বাড়িতে আলোর ব্যবস্থা বদলে ফেলুন। যে-ঘরে একটা টিউবে চলে যায়, সেই ঘরে একটা ১৮ পাওয়ারের সিএফএল লাগিয়ে নিন। যে জায়গায় পর্যাপ্ত আলোর প্রয়োজন নেই, সেখানে ৮ থেকে ৯ ভোল্টের আলো লাগান। এলইডি বালব-ও ব্যবহার করতে পারেন। ১.৫ থেকে ৭ ভোল্টের বালব পাওয়া যায় বাজারে। দাম একটু বেশি, কিন্তু লাগালে সিএফএল-এর থেকেও কম কারেন্ট পোড়ে।
আজকালকালকার মডার্ন ফ্ল্যাটে কনসোল ওয়্যারিং, বদলাতে হলে অনেক ঝঞ্জাট! দেওয়াল চটিয়ে ওয়্যারিং পালটাতে হয়! কিন্তু তাও, ১০ বছর বাদে বাদে নতুন ওয়্যারিং করা দরকার। ওয়্যারিং করার সময় ভাল তার ব্যবহার করুন। কারেন্ট কম পুড়বে। লোডশেডিংয়ের সময় সমস্ত ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স প্লাগ থেকে খুলে রাখুন। না হলে কারেন্ট এলে এক ঝটকায় বিল চড়চড় করে বাড়বে।
কোনও যন্ত্রের স্টার রেটিং বেশি হলে তার ইউনিট বাঁচানোর ক্ষমতাও ততটাই বেশি। পুরনো তার, পুরনো যন্ত্র বেশি পরিমাণে ইউনিট খরচ করে বিলের অঙ্ক অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। তাই দশ-পনেরো বছরের পুরনো যন্ত্র বা তার ব্যবহার না করে তা বদলে আধুনিক ও কম ইউনিট খরচের যন্ত্র ও তার কিনুন। নিয়ম করে সব যন্ত্রেরই সার্ভিসিং করান সময় মতো।
ফ্রিজের বেলাতেও মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন ফ্রিজ। যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে। ফ্রিজের ভিতর ঠান্ডা থাকায় এই এক ঘণ্টায় খাবারদাবারও নষ্ট হওয়ার ভয় নেই। ফ্রিজের নীচে বা পিছনে থাকা কন্ডেনসার কয়েলটি ভ্যাকিউম ক্লিন করুন। ময়লা জমে থাকলে, ইলেকট্রিক বিল প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়ে যায়।