GK: নিছক কুসংস্কার নয়, আদতে মূলে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ, ট্রাকের পিছনে ছেঁড়া জুতো-চটি কেন ঝোলানো থাকে জানেন?
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Why torn shoes hang behind trucks: ট্রাকের পিছনে এই ছেঁড়া জুতো-চটি ঝুলিয়ে রাখার কারণ কিন্তু নেহাতই কুসংস্কার নয়, আদতে এর মূল রয়েছে বিজ্ঞানে।
advertisement
সামনে, পিছনে, ডান দিকে, বাম দিকে- সব মিলিয়ে আপাদমস্তক এমন রঙিন গাড়ি বড় একটা দেখা যায় না। সে যেমন আমাদের এই দেশে, তেমনই পৃথিবীর অন্যত্রও। সঙ্গে পিছনে লেখা অভিনব সব স্লোগান তো রয়েছেই। মনোবিদরা ভারতীয় ট্রাকের এমন বাহারি রূপের নেপথ্যের কারণও দর্শাতে পারবেন অনায়াসে। এ তো অস্বীকার করার উপায় নেই যে এ কাজ বড় একঘেয়ে। সহজেই তা ক্লান্তি এনে দিতে পারে চালক এবং হেল্পারদের মনে।
advertisement
রাতের পর রাত মাল নিয়ে শুধুই ছুটে চলা, এর বাইরে জীবন নেই। যখন কাজ শুরু হয়, গন্তব্যের দিকে যাত্রা করে মালভর্তি এক ট্রাক, নেমে আসে রাতের অন্ধকারের নিকষছায়া। তখন প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের সুযোগ বা মানসিকতা কোনওটাই থাকে না। রাতের আঁধারে যাত্রা বলে পদে পদে লেগে থাকে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। তাই ট্রাকচালকরা কুসংস্কারগ্রস্ত হয়ে থাকেন, এমন কথা শোনা যায়।
advertisement
যে কারণে গাড়ির সামনে আর পিছনে ঠাকুর-দেবতার ছবি থাকে। অপদেবতার নজর এড়ানোর জন্য ট্রাকের পিছনে ঝুলিয়ে রাখা হয় ছেঁড়া জুতো-চটি- এমনটাও বলে থাকেন অনেকেই! তবে ট্রাকের পিছনে এই ছেঁড়া জুতো-চটি ঝুলিয়ে রাখার কারণ কিন্তু নেহাতই কুসংস্কার নয়, আদতে এর মূল রয়েছে বিজ্ঞানে। এখন না হয় মাল ভরার পর ওজন কোথায় গিয়ে দাঁড়াল, তা দেখার জন্য মোড়ে মোড়ে ধরম কাঁটা থাকে।
advertisement
আগেকার দিনে সেই সুযোগ ছিল না। অথচ, ট্রাক মালের ভারে ওভারলোড যাতে না হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে উপায়? কেন, ওই ছেঁড়া জুতো-চটি! ট্রাকের পিছনে ছেঁড়া জুতো-চটি ঝুলিয়ে রাখার রেওয়াজ শুরু হয়েছিল এখান থেকেই। মাল ভরতে ভরতে যদি তা নির্দিষ্ট ওজন ছাপিয়ে যায়, তাহলেই গাড়ি একপাশে বা পিছনের দিকে কাত হয়ে যাবে। আর তখন ওই ছেঁড়া জুতো-চটি আর মাটির উপরে ঝুলে থাকবে না, তা সরাসরি মাটি স্পর্শ করবে।
advertisement
আর তাতেই হিসেব হয়ে যাবে পরিষ্কার- কতটা মাল নেওয়া যাবে আর কতটা রেখে যেতে হবে! এখন আর ছেঁড়া জুতো-চটি দিয়ে মাল ওজন তথা গাড়ির ভারসাম্য বজায় রাখার হিসেব কষতে হয় না ট্রাকচালকদের। দীর্ঘ দিন ধরে চলতে চলতে এ এখন এক প্রথায় এসে ঠেকেছে! বুরি নজরওয়ালে... সঙ্গের লেখাই তো তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ! (Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ )