প্রতি সোমবার এই শিবমন্ত্র জপ করুন, আপনার উন্নতি কোনও কেউ ঠেকাতে পারবে না

♦ হিন্দু ধর্মের উপর লেখা একাধিক প্রাচীন বইয়ে এমন বহু স্তোত্রের সন্ধান পাওয়া যায়, যা দেব-দেবীর পুজে করার সময় পাঠ করা হয়ে থাকে। অনেকে এই সব স্তোত্র, মন্ত্র হিসেবে জপ করেন, তো কেউ কেউ ভজনের মতো করে গেয়ে থাকেন। ছবি: সংগৃহীত ৷

♦ কিন্তু মজার বিষয় কি জানেন, এই সব স্তোত্র পাঠ করলে কী কী উপকার পাওয়া যাতে পারে সে সম্পর্কে অনেকেই খোঁজ রাখেন না। ছবি: সংগৃহীত ৷

♦ যেমন শিব ‘পঞ্চ অক্ষর’স্তোত্রের কথাই ধরুন না। ছবি: সংগৃহীত ৷

♦ একাধিক প্রাচীন বই অনুসারে প্রতি সোমবার দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনা করার পর যদি এই ‘পঞ্চ অক্ষর’শ্লোকটি পাঠ করা যায়, তাহলে একাধিক উপকার মেনে। ছবি: সংগৃহীত ৷

♦ বিশেষত খারাপ শক্তির প্রভাবে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়, সেই সঙ্গে আর্থিক ও শারীরিক উন্নতিও ঘটে ৷ ছবি: সংগৃহীত ৷

♦ পঞ্চ অক্ষর স্তোত্রের অন্দরে পাঁচটি শব্দ লুকিয়ে রয়েছে, তাই তো এই শ্লোকটিকে পঞ্চকশরা অর্থাৎ পাঁচ অক্ষর সমৃদ্ধ স্তোত্র নামে ডাকা হয়ে থাকে। ছবি: সংগৃহীত ৷

♦ এই পাঁচটি শব্দ যথাক্রমে মাটি, জল, আগুন, বায়ু এবং আকাশের প্রতীক। আর এই পাঁচটি উপদান দিয়েই তো মানুষের শরীর গঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত ৷

♦ তাই তো এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতি সোমবার এই শ্লোকটি পাঠ করলে শিব ঠাকুর তো প্রসন্ন হনই, সেই সঙ্গে শরীর এবং মন চাঙ্গা হয়ে উঠতেও সময় লাগে না। ছবি: সংগৃহীত ৷

♦ ‘পঞ্চ অক্ষর’স্তোত্রে মোট পাঁচটি ধাপ থাকে। প্রথম ধাপ হল-"নাগেদ্র হারায়া ত্রিলোচনায়া, ভাশমাঙ্গে রাগায়া মহেশ্বরায়া, নিত্যায়া শুদ্ধায়া দিগমবারায়, তাসমৈ না কারায়া নমহ শিবায়"। ছবি: সংগৃহীত ৷

♦ দ্বিতীয় পাঠটি হল- "মন্দাকিনি শলিল চন্দ্রায়া চার্চিতায়া, নন্দিশ্বারয়া প্রমথা নাথ মহেশ্বরায়া, মন্দ্র পুষ্প বাহু পুষ্প সুপজিতায়া, তাসমৈ মা কারায়া নমহ শিবায়।" ছবি: সংগৃহীত ৷

♦ তৃতীয় ধাপটি হল-"শিবায় গৌরি বাদানা যা বৃন্দ, সূর্য দকশ ধোওয়ারা নশকায়া, শ্রী নীল কন্ঠ বিষ ধরায়, তসমৈ শ্রী কারায়া নমহ শিবায়"। ছবি: সংগৃহীত ৷

♦ চতুর্থ ধাপটি হল-"বশিষ্ঠ কুম্ভদ ভাবা গৌতম আচার্য মুনিন্দর দেভা আর্চিতা শিখারায়া। চন্দ্র আর্ক বৈষবানারায় লোচনায়, তসমৈ ভা কারায় নমহ শিবায়"। ছবি: সংগৃহীত ৷

♦ পঞ্চম পাঠটি হল-"ইজানায়া স্বরুপায়া জাটা ধারায় পিনাকা হাস্তায় সনাতনায়, দিব্যা দিবায় দিগম্বরায়া তসমৈ কারায়া নমহ শিবায়"। ছবি: সংগৃহীত ৷