বিপুল ধনসম্পত্তি ছিল যোধপুরের এই মহারাজার, অভিনেত্রী জুবেইদার সঙ্গে গভীর প্রেম-বিবাহ; ফিল্মের গল্পকেও হার মানিয়ে দেবে তাঁর রাজকীয় জীবন

Last Updated:
Royal Love Stories: কোটি কোটি টাকার গয়নাগাঁটি থেকে শুরু করে বিপুল ধনসম্পত্তি, এমনকী এ-ও শোনা যায় যে, রাজপরিবারের অন্দরের খেলনাগুলি পর্যন্ত সোনা, রুপো এবং হিরের তৈরি। তাহলে আজকের প্রতিবেদনে মহারাজা হনওয়ন্ত সিংয়ের গল্প শুনে নেওয়া যাক।
1/5
রাজস্থানের যোধপুরের রাজপরিবারের রাজকীয় গল্প রীতিমতো চোখ ধাঁধিয়ে দেবে। এই পরিবারের ছিল প্রচুর ধনসম্পত্তি। রাজ্যের এই অংশকে মাড়ওয়ার বলা হয়, যা আয়ার্ল্যান্ডের সমান। আর এখানকার মহারাজা তো বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। কোটি কোটি টাকার গয়নাগাঁটি থেকে শুরু করে বিপুল ধনসম্পত্তি, এমনকী এ-ও শোনা যায় যে, রাজপরিবারের অন্দরের খেলনাগুলি পর্যন্ত সোনা, রুপো এবং হিরের তৈরি। তাহলে আজকের প্রতিবেদনে মহারাজা হনওয়ন্ত সিংয়ের গল্প শুনে নেওয়া যাক। যোধপুরে তিনি দেশের প্রথম বেসরকারি বিমানবন্দর গড়েছিলেন। এমনকী, জাদুবিদ্যাতেও পারদর্শী ছিলেন তিনি।
রাজস্থানের যোধপুরের রাজপরিবারের রাজকীয় গল্প রীতিমতো চোখ ধাঁধিয়ে দেবে। এই পরিবারের ছিল প্রচুর ধনসম্পত্তি। রাজ্যের এই অংশকে মাড়ওয়ার বলা হয়, যা আয়ার্ল্যান্ডের সমান। আর এখানকার মহারাজা তো বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। কোটি কোটি টাকার গয়নাগাঁটি থেকে শুরু করে বিপুল ধনসম্পত্তি, এমনকী এ-ও শোনা যায় যে, রাজপরিবারের অন্দরের খেলনাগুলি পর্যন্ত সোনা, রুপো এবং হিরের তৈরি। তাহলে আজকের প্রতিবেদনে মহারাজা হনওয়ন্ত সিংয়ের গল্প শুনে নেওয়া যাক। যোধপুরে তিনি দেশের প্রথম বেসরকারি বিমানবন্দর গড়েছিলেন। এমনকী, জাদুবিদ্যাতেও পারদর্শী ছিলেন তিনি।
advertisement
2/5
প্রতিভাবান শাসক মহারাজা হনওয়ান্ত সিং: মহারাজা হনওয়ন্ত সিংয়ের জন্ম ১৯২৩-এ। তারুণ্যে পা রাখামাত্রই ১৯৪৩ সালে ধ্রাংগাধরা রাজ্যের রাজকুমারী কৃষ্ণা কুমারীর সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন ৬ ফুট লম্বা এই সুদর্শন মহারাজ। এরপর ১৯৪৭ সালে যোধপুরের ২৪-তম রাঠৌড় শাসক হয়েছিলেন তিনি। দুর্ধর্ষ প্রতিভাশালী এই ব্যক্তিত্ব অনেক কিছু জানতেন। জাদুবিদ্যাও জানতেন তিনি। এমনকী, ম্যাজিক সার্ডস ক্লাব অফ ৬০০-এর সদস্যপদও লাভ করেছিলেন। প্রচুর শখ ছিল মহারাজার। এমনকী শোনা যায় যে, বিমানে রীতিমতো স্টান্ট করে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের অফিসার ভিপি মেননকে ভয় পর্যন্ত দেখিয়েছিলেন।
প্রতিভাবান শাসক মহারাজা হনওয়ান্ত সিং: মহারাজা হনওয়ন্ত সিংয়ের জন্ম ১৯২৩-এ। তারুণ্যে পা রাখামাত্রই ১৯৪৩ সালে ধ্রাংগাধরা রাজ্যের রাজকুমারী কৃষ্ণা কুমারীর সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন ৬ ফুট লম্বা এই সুদর্শন মহারাজ। এরপর ১৯৪৭ সালে যোধপুরের ২৪-তম রাঠৌড় শাসক হয়েছিলেন তিনি। দুর্ধর্ষ প্রতিভাশালী এই ব্যক্তিত্ব অনেক কিছু জানতেন। জাদুবিদ্যাও জানতেন তিনি। এমনকী, ম্যাজিক সার্ডস ক্লাব অফ ৬০০-এর সদস্যপদও লাভ করেছিলেন। প্রচুর শখ ছিল মহারাজার। এমনকী শোনা যায় যে, বিমানে রীতিমতো স্টান্ট করে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের অফিসার ভিপি মেননকে ভয় পর্যন্ত দেখিয়েছিলেন।
advertisement
3/5
