৩৬ বছর পরের বিশ্ব দেখে ফিরেছিলেন এক ব্যক্তি, এরপর যা যা পূর্বাভাস দিলেন... একে একে প্রায় সমস্তটাই অক্ষরে অক্ষরে সত্যি বলে ফলে গেল!
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
আজ থেকে ১১ বছর পরের ইতিহাসে পাড়ি দিয়েছিলেন। নতুন আসা ইন্টারনেটে পরমাণু যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণীও করেছেন। শুধু তা-ই নয়, এমনকী কত বছর আগে তিনি ইতিহাসে গিয়েছিলেন সেটাও জানিয়েছেন তিনি।
টাইম ট্র্যাভেলারদের নিয়ে নানা গল্প প্রচলিত রয়েছে। তবে আজকের প্রতিবেদনে আমরা এক রহস্যজনক টাইম ট্র্যাভেলারের কথা বলব, যিনি আজ থেকে ১১ বছর পরের ইতিহাসে পাড়ি দিয়েছিলেন। নতুন আসা ইন্টারনেটে পরমাণু যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণীও করেছেন। শুধু তা-ই নয়, এমনকী কত বছর আগে তিনি ইতিহাসে গিয়েছিলেন সেটাও জানিয়েছেন তিনি। Representative Image
advertisement
টাইম ট্র্যাভেলারের ভবিষ্যদ্বাণী: ২০০০ সালে জন টিটর নামে এক ব্যক্তি এক ইন্টারনেট ফোরামে কিছু ভবিষ্যৎ সতর্কবাণী দিয়েছিলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল - ভবিষ্যতের পারমাণবিক সংঘাত এবং স্বৈরাচারী শাসকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। তিনি এ-ও দাবি করেছিলেন যে, তিনি টাইম মেশিন থেকে এসেছেন। ২ নভেম্বর ২০০০ তারিখে তিনি লিখেছিলেন যে, তিনি একজন টাইম ট্র্যাভেলার। Representative Image
advertisement
তিনি কখন কোথা থেকে এসেছেন? টিটরের দাবি, ২০৩৬ সালে ভবিষ্যতের ফ্লোরিডার থেকে তিনি এসেছেন। তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্য। ১৯৭৫ সালে চলে যাওয়ার পর, তিনি ২০০০ সালে ফিরে আসেন এবং ব্যক্তিগত কারণে থেকে যান। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, আপনাদের মতো মানুষদের ভবিষ্যতে পছন্দ করা হবে না। কারণ এই যুগটাকে সম্পূর্ণ ভাবে অলস, স্বার্থপর এবং কেয়ারলেস মানুষের যুগ হিসেবে গণ্য হবে।Representative Image
advertisement
কিছু কিছু ভবিষ্যদ্বাণী হল সত্য: আশ্চর্যজনক ভাবে টিটরের কিছু ভবিষ্যদ্বাণী হতবাক করার মতো। এর মধ্যে অন্যতম হিসেবে তিনি লিখেছেন ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধের আগে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের প্রবঞ্চনা প্রসঙ্গে। অনেকেরই বিশ্বাস যে, টিটর ইরাকের যুদ্ধ এবং তা নিয়ে হওয়া বিতর্ক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন যে, তিনি ১৯৭৫ সালে আইবিএম ৫১০০ কম্পিউটার আনতে গিয়েছিলেন। ২০০৪ সালে আইবিএম স্বীকার করে নিয়েছিল যে, তাঁর কাছে এই শক্তিশালী কম্পিউটার আছে, যার গোপন কার্যকারিতা এটি বিশ্বের থেকে লুকিয়ে রেখেছিল। Representative Image
advertisement
নাসার কলম্বিয়া অভিযান: টিটর প্রশ্ন করেছিলেন যে, দয়া করে আমায় বলুন কীভাবে আপনি মহাকাশের প্লেন ওভারহিটিংয়ের সমস্যার সমাধান করলেন। মানুষের দাবি, টিটর বোধহয় কলম্বিয়া স্পেসক্র্যাফ্ট দুর্ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করছেন। নাসার অভিযানের ফলাফল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত এই অভিযানেই প্রাণ হারিয়েছিলেন বিখ্যাত মহাকাশচারী কল্পনা চাওলা। Representative Image
advertisement
টিটরের কিছু ভবিষ্যদ্বাণীর মধ্যে অন্যতম হল - ২০০৪ সালে আমেরিকায় গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া এবং বিশ্বে ম্যাড কাউ মহামারী ছড়িয়ে পড়া। যেগুলি অবশ্য ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছিল। বহু মানুষ অবশ্য বলেছিলেন যে, তিনি সতর্কবাণী দিয়ে এই সব ঘটনা প্রতিহত করেছেন। এমনকী এটাও দাবি করা হয়েছিল যে, এই সমস্ত পোস্টের পিছনে দুজন আমেরিকান ছিলেন, যাঁরা কয়েক বছর পরে জন টিটর ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা খোলেন। তারপরেও অনেকে টিটরকে আজ পর্যন্ত রহস্য বলে মনে করেন, যাঁদের কিছু পোস্ট সে যুগে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। Representative Image