গপগপ করে ভাত! মচমচ করে মুড়ি, খেতে দেখলেই মাথায় জ্বলে ওঠে আগুন, মারাত্মক রোগে আক্রান্ত এই মহিলা

Last Updated:
এই বিরল রোগে আক্রান্ত রোগী  কাউকে খেতে দেখতে   সহ্য করতে পারে না। খাবার চিবানোর সময় মুখ থেকে বের হওয়া শব্দ সে সহ্য করতে পারে না। সে এতটাই রেগে যায় যে সে দেখে চিৎকার করতে থাকে।
1/5
: কাউকে খাবার খেতে দেখলে বেশ ভালই লাগে । নিজে খেলে তো কথাই নেই৷  কিন্তু জানেন কি এমন  একজন মহিলা রয়েছেন, যিনি নিজেও কোনও ক্রমে খাবার গিলে নেন খাওয়া নিয়ে কোনও বিলাসিতা যাঁর নেই৷ কারণ খাবার খাওয়ার আওয়াজে তাঁর অতিষ্ঠ লাগে৷  এই বিরল রোগে আক্রান্ত রোগী  কাউকে খেতে দেখতে   সহ্য করতে পারে না। খাবার চিবানোর সময় মুখ থেকে বের হওয়া শব্দ সে সহ্য করতে পারে না। সে এতটাই রেগে যায় যে সে দেখে চিৎকার করতে থাকে। এখন পরিস্থিতি এমন যে তিনি পার্টিতে যান না। এমনকি বাড়িতেও কখই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে  তিনি  খাবার খেতে পারেন না। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে একটি ঘরে তালা দিয়ে আটকে তারপর খাবার খেতে বসেন৷ Photo- Representative
: কাউকে খাবার খেতে দেখলে বেশ ভালই লাগে । নিজে খেলে তো কথাই নেই৷  কিন্তু জানেন কি এমন  একজন মহিলা রয়েছেন, যিনি নিজেও কোনও ক্রমে খাবার গিলে নেন খাওয়া নিয়ে কোনও বিলাসিতা যাঁর নেই৷ কারণ খাবার খাওয়ার আওয়াজে তাঁর অতিষ্ঠ লাগে৷  এই বিরল রোগে আক্রান্ত রোগী  কাউকে খেতে দেখতে   সহ্য করতে পারে না। খাবার চিবানোর সময় মুখ থেকে বের হওয়া শব্দ সে সহ্য করতে পারে না। সে এতটাই রেগে যায় যে সে দেখে চিৎকার করতে থাকে। এখন পরিস্থিতি এমন যে তিনি পার্টিতে যান না। এমনকি বাড়িতেও কখই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে  তিনি  খাবার খেতে পারেন না। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে একটি ঘরে তালা দিয়ে আটকে তারপর খাবার খেতে বসেন৷ Photo- Representative
advertisement
2/5
মিরর রিপোর্ট অনুযায়ী, সাউদাম্পটনের বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সী লুইস মিসোফোনিয়া নামক বিরল রোগে ভুগছেন। এটি একটি মানসিক রোগ৷ এই রোগে আক্রান্ত হলে যে কোনও নির্দিষ্ট শব্দের প্রতি অত্যন্ত  বেশিমাত্রা সংবেদনশীল হন।  কারোর ক্ষেত্রে এটি খাওয়ার সময়ের চিবানোর শব্দ,  ঝাঁকুনি, হাঁচি, শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ, পেনে ঢাকা বন্ধ করার শব্দ,  হাত  ঘড়ির টিকটিক শব্দ হতে পারে৷   এই ধরণের এই রোগে আক্রান্ত মানুষদের রাগিয়ে দেয়।  এতটাই বাড়াবাড়ি হয় যে তাঁদেরকে প্রায় পাগল করে তোলে। Photo- Representative
মিরর রিপোর্ট অনুযায়ী, সাউদাম্পটনের বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সী লুইস মিসোফোনিয়া নামক বিরল রোগে ভুগছেন। এটি একটি মানসিক রোগ৷ এই রোগে আক্রান্ত হলে যে কোনও নির্দিষ্ট শব্দের প্রতি অত্যন্ত  বেশিমাত্রা সংবেদনশীল হন।  কারোর ক্ষেত্রে এটি খাওয়ার সময়ের চিবানোর শব্দ,  ঝাঁকুনি, হাঁচি, শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ, পেনে ঢাকা বন্ধ করার শব্দ,  হাত  ঘড়ির টিকটিক শব্দ হতে পারে৷   এই ধরণের এই রোগে আক্রান্ত মানুষদের রাগিয়ে দেয়।  এতটাই বাড়াবাড়ি হয় যে তাঁদেরকে প্রায় পাগল করে তোলে। Photo- Representative
