Indian Railway Viral News: ৪২ ঘণ্টার পথ সাড়ে তিন বছরে পৌঁছেছিল এই ট্রেন, ছিল কোথায়? লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি, ভারতীয় রেলের 'লজ্জা'র কারণ জানলে আঁতকে উঠবেন

Last Updated:
Indian Railway Viral News: আপনি কি জানেন ভারতের সবচেয়ে দেরিতে পৌঁছেছিলকোন ট্রেন?এই ট্রেনটির যাত্রা ৪২ ঘণ্টায় শেষ করার কথা ছিল, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৩ বছরেরও বেশি!
1/8
ভারতীয় রেলের দেরি হওয়ার বিষয়টা খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার। ঠান্ডার দিনে, এই বিলম্ব কখনও কখনও ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত প্রসারিত হয়। যে দূরত্বটি ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে উচিত তা শীতকালে ৬-৭ ঘণ্টাও লেগে যায়।
ভারতীয় রেলের দেরি হওয়ার বিষয়টা খুবই সাধারণ একটা ব্যাপার। ঠান্ডার দিনে, এই বিলম্ব কখনও কখনও ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত প্রসারিত হয়। যে দূরত্বটি ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে উচিত তা শীতকালে ৬-৭ ঘণ্টাও লেগে যায়।
advertisement
2/8
কখনও কখনও এর চেয়েও বেশি সময় লাগে। কিন্তু আপনি কি জানেন ভারতের সবচেয়ে দেরিতে পৌঁছেছিলকোন ট্রেন?এই ট্রেনটির যাত্রা ৪২ ঘণ্টায় শেষ করার কথা ছিল, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৩ বছরেরও বেশি!
কখনও কখনও এর চেয়েও বেশি সময় লাগে। কিন্তু আপনি কি জানেন ভারতের সবচেয়ে দেরিতে পৌঁছেছিলকোন ট্রেন?এই ট্রেনটির যাত্রা ৪২ ঘণ্টায় শেষ করার কথা ছিল, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৩ বছরেরও বেশি!
advertisement
3/8
ঘটনাটি ২০১৪ সালের। একটি পণ্যবাহী ট্রেন অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে উত্তর প্রদেশের বাস্তি পর্যন্ত যাতায়াত করত । কিন্তু এই ট্রেনটি প্রায় ৪ বছর দেরিতে পৌঁছায়।  যেটা মাত্র ৪২ ঘণ্টারমধ্যে যাওয়া যায়। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় দেরির ঘটনা। খবরে বলা হয়েছে, এই পণ্যবাহী ট্রেনটি বস্তিতে পৌঁছতে ৩ বছর ৮ মাস ৭ দিন সময় লেগেছিল।
ঘটনাটি ২০১৪ সালের। একটি পণ্যবাহী ট্রেন অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে উত্তর প্রদেশের বাস্তি পর্যন্ত যাতায়াত করত । কিন্তু এই ট্রেনটি প্রায় ৪ বছর দেরিতে পৌঁছায়। যেটা মাত্র ৪২ ঘণ্টারমধ্যে যাওয়া যায়। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় দেরির ঘটনা। খবরে বলা হয়েছে, এই পণ্যবাহী ট্রেনটি বস্তিতে পৌঁছতে ৩ বছর ৮ মাস ৭ দিন সময় লেগেছিল।
advertisement
4/8
যে বস্তিতে একজন ব্যবসায়ী ছিলেন রামচন্দ্র গুপ্ত। ২০১৪ সালে, তিনি তার ব্যবসার জন্য ইন্ডিয়ান পটাশ লিমিটেড, বিশাখাপত্তনম থেকে ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট অর্ডার করেছিলেন। এই জিনিসটির মূল্য ছিল প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা।
যে বস্তিতে একজন ব্যবসায়ী ছিলেন রামচন্দ্র গুপ্ত। ২০১৪ সালে, তিনি তার ব্যবসার জন্য ইন্ডিয়ান পটাশ লিমিটেড, বিশাখাপত্তনম থেকে ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট অর্ডার করেছিলেন। এই জিনিসটির মূল্য ছিল প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা।
