• গত বছরও মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের মধ্যেই অস্থায়ী ভাবে তৈরি হয়েছিল জগন্নাথের মাসির বাড়ি । প্রথা মাফিক, সোজা রথের দিন জগন্নাথ যান তাঁর মাসির বাড়িতে । ফিরে আসেন উল্টো রথের দিন । এ বছরও নিয়ম রক্ষার্থে মন্দিরের মধ্যেই অস্থায়ী ভাবে মাসির বাড়ি তৈরি করা হয়েছে । সেই মন্দিরেই পুজার্চনা করা হবে নিয়মমাফিক । শুধুমাত্র নারায়ণ শিলাকে মাসির বাড়ি পাঠানো হবে ।
• প্রায় ৫০ ফুট উচ্চতার এই রথ আগে কাঠের ছিল। যদিও দীর্ঘ দিন ধরে সেই রথ পুজিত হতে হতে কাঠের সেই রথে ক্ষয় ধরতে শুরু করে। শ্যামবাজারের বসু পরিবারের সাথে মাহেশের অধিকারী পরিবারের দীর্ঘ দিনের যোগাযোগ। তাঁরা জগন্নাথ মন্দিরের সেবক। তাঁরা ইচ্ছা প্রকাশ করেন নতুন রথ তৈরি করে দেবেন। ১৩৫ বছর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কাঠের রথ বদলে ফেলা হবে। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কাঠের বদলে রথ হবে লোহার। সেই রথ এখনও যা পুজিত হয়ে আসছে৷
• ১৩৫ বছরের এই রথ সেই সময় তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। মাহেশের এই রথ পরিচিত নীলাচল নামে। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু একাধিকবার এই রথ যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি মাহেশের নাম দেন নব নীলাচল। সেই অনুযায়ী মাহেশের রথ পরিচিত নীলাচল রথ নামে। ঐতিহাসিক এই রথ যাত্রায় রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবও যোগদান করেছিলেন।