‘আমায় ভূতে ধরেছে...’, নববধূর কথা শুনে অবাক পুলিশ! হেল্পলাইনে ফোন করে সাহায্য চায় প্রতিবেশীরা

সদ্য বিয়ে হয়েছে। সুখের সাগরে ভাসবেন নবদম্পতি। এটাই কাম্য। কিন্তু মুজাফফরপুরে নবদম্পতির কাণ্ডে চমকে উঠলেন সবাই। যতক্ষণে বিষয়টা বোঝা গেল, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু নববধূর কথা শুনে অবাক উর্দিধারীরাও।

পুলিশ বিরক্ত। নবদম্পতিকে যাই জিজ্ঞাসা করা হয় তাঁরা চুপ। কোনও কথাই বলেন না। এর মধ্যে পরিবারের এক সদস্যও এসে উপস্থিত। তিনি সম্পর্কে শ্যালক হন। এবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এতক্ষণ তিনি কোথায় ছিলেন? কেন আগে এলেন না?

ততক্ষণে শ্যালক ছাড়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এসে পৌঁছেছেন। তাঁদের থেকে জানা গেল, নববধূ পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সৌভাগ্যবশত স্থানীয় লোকজনের নজরে পড়ে যায়। তাঁরাই বাঁচান মেয়েটিকে।

ঘটনাটি ঘটেছে নগর থানা এলাকার সাহু পোখরে। জানা গিয়েছে, নববধূ সাহু পোখরের সীমানা প্রাচীর পেরিয়ে পোখরের দিকে যেতে শুরু করলে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। দৌড়ে গিয়ে তাঁরা মেয়েটিকে আটকান। তারপর হেল্পলাইন নম্বর ১১২-তে ফোন করে পুলিশকে খবর দেন।

খবর পেয়ে টাউন থানার পরিদর্শক প্রবীণ কুমার ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। নববধূকে হেফাজতে নেন। নাম-ঠিকানা জানতে চাইলে মেয়েটি জানান, সিকন্দরপুর সিধি ঘাটের বাসিন্দা কল্পনা ওরফে ঢেগরি। পুলিশ তাঁকে নিরাপদে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে।

পরে পুলিশ জানায়, কল্পনা নামে স্থানীয় একটি মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে তাঁর। স্বামীর সঙ্গে বিবাদের জেরে বাপের বাড়ি চলে এসেছিলেন কল্পনা। তারপরই সন্ধ্যায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, এক সপ্তাহ আগে কল্পনার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া। এর ফলে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি মামার বাড়িতে চলে আসেন। তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কল্পনা বলেন, তাঁকে ভূতে ধরেছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রবীণ কুমার।