advertisement
5/8
 ১০ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে পণ্য ট্রেনে ১৩১৬ বস্তা পণ্য বোঝাই করা হয়েছিল। ট্রেন যথাসময়েই স্টেশন ছেড়েছিল। কিন্তু তারপর এত দেরি হয়ে গেল যে এটি ৩ বছর ৮ মাস পর, অর্থাৎ ২৫ জুলাই ২০১৮-তে উত্তরপ্রদেশের বাস্তিতে পৌঁছল।
১০ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে পণ্য ট্রেনে ১৩১৬ বস্তা পণ্য বোঝাই করা হয়েছিল। ট্রেন যথাসময়েই স্টেশন ছেড়েছিল। কিন্তু তারপর এত দেরি হয়ে গেল যে এটি ৩ বছর ৮ মাস পর, অর্থাৎ ২৫ জুলাই ২০১৮-তে উত্তরপ্রদেশের বাস্তিতে পৌঁছল।
advertisement
6/8
রেলওয়ের কর্মচারী ও অন্যান্য কর্মীরাও ট্রেনটি আচমকা উধাও হয়ে যাওয়ার খবরে হতবাক হয়ে যান। ট্রেনটি ৪২ ঘণ্টর মধ্যে যাত্রা শেষ করার কথা ছিল। ২০১৪ সালের নভেম্বরে যখন ট্রেনটি বস্তিতে পৌঁছায়নি, তখন রামচন্দ্র গুপ্ত রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বেশ কয়েকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু পরে জানা যায়, ট্রেনটি পথ হারিয়ে উধাও হয়ে যায়।
রেলওয়ের কর্মচারী ও অন্যান্য কর্মীরাও ট্রেনটি আচমকা উধাও হয়ে যাওয়ার খবরে হতবাক হয়ে যান। ট্রেনটি ৪২ ঘণ্টর মধ্যে যাত্রা শেষ করার কথা ছিল। ২০১৪ সালের নভেম্বরে যখন ট্রেনটি বস্তিতে পৌঁছায়নি, তখন রামচন্দ্র গুপ্ত রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বেশ কয়েকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু পরে জানা যায়, ট্রেনটি পথ হারিয়ে উধাও হয়ে যায়।
advertisement
7/8
ইন্ডিয়া টিভি ওয়েবসাইটের রিপোর্ট অনুসারে, উত্তর পূর্ব রেলওয়ে জোনের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় যাদব বলেছিলেন যে যখন কোনও কোচ বা বগি ভ্রমণের জন্য অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়, তখন তা ইয়ার্ডে পাঠানো হয়।
ইন্ডিয়া টিভি ওয়েবসাইটের রিপোর্ট অনুসারে, উত্তর পূর্ব রেলওয়ে জোনের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় যাদব বলেছিলেন যে যখন কোনও কোচ বা বগি ভ্রমণের জন্য অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়, তখন তা ইয়ার্ডে পাঠানো হয়।
advertisement
8/8
 মনে হয়, এই ট্রেনের ক্ষেত্রেও হয়তো তাই হয়েছিল, হয়তো অনেকক্ষণ ধরে কোনও এক ইয়ার্ডে দাঁড়িয়ে ছিল। তদন্তের পরই ট্রেনটি বস্তি স্টেশনে পৌঁছায়। তবে ট্রেনটি কোথায় দেরি করেছে এবং এতক্ষণ কোথায় ছিল সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। এত দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১৩ সালে সেই সারও নষ্ট হয়ে হয়।
মনে হয়, এই ট্রেনের ক্ষেত্রেও হয়তো তাই হয়েছিল, হয়তো অনেকক্ষণ ধরে কোনও এক ইয়ার্ডে দাঁড়িয়ে ছিল। তদন্তের পরই ট্রেনটি বস্তি স্টেশনে পৌঁছায়। তবে ট্রেনটি কোথায় দেরি করেছে এবং এতক্ষণ কোথায় ছিল সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। এত দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১৩ সালে সেই সারও নষ্ট হয়ে হয়।
advertisement
advertisement
advertisement