MH370 Mystery: পার হয়েছে ১০ বছর, আজও রহস্য হয়ে রয়েছে এমএইচ৩৭০ বিমানের অন্তর্ধান; এখনও কি সন্ধান পাওয়ার আশা রয়েছে? যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
MH370 Mystery 10 Years: কুয়ালা লামপুর থেকে ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে বেজিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ উড়ানটি।
২০১৪ সালের ৮ মার্চ। কুয়ালা লামপুর থেকে ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে বেজিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ উড়ানটি। কিন্তু ওড়ার কিছুক্ষণ পরে তা রাডার থেকে আচমকাই হারিয়ে যায়। বলা ভাল, যেন উবে গিয়েছিল যাত্রিবাহী ওই বিমানটি! সেই ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে দশ-দশটা বছর। অথচ এখনও যেন আধুনিক যুগের সবথেকে বড় রহস্য হয়ে রয়েছে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ (MH370) উড়ানের অন্তর্ধান। (Photo: AFP)
advertisement
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, ওই দিন উড়ানটি টেক-অফে কোনও সমস্যাই ছিল না। তা ছিল প্রায় ৩৫০০০ ফুট উচ্চতায়। সব ঠিকই ছিল। নির্ধারিত পথেই চলেছিল উড়ানটি। এমনকী ভিয়েতনামের এয়ার ট্রাফিকের সঙ্গেও পাইলটদের কথা হয়। তবে এরপরেই যেন বিপত্তি! উড়ানটির সঙ্গে যোগাযোগ আচমকাই বন্ধ হয়ে যায়। আর অপ্রত্যাশিত ভাবে পশ্চিম দিকের গতিপথ ধরতেই আচমকাই রাডার থেকে উধাও হয়ে যায় বিমানটি। সেই থেকে আর কোনও খোঁজই নেই। অনেকেই মনে করেন যে, ভেঙে পড়েছিল বিমানটি। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, বিমানটির কোনও ধ্বংসাবশেষ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এমনকী মেলেনি ব্ল্যাক বক্সও। যেন একটা রহস্য হয়ে রয়েছে এমএইচ৩৭০। (Photo: AFP)
advertisement
এরপর থেকে অনেকেই নানা রকম তত্ত্ব সামনে এনেছেন। লেখা হয়েছে বই, এমনকী তথ্যচিত্রও তৈরি হয়েছে। অনেকের মতে, বিমান ছাড়াই বিমান দুর্ঘটনা। ফলে ওই বিমানের যাত্রীদের কী পরিণতি হয়েছিল, সেটা এখনও অজানাই থেকে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এমএইচ৩৭০ বিমানের অন্তর্ধানের এই ঘটনায় বিস্মিত হয়েছে গোটা বিশ্ব। আর এই সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক তত্ত্ব পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল, মেকানিক্যাল ত্রুটি থেকে দুর্ঘটনাজনিত অথবা বিমানচালকের ত্রুটি ইত্যাদি। কেউ কেউ আবার হাইজ্যাকিংয়ের তত্ত্বও সামনে এনেছেন।তবে আজও অনেক বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে, এমএইচ ৩৭০ বিমানটির সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
advertisement
চলতি সপ্তাহে ওই বিমানের অন্তর্ধানের দশ বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে প্রিয়জনদের সন্ধান পাওয়ার আশায় মালয়েশিয়াতে এসেছিলেন যাত্রীদের আত্মীয়রা। ফের তল্লাশি অভিযান শুরু করার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জিও জানান তাঁরা। অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন যে, পুনরায় তল্লাশি করার ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগালে হারিয়ে যাওয়া বিমানটির খোঁজ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবে এটা যে খুব কম খরচে হবে না, সেই বিষয়টাও সাফ জানিয়েছেন তাঁরা। (Representative Image)
advertisement
২০১৮ সাল পর্যন্ত ভারত মহাসাগরের প্রায় ৭,১০,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে তল্লাশি করার জন্য কয়েকশো মিলিয়ন ডলার ইতিমধ্যেই খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সি এক্সপ্লোরেশন ফার্ম ওশান ইনফিনিটি মালয়েশিয়া সরকারকে আরও একটি ‘নো ফাইন্ড, নো ফি’ চুক্তির অফার দিয়েছে। যেমনটা তারা ২০১৮ সালে দিয়েছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি বিমানটির খোঁজ পাওয়া যায়, তাহলে কর্তৃপক্ষকেই সেই খরচ বহন করতে হবে।
advertisement