advertisement
3/5
তাঁরা নানাধরণের শব্দ সহ্য করতে পারে না। এই ধরণের লোকেরা পার্টিতে যেতে পারেন না বা পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বাড়িতে খাবার খেতে পারেন না। যাঁরা নাক ডাকে তাঁদের পাশে ঘুমানোর কথা তো ছাড়ুন, তাঁরা সাধারণ মানুষদের সঙ্গেও ঘর করতে পারেন না৷
তাঁরা নানাধরণের শব্দ সহ্য করতে পারে না। এই ধরণের লোকেরা পার্টিতে যেতে পারেন না বা পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বাড়িতে খাবার খেতে পারেন না। যাঁরা নাক ডাকে তাঁদের পাশে ঘুমানোর কথা তো ছাড়ুন, তাঁরা সাধারণ মানুষদের সঙ্গেও ঘর করতে পারেন না৷
advertisement
4/5
‘সব ধরণের শব্দ আমাকে বিরক্ত করে’লুইস বলেন, ‘‘আমি সাধারণত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খাবার খেয়ে নিই। তারপর আমি আমার রুমে চলে যাই যাতে অন্যদের খেতে না দেখতে হয়। সবসময় একটা ভয়  কাজ করতে থাকে যে কাউকে দেখে রাগ হয়ে আক্রমণ করতে পারি। সব ধরণের শব্দ আমাকে বিরক্ত করে। তবে কিছু শব্দ থেকে নিজেকে বাঁচতে শিখেছি।’’  লুইস বলেন, ‘‘আমার শ্রবণ ক্ষমতা  খুব সংবেদনশীল। আমি কিছু শব্দ অন্যদের চেয়ে জোরে শুনতে পাই। আমি যখন রেগে যাই, আমি বাচ্চাদের মতো আচরণ করতে শুরু করি। আমি কেউ জোরে খাবার খায় পছন্দ করি না। মনে হয় আমি আক্রমণ করি, নয়তো আমি চুপচাপ আমার ঘরে পালিয়ে যাই। আমি সেখানেই থাকি, আমি সবরকমভাবে মানুষের সঙ্গে খাওয়া এড়িয়ে চলি।’’
‘সব ধরণের শব্দ আমাকে বিরক্ত করে’লুইস বলেন, ‘‘আমি সাধারণত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খাবার খেয়ে নিই। তারপর আমি আমার রুমে চলে যাই যাতে অন্যদের খেতে না দেখতে হয়। সবসময় একটা ভয়  কাজ করতে থাকে যে কাউকে দেখে রাগ হয়ে আক্রমণ করতে পারি। সব ধরণের শব্দ আমাকে বিরক্ত করে। তবে কিছু শব্দ থেকে নিজেকে বাঁচতে শিখেছি।’’  লুইস বলেন, ‘‘আমার শ্রবণ ক্ষমতা  খুব সংবেদনশীল। আমি কিছু শব্দ অন্যদের চেয়ে জোরে শুনতে পাই। আমি যখন রেগে যাই, আমি বাচ্চাদের মতো আচরণ করতে শুরু করি। আমি কেউ জোরে খাবার খায় পছন্দ করি না। মনে হয় আমি আক্রমণ করি, নয়তো আমি চুপচাপ আমার ঘরে পালিয়ে যাই। আমি সেখানেই থাকি, আমি সবরকমভাবে মানুষের সঙ্গে খাওয়া এড়িয়ে চলি।’’
advertisement
5/5
 লুইস  জানিয়েছেন কখনও কখনও বিরক্তিকর শব্দগুলি বন্ধ করতে কানের ফানেল এবং রাবার ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করেন। তিনি বিহেভেরিয়াল থেরাপির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন৷ রাতে ঘুমানোর সময় বৃদ্ধি, মানসিক চাপ কমানো, প্রতিদিনের ব্যায়াম এবং সুষম খাবার খেয়ে এই রোগের চিকিৎসার পথ৷
 লুইস  জানিয়েছেন কখনও কখনও বিরক্তিকর শব্দগুলি বন্ধ করতে কানের ফানেল এবং রাবার ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করেন। তিনি বিহেভেরিয়াল থেরাপির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন৷ রাতে ঘুমানোর সময় বৃদ্ধি, মানসিক চাপ কমানো, প্রতিদিনের ব্যায়াম এবং সুষম খাবার খেয়ে এই রোগের চিকিৎসার পথ৷
advertisement
advertisement
advertisement