসস্থানের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন উপ-প্রজাতিতে বিভক্ত। মধ্য আফ্রিকার রক পাইথন হল বৃহত্তম উপ-প্রজাতি।
advertisement
6/12
 ২০০২ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে একটি ১০ বছর বয়সি ছেলেকে একটি আফ্রিকান রক পাইথন গিলে ফেলার পর সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। এটি ছিল এই প্রজাতির মধ্যে প্রথম মানুষ খাওয়ার ঘটনা। সাপটি ছেলেটিকে পেঁচিয়ে মেরে তাকে সম্পূর্ণরূপে গিলে ফেলে।
২০০২ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে একটি ১০ বছর বয়সি ছেলেকে একটি আফ্রিকান রক পাইথন গিলে ফেলার পর সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। এটি ছিল এই প্রজাতির মধ্যে প্রথম মানুষ খাওয়ার ঘটনা। সাপটি ছেলেটিকে পেঁচিয়ে মেরে তাকে সম্পূর্ণরূপে গিলে ফেলে।
advertisement
7/12
 অ্যানাকোন্ডা- আমাজনের এই দানবাকৃতির সাপটিকে নিয়ে বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে নানা কিংবদন্তি। হলিউড থেকে শুরু করে নানা দেশে তাকে নিয়ে ছবি তৈরি হয়েছে। ঘন গভীর আমাজনের ‘মৃত্যুদূত’ হিসাবে পরিচিত অ্যানাকোন্ডা।
অ্যানাকোন্ডা- আমাজনের এই দানবাকৃতির সাপটিকে নিয়ে বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে নানা কিংবদন্তি। হলিউড থেকে শুরু করে নানা দেশে তাকে নিয়ে ছবি তৈরি হয়েছে। ঘন গভীর আমাজনের ‘মৃত্যুদূত’ হিসাবে পরিচিত অ্যানাকোন্ডা।
advertisement
8/12
National Geographic অভিযানের বিজ্ঞানীরা একটি নতুন অ্যানাকোন্ডার প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন। অধ্যাপক Bryan Fry এর নেতৃত্বে দলটি Bameno অঞ্চলে সাপটি খুঁজে পায়। এই এলাকা Baihuaeri Waorani Territory-তে অবস্থিত, যা একটি গভীর জঙ্গল এবং এই অঞ্চলে খুব কমই গবেষণার কাজ হয়েছে।
সবুজ অ্যানাকোন্ডা সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত সাপ। সবুজ অ্যানাকোন্ডা দক্ষিণ আমেরিকার উষ্ণ পরিবেশের জলাভূমিতে বাস করে। সমস্ত অ্যানাকোন্ডা প্রজাতির মধ্যে সবুজ অ্যানাকোন্ডা সবচেয়ে বড়।
advertisement
9/12
ভয়াবহ!
শিকারকে শরীর দিয়ে পেঁচিয়ে ভয়াবহ চাপ দিতে থাকে এরা। সেই চাপে শিকারের হাড়গোড় ভেঙে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে যায়। তার পর শিকারকে আস্ত গিলে খায় সাপটি। এদের শিকার ধরার কায়দাও রোমহর্ষক। এদের চলাফেরা প্রায় নিঃশব্দ। তড়িৎগতিতে জল কেটে শিকারকে ঘায়েল করতে ওস্তাদ আমাজনের রাজা।
advertisement
10/12
উত্তরীয় সবুজ অ্যানাকোন্ডা (Eunectes akayima) নামকরণ করা হয়েছে সাপটির। সাপটি ২০ ফুটেরও বেশি লম্বা। এটি পূর্বে পাওয়া সমস্ত বড় অ্যানাকোন্ডার রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই আবিষ্কারটি Pole to Pole with Will Smith-এর শুটিংয়ের সময় ঘটেছিল।
বিশাল ও ভারী চেহারা এবং আকারের জন্য মানুষের জন্য এরা বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলে তারা মানুষকে গিলে খাওয়ার ক্ষমতা রাখে। অ্যানাকোন্ডার মানুষ খাওয়ার ঘটনা যদিও খুবই কম।
advertisement
11/12
 প্রাণী হিসাবে তাদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ করে মায়ানমারে এগুলিকে পাওয়া যায়। ৩৫ কেজির আস্ত হরিণকে এক গ্রাসে গিলে ফেলার ক্ষমতা রাখে এই প্রজাতিটি। শিকার গিলে ফেলার জন্য এরা নিজেদের হাঁ-মুখকে ২২-২৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত প্রসারিত করতে পারে।
প্রাণী হিসাবে তাদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ করে মায়ানমারে এগুলিকে পাওয়া যায়। ৩৫ কেজির আস্ত হরিণকে এক গ্রাসে গিলে ফেলার ক্ষমতা রাখে এই প্রজাতিটি। শিকার গিলে ফেলার জন্য এরা নিজেদের হাঁ-মুখকে ২২-২৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত প্রসারিত করতে পারে।
advertisement
12/12
 গত কয়েক বছরে ফ্লোরিডায় সবচেয়ে বেশি বার্মিজ পাইথনের দেখা মিলেছে। এই সাপগুলিকে পোষার জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও পরে তা স্থানীয় জলাজমিতে ছেড়ে দেওয়ার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। তবে, বার্মিজ পাইথন খুব কমই মানুষকে আক্রমণ করে। সাপগুলি কোনও মানুষকে গিলে ফেলেছে এমন উদাহরণও পাওয়া যায়নি।
গত কয়েক বছরে ফ্লোরিডায় সবচেয়ে বেশি বার্মিজ পাইথনের দেখা মিলেছে। এই সাপগুলিকে পোষার জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও পরে তা স্থানীয় জলাজমিতে ছেড়ে দেওয়ার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। তবে, বার্মিজ পাইথন খুব কমই মানুষকে আক্রমণ করে। সাপগুলি কোনও মানুষকে গিলে ফেলেছে এমন উদাহরণও পাওয়া যায়নি।
advertisement
advertisement
advertisement