

পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেল।বাঙালিরা যেমন মেতে ওঠে দুর্গা পুজোতে তেমনি অবাঙালিরা ৯ দিনের জন্য নবরাত্রিতে মেতে থাকে। আজ থেকে শুরু নবরাত্রি


নবরাত্রিতে নয় দিন টানা দুর্গার নয় রূপের পুজো করা হয় এবং নিজস্ব প্রথা অনুযায়ী অষ্টমী বা নবমীর দিন রাম নবমী পালন হতে থাকে। মনে মনে যে দিন যার পুজো, তার মূর্তি স্মরণ করে নিয়ম অনুসারে পুজো করুন । পবিত্র হৃদয়ে পুজো করুন আর তা করলে এই নবরাত্রি আরাধনায় অবশ্যই ফল পাবেন। (Photo collected)


নবদুর্গার প্রথম রূপটি শৈলপুত্রী, পর্বতের কন্যা। মা শৈলপুত্রী মনোবল বৃদ্ধি করেন। (Photo collected)


দ্বিতীয় রূপটি ব্রহ্মচারিণী, যিনি ব্রহ্মাকে স্বয়ং জ্ঞান দান করেন, ভক্তকেও ইনি ব্রহ্মপ্রাপ্তি করান। মা ব্রহ্মচারিণী মনোসংযোগ বৃদ্ধি করেন। (Photo collected)


তৃতীয় রূপটি চন্দ্রঘণ্টা। দেবীদুর্গার মহিষাসুর বধের জন্য দেবরাজ ইন্দ্রের প্রদত্ত ঘন্টা যার মধ্যে গজরাজ ঐরাবতের মহাশক্তি নিহিত ছিল, চন্দ্রের চেয়েও লাবণ্যবতী ইনি। মা চন্দ্রঘণ্টা সাংসারিক সমস্ত কষ্ট থেকে মুক্তি দেন। (Photo collected)


চতুর্থ রূপ কুষ্মণ্ডা। উষ্মার অর্থ তাপ । দুর্বিষহ ত্রিতাপ হল কুষ্মা। আর যিনি এই ত্রিতাপ নিজের উদরে বা অন্ডে ধারণ করেন অর্থাৎ সমগ্র সংসার ভক্ষণ করেন ইনি। মা কুষ্মণ্ডা সুখ ও সমৃদ্ধি দেন। (Photo collected


পঞ্চম রূপটি স্কন্দমাতা। দেব সেনাপতি কার্তিকেয় বা স্কন্দের মা। মা স্কন্দমাতা গৃহের যে কোনও রকম অশান্তি নাশ করেন। (Photo collected)


ষষ্ঠরূপ কাত্যায়নী। কাত্যায়ন ঋষির আশ্রমে দেবকার্যের জন্য আবির্ভূতা ইনি বৃন্দাবনে দেবী গোপবালা রূপে পূজিতা। ব্রজের গোপবালারা এই কাত্যায়নীর কাছে প্রার্থণা করেছিলেন নন্দের নন্দন শ্রীকৃষ্ণকে পতিরূপে পাওয়ার জন্য তাই ব্রজের দুর্গার নাম কাত্যায়নী । মা কাত্যায়নী শত্রু নাশ করেন। (Photo collected)


সপ্তম রূপ কালরাত্রি। ঋগ্বেদের রাত্রিসুক্তে পরমাত্মাই রাত্রিদেবী। মহাপ্রলয়কালে এই রাত্রিরূপিণী মাতার কোলেই বিলয় হয় বিশ্বের।অনন্ত মহাকাশে নৃত্যরত কালভৈরবের দেহ থেকেই আবির্ভূতা ইনি দেবী যোগনিদ্রা মহাকালিকা বা কালরাত্রি নামে আখ্যাত। মা কালরাত্রি অল্প বয়সে কোনও ফাঁড়া থাকলে তা নাশ করেন। (Photo collected)


অষ্টম রূপ মহাগৌরী। তিনি সন্তানবত্সলা, শিবসোহাগিনী, বিদ্যুদ্বর্ণা মা দুর্গার প্রসন্ন মূর্তি । কারও বাড়িতে বিবাহজনিত কোনও সমস্যায় এঁর ধ্যান করা খুব ভাল। (Photo collected)