ছেলেরা নয়! দেশের এই ৭ মন্দিরে পুরুষদের ঢোকা মানা… জানেন কোথায় আছে এই মন্দিরগুলো?

ভারতের কিছু মন্দিরে যেমন মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, যেমন সবরীমালা, তেমনি কিছু বিখ্যাত হিন্দু মন্দির আছে যেখানে নির্দিষ্ট সময়ে বা উৎসবে পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।

শুনে অবাক লাগলেও, এই মন্দিরগুলো শতাব্দী প্রাচীন রীতি ও বিশ্বাস মেনে চলে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই ৭টি মন্দিরের তালিকা—

১. মা কামাখ্যা মন্দির, অসম গৌহাটির নীলাচল পর্বতে অবস্থিত মা কামাখ্যা মন্দির তন্ত্র সাধনার অন্যতম কেন্দ্র। প্রতিবছর 'অম্বুবাচী মেলা' উপলক্ষে দেবীর ঋতুকাল উদযাপন করা হয়। এই সময় বিবাহিত পুরুষদের মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ নিষেধ। তবে মহিলারা সরাসরি পুজো দিতে পারেন।

২. আত্তুকাল ভগবতী মন্দির, কেরালা তিরুবনন্তপুরমে অবস্থিত এই মন্দির দেবী ভদ্রকালীকে উৎসর্গ করা। এখানে প্রতি বছর 'আত্তুকাল পONGAL' নামের এক বিশাল উৎসব হয়, যেখানে শুধুমাত্র মহিলারাই অংশগ্রহণ করেন, পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। দেবী এখানে ‘আত্তুকাল আম্মা’ বা ‘কন্নাগি’ নামে পূজিতা হন।

৩. সন্তোষী মা মন্দির, যোধপুর, রাজস্থান লাল সাগর হ্রদের কাছে একটি পাহাড়ের ওপর অবস্থিত সন্তোষী মা মন্দির। শুক্রবার, যা দেবীর জন্য বিশেষ দিন, সেই দিন পুরুষদের গর্ভগৃহে প্রবেশ নিষিদ্ধ।

৪. মাতা মন্দির, মুজাফফরপুর, বিহার এই মন্দিরে দেবী দুর্গার এক বিশেষ রূপ মা রাজা রাজেশ্বরীর পূজা হয়। বিশ্বাস করা হয়, যখন দেবীর ঋতুকাল হয়, সেই সময় পুরুষরা তো বটেই, এমনকি পুরোহিতরাও পূজা করতে পারেন না।

৫. কন্যাকুমারী মন্দির, তামিলনাড়ু এই মন্দিরে পূজিতা হন অবিবাহিত রূপে দেবী পার্বতী। এখানে বিবাহিত পুরুষদের গর্ভগৃহে প্রবেশ নিষেধ, তবে মহিলারা সরাসরি প্রবেশ করে পুজো দিতে পারেন। দেবী এখানে ‘ভার্জিন গডেস’ রূপে পূজিতা।

৬. শাক্কুলাথুকাভু মন্দির, কেরালা আলাপ্পুঝা জেলার এই মন্দির দেবী দুর্গার উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত। এখানে প্রতিবছর ‘নারী পূজা’ নামের এক উৎসব হয়, যেখানে পুরুষদের প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ। উৎসবটি নারীত্বের শক্তি ও সম্মান উদযাপন করে।

৭. ব্রহ্মা মন্দির, পুষ্কর, রাজস্থান ভারতের একমাত্র বিখ্যাত ব্রহ্মা মন্দির এটি। কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষে এখানে এক বিশাল মেলা হয়। এই সময় বিবাহিত পুরুষদের গর্ভগৃহে প্রবেশের অনুমতি থাকে না।

🔔 বিশেষ টিপ: এই নিয়মগুলো স্থানীয় বিশ্বাস ও রীতিনীতি অনুযায়ী চলে আসছে বহু বছর ধরে। ধর্মীয় ভাবাবেগকে সম্মান করা আমাদের সকলের কর্তব্য, তাই এই নিষেধাজ্ঞাগুলো সেই বিশ্বাসেরই প্রতিফলন।