সুখে পাশে, অসুখেও... শরীর খারাপ কনের, কোলে তুলে হাসপাতালেই বিয়ে সারলেন বর !
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Unique Wedding In MP: জানা গিয়েছে যে এই পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার বেওয়ার শহরের পরম সিটি কলোনির বাসিন্দা জগদীশ সিং সিকারওয়ারের ভাগ্নে আদিত্য সিং। তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছিল কুম্ভরাজের বাসিন্দা প্রয়াত বলবীর সিং সোলাঙ্কির মেয়ে নন্দিনীর সঙ্গে। কুম্ভরাজের কাছে পুরুষোত্তমপুর গ্রামে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন, ১ মে, ২০২৫ তারিখে, এই বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বিয়ের মাত্র ৫ দিন আগে, কনে নন্দিনীর স্বাস্থ্যের হঠাৎই অবনতি ঘটে।
যে কোনও শুভ কাজে পঞ্জিকা দেখা আমাদের দেশের প্রাচীন এক সংস্কার। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিটি শুভ কাজের জন্য কিছু নির্দিষ্ট লগ্ন থাকে, নির্দিষ্ট কিছু নক্ষত্রের সমাবেশে সেই শুভ লগ্ন গঠিত হয়। সেই লগ্ন পেরিয়ে গেলে সম্পন্ন হওয়া শুভ কাজেও অশুভ ফল লাভ হয়ে থাকে, এমনটাই প্রচলিত বিশ্বাস। লগ্নভ্রষ্ট অতএব কেউ হতে চান না শুভ কাজে, বিশেষ করে বিয়ের বেলায়। অথচ, মধ্যপ্রদেশের এক বর পড়েছিলেন সেই মুশকিলেই, বিয়ের লগ্ন তাঁর অতিক্রান্ত হওয়ার জোগাড়, এদিকে কনে তো উঠে দাঁড়াতেই পারছেন না!
advertisement
জানা গিয়েছে যে এই পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার বেওয়ার শহরের পরম সিটি কলোনির বাসিন্দা জগদীশ সিং সিকারওয়ারের ভাগ্নে আদিত্য সিং। তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছিল কুম্ভরাজের বাসিন্দা প্রয়াত বলবীর সিং সোলাঙ্কির মেয়ে নন্দিনীর সঙ্গে। কুম্ভরাজের কাছে পুরুষোত্তমপুর গ্রামে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন, ১ মে, ২০২৫ তারিখে, এই বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বিয়ের মাত্র ৫ দিন আগে, কনে নন্দিনীর স্বাস্থ্যের হঠাৎই অবনতি ঘটে। ২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে তাঁকে বেওয়ার শহরের পঞ্জাবি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়েছিল।Representative Image
advertisement
ডা. জে কে পঞ্জাবি, যিনি নন্দিনীর চিকিৎসা করছিলেন, সাফ জানিয়ে দেন যে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বিয়ের সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান নিয়ম মেনে সম্পন্ন করার মতো জোর নন্দিনীর গায়ে এখন নেই, তিনি এমনকি খুব বেশিক্ষণ বসেও থাকতে পারবেন না। আর এখান থেকেই দেখা দেয় সমস্যা। এই লগ্ন পেরিয়ে গেলে পরের ২ বছর পর্যন্ত আর কোনও শুভ লগ্ন ছিল না বিয়ের। উপায় না দেখে এর পর পরিবারের সদস্যরা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁর মত নিয়ে হাসপাতালেই বিয়ে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন। Representative Image
advertisement
advertisement
হাসপাতালেই সকলের সামনে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে বিয়ের সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। বিয়ের সময়ে কনে নন্দিনী হাঁটতে পারছিলেন না। তাই, হাসপাতালের সাজানো মণ্ডপের মধ্যে কনেকে কোলে করে নিয়ে আদিত্য সপ্তপদীর আচার মেনে সাত পাকে অগ্নি প্রদক্ষিণ করেন। সবশেষে নন্দিনীকে মঙ্গলসূত্র পরিয়ে এই শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়। Representative Image