5 Most Brutal Serial Killers in India: কেউ খুন করে খুবলে খেত মাংস, আবার কেউ খুন করত মজার ছলে! দেশের ৫ হাড়হিম করা সিরিয়াল কিলারের কাহিনী

Last Updated:
কারোর কাছে খুন করা ছিল নিছক মজা, কেউ খুন করত টাকার লোভে, আবার কেউ কেউ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ভাবলেশহীন ভাবে একের পর এক খুন করে গিয়েছে। বেশির ভাগই ধরা পড়েছে। কিন্তু তার পরও নিজের কৃতকর্মের জন্য সামান্যতম অনুশোচনা দেখা যায়নি তাদের মধ্যে। ভারতের পাঁচ সিরিয়াল কিলার যাদের ঘটনা শুনে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে আজও।
1/10
 কারোর কাছে খুন করা ছিল নিছক মজা, কেউ খুন করত টাকার লোভে, আবার কেউ কেউ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ভাবলেশহীন ভাবে একের পর এক খুন করে গিয়েছে। বেশির ভাগই ধরা পড়েছে। কিন্তু তার পরও নিজের কৃতকর্মের জন্য সামান্যতম অনুশোচনা দেখা যায়নি তাদের মধ্যে। ভারতের পাঁচ সিরিয়াল কিলার যাদের ঘটনা শুনে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে আজও।
কারোর কাছে খুন করা ছিল নিছক মজা, কেউ খুন করত টাকার লোভে, আবার কেউ কেউ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ভাবলেশহীন ভাবে একের পর এক খুন করে গিয়েছে। বেশির ভাগই ধরা পড়েছে। কিন্তু তার পরও নিজের কৃতকর্মের জন্য সামান্যতম অনুশোচনা দেখা যায়নি তাদের মধ্যে। ভারতের পাঁচ সিরিয়াল কিলার যাদের ঘটনা শুনে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে আজও।
advertisement
2/10
 সিরিয়াল কিলিং কবে শুরু হয়েছিল সেটা আদৌ জানা যায় না তবে ইতিহাস ঘাঁটলে বহু বছর আগেও ইতিহাসের পাতায় সিরিয়াল কিলিংয়ে একজনের নাম উঠে আসে। তার নাম হল , ঠগ বেহরাম- সারা বিশ্বের সবচেয়ে নৃশংস সিরিয়াল কিলারদের সঙ্গে এক সারিতে নাম নেওয়া হয় এই ঠগী দস্যুর। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে মধ্য ভারতের ত্রাস হয়ে উঠেছিল সে।
সিরিয়াল কিলিং কবে শুরু হয়েছিল সেটা আদৌ জানা যায় না তবে ইতিহাস ঘাঁটলে বহু বছর আগেও ইতিহাসের পাতায় সিরিয়াল কিলিংয়ে একজনের নাম উঠে আসে। তার নাম হল , ঠগ বেহরাম- সারা বিশ্বের সবচেয়ে নৃশংস সিরিয়াল কিলারদের সঙ্গে এক সারিতে নাম নেওয়া হয় এই ঠগী দস্যুর। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে মধ্য ভারতের ত্রাস হয়ে উঠেছিল সে।
advertisement
3/10
 ১৭৯০ সাল থেকে ১৮৪০ সালের মধ্যে অন্তত ৯৩১ জনকে গলায় রুমাল পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল সে। ১৮৪০ সালে ফাঁসি হয় এই দস্যুর। মূলত ডাকাতির উদ্দেশেই নিরীহ মানুষদের নৃশংস ভাবে খুন করত সে। খুনের পর সর্বস্ব লুঠ করে চম্পট দিত।