ব্রিটিশ নার্সের প্রেমে হাবুডুবু: স্বাধীনতার আগে ইউরোপ সফরে যেতেন মহারাজা। ইংল্যান্ডে সুন্দরী নার্স স্যান্ড্রা ম্যাকব্রাইডের সঙ্গে আলাপ। দেখামাত্রই প্রেমে পড়ে যান। স্যান্ড্রারও মহারাজাকে পছন্দ ছিল। ব্রিটেন থেকে যোধপুরে নিয়ে এসেছিলেন তাঁকে। উমেদ প্রাসাদে রাখা হয়েছিল স্যান্ড্রাকে। ওই একই প্রাসাদে থাকতেন তাঁর প্রথম রানি। তবে স্যান্ড্রাকে বিয়ে না করায় তিনি রানির তকমা পাননি। এটা না-পসন্দ ছিল স্যান্ড্রার। তিনি বিয়ের জন্য চাপাচাপি শুরু করেন। এমনকী, লন্ডন ফিরে যাওয়ার হুমকিও দেন। তাতে কাজ হয়। স্যান্ড্রাকে বিয়ে করেন মহারাজা। তবে মহারাজার পরিবারের কেউ এই বিয়ে মেনে নেননি। রেগে গিয়েছিলেন রাজস্থানের অন্যান্য হিন্দু রাজারা। File Photo
ব্রিটিশ নার্সের প্রেমে হাবুডুবু: স্বাধীনতার আগে ইউরোপ সফরে যেতেন মহারাজা। ইংল্যান্ডে সুন্দরী নার্স স্যান্ড্রা ম্যাকব্রাইডের সঙ্গে আলাপ। দেখামাত্রই প্রেমে পড়ে যান। স্যান্ড্রারও মহারাজাকে পছন্দ ছিল। ব্রিটেন থেকে যোধপুরে নিয়ে এসেছিলেন তাঁকে। উমেদ প্রাসাদে রাখা হয়েছিল স্যান্ড্রাকে। ওই একই প্রাসাদে থাকতেন তাঁর প্রথম রানি। তবে স্যান্ড্রাকে বিয়ে না করায় তিনি রানির তকমা পাননি। এটা না-পসন্দ ছিল স্যান্ড্রার। তিনি বিয়ের জন্য চাপাচাপি শুরু করেন। এমনকী, লন্ডন ফিরে যাওয়ার হুমকিও দেন। তাতে কাজ হয়। স্যান্ড্রাকে বিয়ে করেন মহারাজা। তবে মহারাজার পরিবারের কেউ এই বিয়ে মেনে নেননি। রেগে গিয়েছিলেন রাজস্থানের অন্যান্য হিন্দু রাজারা। File Photo
advertisement
4/5
স্যান্ড্রা হলেন সুন্দরা দেবী: এই পরিস্থিতিতে হনওয়ন্ত সিং উমেদ প্যালেস ছেড়ে মেহরানগড় দুর্গে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। ১৯৪৮ সালে আর্য সমাজের রীতি মেনে স্যান্ড্রাকে বিয়ে করেন হনওয়ন্ত। স্যান্ড্রার নাম পরিবর্তিত হয়। তিনি হলেন সুন্দরা দেবী। কিন্তু এই বিয়ের পর জানা যায় যে, হনওয়ন্তের প্রথম ভারতীয় স্ত্রী উত্তরাধিকার গজ সিংয়ের জন্ম দেন। পরে এই গজ সিং সাংসদ হয়েছিলেন। Photo: Collected
স্যান্ড্রা হলেন সুন্দরা দেবী: এই পরিস্থিতিতে হনওয়ন্ত সিং উমেদ প্যালেস ছেড়ে মেহরানগড় দুর্গে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। ১৯৪৮ সালে আর্য সমাজের রীতি মেনে স্যান্ড্রাকে বিয়ে করেন হনওয়ন্ত। স্যান্ড্রার নাম পরিবর্তিত হয়। তিনি হলেন সুন্দরা দেবী। কিন্তু এই বিয়ের পর জানা যায় যে, হনওয়ন্তের প্রথম ভারতীয় স্ত্রী উত্তরাধিকার গজ সিংয়ের জন্ম দেন। পরে এই গজ সিং সাংসদ হয়েছিলেন। Photo: Collected
advertisement
5/5
নিত্য কলহ: মহারানি স্যান্ড্রার সঙ্গে হনওয়ন্তের বনত না। ঝগড়া হত। ঝামেলা বাড়তেই বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে ব্রিটেন ফিরে যান স্যান্ড্রা। বিচ্ছেদের প্রেক্ষিতে প্রচুর টাকা নিয়েছিলেন তিনি। আসলে স্যান্ড্রার মনে হয়েছিল দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে কোনও অধিকারই পাচ্ছেন না তিনি। বিদেশি হওয়ায় ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন। ফিরে গিয়ে নার্স হিসেবে কাজ শুরু করেন। তবে আর কখনওই বিয়ে করেননি। ৬২ বছর বয়সে ক্যানসারে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। Photo: Collected
নিত্য কলহ: মহারানি স্যান্ড্রার সঙ্গে হনওয়ন্তের বনত না। ঝগড়া হত। ঝামেলা বাড়তেই বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে ব্রিটেন ফিরে যান স্যান্ড্রা। বিচ্ছেদের প্রেক্ষিতে প্রচুর টাকা নিয়েছিলেন তিনি। আসলে স্যান্ড্রার মনে হয়েছিল দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে কোনও অধিকারই পাচ্ছেন না তিনি। বিদেশি হওয়ায় ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন। ফিরে গিয়ে নার্স হিসেবে কাজ শুরু করেন। তবে আর কখনওই বিয়ে করেননি। ৬২ বছর বয়সে ক্যানসারে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। Photo: Collected
advertisement
advertisement
advertisement