Asteroid: সাবধান, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে! সব হিসাব বদলে দেবে গ্রহাণু! লন্ডভন্ড করবে সহজেই, ধ্বংস আসন্ন?

Last Updated:
প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত চওড়া এই গ্রহাণু ৩৮ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। এরফলে সেই গ্রহাণু থেকে বাঁচতে পৃথিবীর পক্ষ থেকেও নিজস্ব সৈন্য মোতায়েন করা শুরু হয়েছে।
1/5
গ্রহাণু 2024 YR4-কে প্রথমবার বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেন গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর। ৩১শে ডিসেম্বরে নাসার ঝুঁকি তালিকায় (NASA automated Sentry risk list) স্থান পেলে গ্রহাণুটি জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। নাসা জানিয়েছে, অতীতে বেশ কিছু মহাজাগতিক বস্তু ঝুঁকির তালিকায় উঠে এসেছে। তবে পরবর্তীতে আরও তথ্য আসার সঙ্গে শেষ পর্যন্ত সেগুলো তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। বিপদের ভয় দেখিয়েও শেষে পৃথিবী থেকে গিয়েছে বিপন্মুক্তই। বিজ্ঞানীদের আশা, 2024 YR4-এর বেলাতেও সেই ধারা বজায় থাকবে।
পৃথিবী নিয়ে অনেক ভবিষ্যৎবাণী আপনি শুনে থাকবেন, এছাড়াও কিছু বিজ্ঞানীদের দাবি অন্তরীক্ষে '২০২৪ ওয়াইআর৪' নামের গ্রহাণু প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসছে। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
2/5
বিজ্ঞানীদের একাংশের ধারণা, প্রায় ৬ কোটি ৬০ লক্ষ বছর আগে ডাইনোসরের অস্তিত্ব মুছে ফেলেছিল ছয় মাইল প্রশস্ত গ্রহাণু। সেখানে, সাম্প্রতিক 2024 YR4-কে 'শহরঘাতক' হিসেবে বলা হয়েছে। যার অর্থ এটি পৃথিবীর মতো কোনও গ্রহের জন্য সার্বিকভাবে হুমকিস্বরূপ গ্রহাণু নয়। তবুও এটি একটি শহরের উপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত চওড়া এই গ্রহাণু ৩৮ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। এরফলে সেই গ্রহাণু থেকে বাঁচতে পৃথিবীর পক্ষ থেকেও নিজস্ব সৈন্য মোতায়েন করা শুরু হয়েছে। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
3/5
এখানেই শেষ নয়। বিশ্বের অন্যতম জনবহুল ৭ শহরও আছে এই গ্রহাণুর যাত্রাপথের পাল্লায়। সেগুলি হল মুম্বই, কলকাতা, ঢাকা, বোগোটা, আবিদজান, লাগোস এবং খার্তুম। নাসার ভাষায় গ্রহাণু আছড়ে পড়লে এই ৭ শহরই ‘vulnerable' বা শঙ্কার। এই শহরগুলির মোট জনসংখ্যা ১১০ মিলিয়নেরও বেশি।
বিজ্ঞানীদের দাবি এর আগে পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা ১.৩%, কিন্তু তা বেড়ে ২.৩% হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও এই গ্রহাণু পৃথিবী থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে। তবু এই গ্রহাণুর ধাক্কার পরিমাণ প্রায় ৮ মিলিয়ন টিএনটি বোমার সমান। যা হিরোশিমা এবং নাগাসাকির পরমানুর থেকে ৫০০ গুণ বেশি অধিক মাত্রা। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
4/5
যদিও এখনও সম্ভাবনা খুবই কম, গ্রহাণু 2024 YR4 এর অতিরিক্ত পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ ইঙ্গিত দেয় যে ২২ ডিসেম্বর, ২০৩২ তারিখে পৃথিবীর সঙ্গে এর সংঘর্ষের সম্ভাবনা ২.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে।
চিন এরমধ্যে নিজস্ব 'সৈন্য' বানাতে শুরু করে দিয়েছে। যাতে তাঁরা গ্রহাণুর বিরুদ্ধে বাঁচতে পারে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এক্সপার্টের সাহায্য নিচ্ছে তাঁরা। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
5/5
গ্রহাণু ‘2024 YR4’-এর উপর নজর রাখছে নাসা এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্টেরয়েড ওয়ার্নিং নেটওয়ার্ক। আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত স্পষ্ট থাকবে তার অবস্থান। তার পর ২০২৮-এর জুন পর্যন্ত এর অবস্থান অস্পষ্ট হবে ক্রমশ।
এর আগে আরও অপোফিস নামের এক গ্রহাণু ২০২৯ সালে পৃথিবীতে সংঘর্ষের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু কিছু বদলের জন্য পৃথিবীর দিকে আসার সম্ভাবনা শূন্য ধরে নেওয়া হয়। এরপরেই পুরো দুনিয়ার নজর এখন এই নতুন গ্রহাণুর দিকে। (প্রতীকী ছবি)
advertisement
advertisement
advertisement