১৭৯০ সাল থেকে ১৮৪০ সালের মধ্যে অন্তত ৯৩১ জনকে গলায় রুমাল পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল সে। ১৮৪০ সালে ফাঁসি হয় এই দস্যুর। মূলত ডাকাতির উদ্দেশেই নিরীহ মানুষদের নৃশংস ভাবে খুন করত সে। খুনের পর সর্বস্ব লুঠ করে চম্পট দিত।
advertisement
4/10
 রামন রাঘব: সে নিজে ছিল গৃহহীন । একইভাবে তার আক্রমণের নিশানাও ছিল আশ্রয়হীন ফুটপাতবাসী অথবা বস্তির বাসিন্দারা। ষাটের দশকে মুম্বই শহরতলির আতঙ্কের অন্য নাম হয়ে উঠেছিল রামন রাঘব। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৮ অবধি সে অন্তত ৪২ জনকে খুন করেছিল। পুণে শহরে রামনের জন্ম হয় ১৯২৯ সালে। তার শৈশব নিয়ে খুব বেশি তথ্য জানা যায় না। কোন পরিস্থিতি তাকে এমন নৃশংস হত্যাকারী করে তুলেছিল, সে অধ্যায় আজও অতল অন্ধকারেই।
রামন রাঘব: সে নিজে ছিল গৃহহীন । একইভাবে তার আক্রমণের নিশানাও ছিল আশ্রয়হীন ফুটপাতবাসী অথবা বস্তির বাসিন্দারা। ষাটের দশকে মুম্বই শহরতলির আতঙ্কের অন্য নাম হয়ে উঠেছিল রামন রাঘব। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৮ অবধি সে অন্তত ৪২ জনকে খুন করেছিল। পুণে শহরে রামনের জন্ম হয় ১৯২৯ সালে। তার শৈশব নিয়ে খুব বেশি তথ্য জানা যায় না। কোন পরিস্থিতি তাকে এমন নৃশংস হত্যাকারী করে তুলেছিল, সে অধ্যায় আজও অতল অন্ধকারেই।
advertisement
5/10
কে এই স্টোনম্যান?
স্টোনম্যান: একটা সময় কলকাতার বুকেও দাপিয়ে বেরিয়েছিল সিরিয়াল কিলার। পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করত অজ্ঞাত পরিচয় এই আততায়ী। তার প্রতিটি শিকার মাথা থেঁতলানো অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল। ১৯৮৯ সাল নাগাদ তার একের পর এক খুনে ভয়ে কাঁপতে শুরু করেছিল কলকাতা। রাতের অন্ধকারে ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা অন্তত ১৩ জনকে মাথা থেঁতলে খুন করেছিল সে। স্টোনম্যানের রহস্যের কোনও সমাধান আজও হয়নি। কোনও একজন ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ড চালায়? নাকি দলবেঁধে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়? কেনই বা হত্যাকাণ্ড চালানো হয় সব প্রশ্ন আজও উত্তরহীন।
advertisement
6/10
 কেডি কেম্পাম্মা: লোকমুখে পরিচিত 'সায়ানাইড মল্লিকা' বলে। সে মৃত্যুর সাজাপ্রাপ্ত ভারতের প্রথম মহিলা সিরিয়াল কিলার। যদিও পরবর্তী কালে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। তার খুন-পর্ব শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। ঠিক কী ভাবে খুনের ছক সাজাত সে?
কেডি কেম্পাম্মা: লোকমুখে পরিচিত 'সায়ানাইড মল্লিকা' বলে। সে মৃত্যুর সাজাপ্রাপ্ত ভারতের প্রথম মহিলা সিরিয়াল কিলার। যদিও পরবর্তী কালে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। তার খুন-পর্ব শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। ঠিক কী ভাবে খুনের ছক সাজাত সে?
advertisement
7/10
 জানা যায়, বেঙ্গালুরু শহরের মন্দিরগুলিই ছিল তার লক্ষ্য। সন্ন্যাসিনীর বেশে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরত মল্লিকা। বুঝে নিত, আগত মহিলা ভক্তদের মধ্যে কে কে পারিবারিক সমস্যার কারণে অবসাদে রয়েছেন। তার পর তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে বিশ্বাস অর্জন করত এবং অন্য কোনও ফাঁকা মন্দিরে সমস্যা সমাধানের জন্য যজ্ঞ করার উদ্দেশ্যে তাঁদের ডেকে পাঠাত। শর্ত থাকত একটাই, তাঁদের আলমারিতে থাকা সবচেয়ে দামি শাড়ি এবং সমস্ত গয়না পরে আসতে হবে। তার পর সুযোগ বুঝে সায়ানাইড মেশানো জল খাইয়ে খুন করে গয়না নিয়ে চম্পট দিত সে।
জানা যায়, বেঙ্গালুরু শহরের মন্দিরগুলিই ছিল তার লক্ষ্য। সন্ন্যাসিনীর বেশে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরত মল্লিকা। বুঝে নিত, আগত মহিলা ভক্তদের মধ্যে কে কে পারিবারিক সমস্যার কারণে অবসাদে রয়েছেন। তার পর তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে বিশ্বাস অর্জন করত এবং অন্য কোনও ফাঁকা মন্দিরে সমস্যা সমাধানের জন্য যজ্ঞ করার উদ্দেশ্যে তাঁদের ডেকে পাঠাত। শর্ত থাকত একটাই, তাঁদের আলমারিতে থাকা সবচেয়ে দামি শাড়ি এবং সমস্ত গয়না পরে আসতে হবে। তার পর সুযোগ বুঝে সায়ানাইড মেশানো জল খাইয়ে খুন করে গয়না নিয়ে চম্পট দিত সে।
advertisement
8/10
 নিঠারি হত্যাকাণ্ড: ভারতীয় সিরিয়াল কিলিংয়ের ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস দুই সিরিয়াল কিলার। শুধু খুনই করত না তারা, ধর্ষণ করত এবং মৃতদেহ খুবলে মাংসও খেত। সেই ঘটনা সামনে আসার পর শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। নয়ডার একটি গ্রাম নিঠারি। এই গ্রামেই থাকত ব্যবসায়ী মণীন্দ্র সিংহ পান্ধের এবং তার পরিচারক সুরেন্দ্র কোহলি। প্রথমে বাচ্চাদের ফুসলিয়ে বাড়িতে আনা থেকে তাদের খুন করা এবং তার পর দেহ লোপাট। পুরো ছকটাই কষত দু’জনে মিলে।
নিঠারি হত্যাকাণ্ড: ভারতীয় সিরিয়াল কিলিংয়ের ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস দুই সিরিয়াল কিলার। শুধু খুনই করত না তারা, ধর্ষণ করত এবং মৃতদেহ খুবলে মাংসও খেত। সেই ঘটনা সামনে আসার পর শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। নয়ডার একটি গ্রাম নিঠারি। এই গ্রামেই থাকত ব্যবসায়ী মণীন্দ্র সিংহ পান্ধের এবং তার পরিচারক সুরেন্দ্র কোহলি। প্রথমে বাচ্চাদের ফুসলিয়ে বাড়িতে আনা থেকে তাদের খুন করা এবং তার পর দেহ লোপাট। পুরো ছকটাই কষত দু’জনে মিলে।
advertisement
9/10
গুরগাঁও পুলিশের আধিকারিক জানান, রাজকুমারকে আটক করা হয়েছে। গুলিতে ব্যবহৃত পিস্তলটিও প্রমাণ হিসাবে জব্দ করা হয়েছে। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
২০০৫ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের নয়ডার কাছে নিঠারি এলাকায় মোট ২০টি শিশুর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। বেশ কিছু দিন পরে ওই এলাকার আশপাশ থেকে নিখোঁজ হওয়া শিশুদের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর নয়ডার নিঠারিতে ব্যবসায়ী পান্ধেরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৯টি কঙ্কাল এবং কিছু দেহাবশেষ।
advertisement
10/10
 তদন্তে নেমে জানা যায়, বেশ কিছু শিশু-কিশোর-কিশোরীর উপর যৌন অত্যাচার চালিয়ে খুন করে তাদের দেহের অংশ প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করে খেয়ে ফেলেছিল দুইজন। শেষ পর্যন্ত দু’জনেরই ফাঁসির সাজা শোনায় আদালত।
তদন্তে নেমে জানা যায়, বেশ কিছু শিশু-কিশোর-কিশোরীর উপর যৌন অত্যাচার চালিয়ে খুন করে তাদের দেহের অংশ প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করে খেয়ে ফেলেছিল দুইজন। শেষ পর্যন্ত দু’জনেরই ফাঁসির সাজা শোনায় আদালত।
advertisement
advertisement
advertisement